||প্রযুক্তির জগতে কিছুটা বিরতি নেওয়ার প্রয়োজন||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে প্রযুক্তির জগতে কিছুটা বিরতি নেওয়ার প্রয়োজন আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার। আসলে আমার বাংলা ব্লগে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।যাইহোক আজকে সারাদিন ব্যস্ত থাকার কারনে পোস্ট টি এখনো করতে পারি নাই কখন কোথায় কাজের চাপ আসে বলা মুশকিল। সেম আজকে আমার সাথে হয়েছে, আমি প্রায় দিনে সন্ধ্যার পর পোস্ট করি।তবে আজকে একটু দেরি হয়ে গেলো।তো আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমাদের জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল চেক করা, দিনের বেশিরভাগ সময় কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা, রাতেও ঘুমানোর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রলিং করা,এসবই যেন এখন স্বাভাবিক অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি, এই লাগাতার স্ক্রিন নির্ভরতা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলছে?
প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার স্ট্রেস, অনিদ্রা, একাকীত্ব এবং মনোযোগের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রবেশ করে মনোজগতে অস্থিরতা তৈরি করছে। তাই মাঝে মাঝে ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ বা প্রযুক্তির ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।কারণ কম বেশি সবাই কিন্তু এই প্রযুক্তি গুলোতে আসক্ত।আজকে লক্ষ্য করলে দেখবেন,ছোট ছোট বাচ্চা গুলোও এই ধরনের প্রযুক্তিতে আসক্ত।
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ দিনের প্রায় ৭-১০ ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে কাটায়, যা শরীর ও মনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যেমন কিছু হচ্ছে , মানসিক চাপ ও উদ্বেগ,সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানো আত্মবিশ্বাস কমাতে পারে। অন্যের সুখী জীবনের ছবি দেখে অনেকেই নিজের জীবনকে তুলনা করতে গিয়ে মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন।
রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ব্লু লাইটের কারণে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে বিশ্রাম নিতে পারে না। ফলে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়।
অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভরতা আমাদের মনোযোগ কমিয়ে দেয়। আমরা সহজেই অন্য কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলি এবং ধৈর্য কমে যায়।সারাদিন বসে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারে কাজ করলে শারীরিক পরিশ্রম কম হয়। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি, ঘাড় ও চোখের সমস্যা দেখা দেয়।
আমাদের উচিত নির্দিষ্ট স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করা।
প্রতিদিন ঠিক করতে হবে আমি কতক্ষণ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করবো। যেমন, সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য দিনে এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করতে হবে বা তার একটু বেশি।অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করতে হবে।বেশিরভাগ সময় আমরা নোটিফিকেশন আসার কারণেই মোবাইল চেক করি। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করলে ফোকাস বাড়বে।বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মোবাইল ব্যবহারের পরিবর্তে বই পড়া, আঁকাআঁকি, রান্না করা, বা গান শোনার মতো শখ গড়ে তুলা।
প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। সময় পেলে পার্কে হাঁটতে যাওয়া বা গ্রামের পরিবেশ উপভোগ করা। পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো।প্রযুক্তির কারণে আমরা অনেক সময় কাছের মানুষদের অবহেলা করি। বাস্তব জীবনের সম্পর্ক গুলোকে গুরুত্ব দেওয়্এ,বং পরিবারের সাথে মানসম্মত সময় কাটানো।
প্রযুক্তি আমাদের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসছে, কিন্তু এর সঠিক ব্যবস্থাপনা না করলে তা আমাদের জীবন থেকে প্রকৃত আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই, মাঝে মাঝে প্রযুক্তির জগতে কিছুটা বিরতি নিয়ে বাস্তব জীবনের সৌন্দর্য উপভোগ করাই হতে পারে সত্যিকারের শান্তির চাবিকাঠি।আসলে বর্তমান যুগের ছোট ছোট বাচ্চা গুলো যেমন ফোনে আসক্ত হচ্ছে এটা কিন্তু বাবা মার জন্য খুবই দুঃখের বিষয়। তাই আমি মনে করি এই ধরনের বাচ্চা গুলো মা শাসন না করলে পরবর্তীতে তারা অনেক ঝামেলায় পড়বে।যাইহোক সৃষ্টিকর্তা যেনো আমাদের সবাইকে হেফাজত করেন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
![]() |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আজকের ডেইলি টেস্ক প্রুফ।।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন ভাই। প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন মানুষকে অনেক সুবিধা করে দিয়েছে তেমন শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে অনেক প্রতিবন্ধকতাও তৈরি করেছে। কিন্তু আপনি একটি কথা চিন্তা করুন। আমরা যদি বেশ কিছুদিন প্রযুক্তি থেকে দূরে চলে যাই তবে আমার বাংলা ব্লগে অ্যাক্টিভিটির কি হবে। আমি এটা চিন্তা করি। এই ব্লগে কাজ করতে গেলে মোবাইল বা ল্যাপটপ হাতে নিতেই হবে।
দাদা আমি কাজের বিষয় নিয়ে কিছু বলি নাই। যারা অযথা ফোনে বা ল্যাপটপে সময় নষ্ট করছে তাদের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আজকের ছোট ছোট বাচ্চা গুলো কিন্তু সারাদিন ফোনে সময় নষ্ট করতেছে। এটা কিন্তু ক্ষতিকারক দাদা।যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।