//আমার জীবনের বাস্তব গল্প পর্ব ১৮//
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে আমার জীবনের বাস্তব গল্প পর্ব ১৮ বেশ কিছু দিন ধরে আমি অসুস্থ। ঈদের ২ দিন আগে থেকে জ্বরে জীবন টা শেষ। আমাদের এইদিকে কম বেশি সবার জ্বর ধরছে,জানি না এটা কেমন পরিস্থিতি। তবে যাইহোক আল্লাহ তায়ালার রহমতে এখন অনেক ভালো আছি।জ্বর হওয়ার কারনে ঠিক মত কোন কাজ করতে পারি নাই। এবং কোন এক্টিভিজ ছিল না,কারণ হচ্ছে আমি নিজেই ঠিক ছিলাম না।এমন অবস্থা হয়েছে যর,ফোনটা টিপবো সেটাই মন চাচ্ছে না।আর জ্বর আসলে এমনিতেই অনেক খারাপ লাগে।যাইহোক এখন একটু সুস্থ হয়ে আপনাদের মাঝে আবার নতুন পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হলাম। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি আপনাদের মাঝে ইতি মধ্যে ১৭ টি পর্ব শেয়ার করছি।আসলে আমার বাংলা ব্লগে নিজের অনুভূতি ও জীবন কাহিনি যেগুলো রয়েছে সব কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে খুবই ভালো লাগে। আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন ব্লগ শেয়ার করার।তো আমি এর আগে বলছিলাম আমার বাবার সম্পর্কে। আসলে আমাদের মাথার উপর থেকে যখন বট গাছের ছায়া উঠে যায় তখন আমরা সেই ছায়ার মূল্য বুঝতে পারি।বাবা আমাদের সবার কাছে প্রিয়। বাবার কথা ও বাবার কোন কাজের আদেশ পেলে আমরা সেই কাজে বেশি সাহস পেয়ে থাকি। কারণ সেটা আমরা মনে করি যে,বাবা তো আছেই। যখন পৃথিবী থেকে বাবা ডাকটি উঠে যাবে তখন আমরা সেটার মর্যদা বুঝতে পারি।
আমার বাবা অসুস্থ হওয়ার পর আমি সব সময় বাবার কাছে ছিলাম। কিন্তু বাবার বেশি বয়স হওয়ার কারনে বাবার কাছে গেলোও সে মনে করতো আমি তার কাছে যাইনি।কিন্তু আমি সেটা কোন ম্যাটার মনে করি না।আমি যতটুকু পারছি বাবার খেয়াল, এবং খেদমত করছি।আমি আগের পর্বে বলছিলাম যে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে সবাইকে চিনে নিছি।আসলে আমি সব ভাই এবং ভাবিদের কে চিনে ফেলছি। এমনকি যেই ভাবিকে সবার থেকে বেশি ভালো মনে করতাম সেই এমন হবে কখনো ভাবি নাই।
বাবা যখন প্রচুর অসুস্থতায় ভুগতেছে।তখন আমি সব ভাইকে বললাম যে বাবাকে কোন বড় হসপিটালে ভর্তি করাই।কিন্তু ভাইরা কোন গুরুত্ব দিলো না। পরে আমি নিজেই বাবাকে নিয়ে দিনাজপুর সরকারি হসপিটালে নিয়ে গেলাম। যাওয়ার সময় অনেক বড় ভাই এবং মামা রা ছিল তারাও একটু সাহায্য করছে।আমার সাথে আমার বাসার বন্ধুটা সব সময় সাপোর্ট দিয়েছে। আমি যেটা করতে পারি নাই সেটা ও করে দিছে।যাইহোক আমি সবার সাপোর্ট পেয়ে বাবাকে নিয়ে দিনাজপুর সরকারি হসপিটালে গেছি।বাবার চোখে পানি দেখে নিজেকে কখনো কন্ট্রোল করতে পারি নাই। তো দিনাজপুর সরকারি হসপিটালে গিয়ে বাবার জন্য একটা কেবিন ঠিক করলাম। সরকারি হসপিটাল তো তাই কোন কেবিন খালি ছিল না।তার পরেও জোর করে একটা কেবিন খালি করে বাবাকে সেখানে রাখছি।
তার পর বাবা তো পুরো অসুস্থ।ডাক্তার সেই সময় ছিল না। হসপিটালে যেই নার্স এবং ডাক্তার গুলো দায়িত্ব ছিল তারাই এসে বাবার চিকিৎসা করলো।এবং রুটিন অনুযায়ী কিছু ওষুধ দিলো।হসপিটালে হয়তো আমার বাবা ভালো হয়তো কিন্তু আমি বাবাকে সেখান থেকে নিয়ে আসছি।এখন কেনো নিয়ে আসছি এটা আগামী পর্বে শেয়ার করবো।তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
![]() |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
https://x.com/Polashislam681/status/1803755721336451328?t=J38BdfKbkWcV3mtfllwT6w&s=19