রমজানে আমাদের ইফতারি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
রমজানে আমাদের ইফতারি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি। পোস্টটি হলো রমজানের ৫ ম দিনের ইফতারি।রমজান মাস রহমতের মাস। এগারো মাস অপেক্ষার পরে আসে এই রমজান মাস।আসলে রমজান মাসকে ধৈর্যের মাস বলা হয়। রোজা রাখা হলো আমারা সবাই যাতে ক্ষুদা কি জিনিস অনুভব করতে পারি।রোজা আমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে । রোজার মাধ্যমে আমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারি।তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে আমরা অন্যায় থেকে দূরে থাকতে পারবো।আল্লাহ দেখানোর পথে চলতে পারব।যাইহোক তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
এগুলো হলো খেজুর , আসলে খেজুর হলো ইফতারের প্রধান খাবার। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারির সময় একটা খেজুর খেয়ে পানি খেলে, মনে প্রশান্তি নেমে আসে।
এই গুলো হয়তো আমরা সবাই কম বেশি বাসায় তৈরি করে থাকি। এগুলো হলো শরবত। আসলে পানি মুখে দেওয়ার পরে এক গ্লাস শরবত খেলে আরো অনেক ভালো লাগে। আরেকটা হলো ডাবের পানি। এই গরমের সময় এমন ডাবের পানি থাকলে মন প্রাণ জুড়ে যায়। তবে আমি কিন্তু ডাবের পানি খায় না।বাড়ির আর সবারই অনেক পছন্দ।
এগুলো হয়তো আমাদের সবারই বাসায় কম বেশি তৈরি করে।এই ফল গুলো সবাই এমনিতে খায় তবে ইফতারের সময় মনে হয় একটু বেশি ভালো লাগে। আমাদের ইফতারিতে ফল ছিল, আঙুর, আপেল, মালতা,পিঁয়ারা, তরমুজ, শসা। আসলে ইফতারি আগে মনে হয় সব ফল খেয়ে ফেলবো কিন্তু ইফতারের সময় আর খাওয়া হয় না।
এই জিনিস গুলো আমাদের সবারই বাসায় তৈরি করে থাকি। ছোলা ভুনা ছাড়া আমার মনে হয় ইফতারি জমে না। আসলে প্রতি রোজায় অন্য কিছু থাক বা না থাক ছোলা ভুনা থাকবেই আর এগুলো হলো পিঁয়াজু। পিঁয়াজু আমাদের ইফতারের কমন জিনিস। আসলে এতো ব্যস্ততার মধ্যে থাকি বিকেল বেলা বলার মতো নয়। অবশেষে বেগুনীর ছবি নিতে ভুলে গেছি।
এই গুলো হলো ছিটরুটি আর ডিম ভাজা। আমার শশুর বাড়ি আসার পর থেকেই প্রতি রোজায় ছিটরুটি বানানো হয়। তবে ছিটরুটি ডিম ভাজি ও মাংস দিয়ে ইফতারের সময় খাওয়া হয়।। আসলে প্রতি দিন মাংস থাকে না, তাই আমরা ডিম ভাজি দিয়ে খায়।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আমারো রোজায় ছোলাভাজা আর পিয়াজু না থকলে মনে হয় ইফতার ঠিকভাবে হলো না। যতকিছুই খাই না কেন ছোলাভুনা আর পিয়াজু লাগবে। যদিও ভাজাপোরা খাওয়া ঠিক নয় । তবু ও রোজায় এ দুটো আইটেম লাগবেই। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
জি আপু ভাজাপোড়া খাওয়া আসলে ঠিক নয়, তবে না থাকলে ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ! অনেকগুলো ইফতারের আইটেম রেখেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আমরাও প্রথমে খেজুর দিয়ে আর পানি দিয়ে ইফতারি করি পরে অন্যান্য খাবার খেয়ে থাকি। অনেকগুলো ফ্রুটসের আইটেম এবং অন্যান্য খাবার ও তৈরি করেছেন দেখে মন ভরে গেল। প্রতিটি ইফতারের খাবার ছিল মুখরুচক এবং লোভনীয় ছিল। অনেক ধন্যবাদ মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু এই খাবার গুলো মুখরোচক ও লোভনীয়, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ছিটরুটি আর ডিম ভাজা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু। ডিম ভাজা দিয়ে এই রুটিগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। ইফতারিতে কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি। আজকে নতুন একটি ইফতারের আইটেম দেখে ভালো লেগেছে। আপনার শাশুড়ি মা এই মজার খাবারটি অনেক পছন্দ করেন বোঝাই যাচ্ছে। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু ছিটরুটি আর ডিম ভাজা খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে,ধন্যবাদ আপনাকে।
ছিট রুটি আমাদের শীতকালেই খাওয়া হয় বেশি।আপনারা রোজায়ও করেন দেখে খুব ভাল লাগলো। আপনার ইফতারের আইটেমগুলো দেখে বেশ ভাল লাগলো।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে আপু ইফতারে আইটেম গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
রমজানের ইফতারি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার আজকের এই পোস্ট আমার অনেক ভালো লেগেছে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন বিস্তারিত বিষয়গুলো এবং প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি। এই রমজান আপনার জীবনে কল্যাণ বয়ে আনু সেই দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি তো দেখতেছি ইফতারিতে মোটামুটি অনেক কিছুই রেখেছেন। তরমুজ, আঙ্গর ফল, আপেল, মালটা, খেজুর, বোট আবার দেখলাম এক রকমের পিঠাও রেখেছেন। সবমিলিয়ে খুব মজাদার ইফতারি করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া একদিন চলে আসবেন অবশ্যই ইফতারে, ধন্যবাদ আপনাকে।