ধান কাটা শেষে দিন মজুরদের খাওয়ানো||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
আমাদের বাড়িতে অনেক দিন ধরে বেশকিছু দিন মজুর কাজ করছে।মোট সাতাশ দিন হবে চৌদ্দ জন দিন মজুর কাজ করছে। এখনো কাজ চলছে। তবে এখন ১৪ জন লোক লাগবে না। যে কাজ আছে আর দুই দিন করলে হয়তো শেষ হয়ে যাবে।আগের লোকজন গুলো চলে যাবে,আমাদের ও লাগবে না, শুধু তিন চার জন হলেই চলবে। আমদের ধান সম্পূর্ণ উঠানো হলে আমরা দিন মজুরদের পোলাও, মাংস ও পিঠা খাওয়ায়। তবে এবার শুধু পোলাও মাংস খাওয়াইছি।যদিও আমাদের ধানের কাজ আরো কিছুদিন লাগবে,তবে এই দিন মজুর গুলো অনেক দিন কাজ করেছে তাই উনাদের একটু খাওয়ালাম আরকি।
দিন মজুরদের খাওয়াতে চাইলে কি হয়? আমাদের পাশের আরো লোকজন আছে, তাই আরকি মোটামুটি ভালোই আয়োজন করেছি আমরা সবাই মিলে।আমি ও আমার জা মিলে সকাল থেকে সব কিছু রেডি করে নিয়েছি। আসলে কাজ তো অনেক, তবে সেদিন আর কাউকে খুঁজে পাইনি কাজ করার জন্য। কি আর করা আমরা দু জা মিলে আদা, রসুন, পিঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি জোগাড় করে নিলাম।তবে আমরা তো সব সময় বাড়ির চালের পোলাও রান্না করি। আসলে এবারের পোলাও চালের একটু ধান বেশি ছিল। ধান গুলো পরিষ্কার করতে অনেক সময় লেগেছে। আর পোলাও গুলোর ভিতর ধান থাকলে ভালো লাগে না, তাই অনেক কষ্ট করে ধান গুলো পরিষ্কার করেছি।যাই বলি না কেনো নিজের হাতের চাল খেতে অনেক ভালো লাগে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক পোলাও মাংস রান্না করা হয়েছে। পোলাও এর সাথে ছিল বেগুন ভাজি ও পাতলা ডাল আসলে এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম যে বেগুন ভাজির ছবি তুলে ভুলে গেয়েছি। সব কিছু মিলে বেশ ভালো খাবার তৈরি হয়েছিল। খাবার গুলো খেতে ও অনেক মজা। সব চেয়ে বড় কথা হলো আমার জার রান্না অনেক ভালো। যারা খেয়েছেন তারা বারবার খেতে চাবেন।যাইহোক সকল রান্না শেষ করলাম ভালো ভাবে।
এখন রান্না শেষ হলে সবার আগে দিন মজুরদের খেতে দেব। যদিও দিন মজুররা রাতে খাবে। তবে আমাদের সন্ধ্যার পর পর রান্না শেষ হয়ে গেছে। আর রান্না শেষ হলেই বাচ্চারা খাওয়ার জন্য অস্হির। তবে আমি সব বাচ্চাদের নিয়ে খেতে দিলাম। বাচ্চাদের খাওয়া শেষ হতে না হতেই, চলে এলো দিন মজুরা। তারপর বড় গামলা ভরে পোলাও ও মাংস বেড়ে রেখেছি, সেগুলো তাদেরকে দিয়ে দিলাম। দিন মজুরদের খাওয়া শেষ হলে আমাদের পাশের যারা আছে।তাদের জন্য বাটিতে বাটিতে করে কিছু পাঠিয়ে দিলাম। সবাই বেশ আত্মতৃপ্তি পেল খেয়ে।দিন মজুরা খেয়ে অনেক দোয়া করল। আর যাবার সময় বলল আবার সামনে বছর ধান কাটার সময় আসবে। ফোন নাম্বর নিয়ে গেল।আসলে এবার ধান কাটার সময় কোন বৃষ্টি হয়নি, তাই হয়তো আমাদের ধান গুলো ভালো ভাবে ঘরে এসেছে। । যাইহোক সব মিলে এবার ধানে গুলো ভালো ভাবেই ঘরে তুলতে পেরেছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য, যাতে ভবিষ্যতে আরো এভাবে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতে পারি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে৷
হ্যাঁ আপু আমাদের গ্রামের বাড়ির দিকে গুলোতে ও এরকম ধান কাটার শেষের দিন সবাইকে এভাবে ভালো-মন্দ রান্না করে খাওয়ানো হয় ।আপনার এটি দেখে খুবই ভালো লাগলো ।তবে হ্যাঁ নিজের ধানের পোলাও খেতে আসলেই বেশ ভালো লাগে ।আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই আনন্দ লাগলো।
জি আপু আমরা সব সময় নিজের ধানের পোলাও খায়,ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ে আনন্দ পাওয়ার জন্য।
দিনমজুররা অনেক খাটাখাটনির কাজ করে।তাদের খাইয়েছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি ঘরে তোলা ফসল দিয়ে রান্না বান্না করে খেতে মজাই আলাদা। আশা করি আপনাদের সকল কাজ সঠিকভাবে শেষ হবে
বড়সরো করে আয়োজন করেছেন দেখছি আপু। দিনমজুরেরা অনেক পরিশ্রম করে! সাতাশ জন লোক কাজ করেছে আপনাদের এখানে। পোলাও আর মাংস দিয়ে তাদের আপ্যায়নটা দারুণ।
জি ভাইয়া আমরা প্রতি বছর এভাবে খাওয়ায়,ধন্যবাদ ভাইয়া।
জেনে ভালো লাগলো আপনাদের বাসার ধান কাটা শেষ। দিনমজুররা অনেক কষ্ট করেছে যাওয়ার আগে পোলা মাংস খাইয়ে খুবই ভালো কাজ করেছেন। উনারা নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সত্যি উনারা অনেক কষ্ট করেছে, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আমার সব সময় একটা জিনিস বেশ আকর্ষণ হয় সেটা হচ্ছে যে বড় ডেকসির রান্নাগুলো আমার খুব বেশি ভালো লাগে।দেখলে আমার খাওয়ার লোভ লেগে যায়।ছোটকাল থেকে যেহেতু গ্রামে ছিলাম ওখানে নানার বাড়ি আমাদের বাড়ির লোকজন অনেক বেশি ছিল। তাই বড় ডেকসি নিয়ে রান্না করতো খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগতো।যারা এতদিন কষ্ট করতেছে আপনাদের দিন মজুররা তারাই তো খাওয়ার একমাত্র অধিকার রাখে।আপনি অনেক ভালো একটি কাজ করেছেন উনাদেরকে খাবার ব্যবস্থা করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ
সত্যি আপু এই দিন মজুর গুলোই খাবারের অধিকারী, আসলে আপু তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে আমরা দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারি।ধন্যবাদ আপু।
গ্রামে এরকম নিয়ম আপু বেশ ভালো লাগে।ধান কাটা বা কোনো কাজ শেষ হলে দিন মজুরদের একটু ভালো মন্দ খাওয়াতে পারলে অনেক ভালো লাগে।এতে ওনারা অনেক খুশি হয়।আপনাদের বাড়িতেও দেখছি তাই।খুব ভালো করেছেন।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপু।
জি আপু একটু ভালো খেলে উনারা অনেক খুশি হয়, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমিও কয়দিন আগে ধান কাটার জন্য ৬ জন কাজের লোক নিয়েছি। আসলে আমি মনে করি তারা কাজ করতে আসলো আমাদের মেহমান তাদের একটু ভালো করে খাওয়ানো আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেকে দেখা যায় কাজের লোকদের ঠিকমতো খেতে দেয় না। আপনার কাজের লোকদের খাওয়ানো দেখে খুবই ভালো লাগলো সত্যি আমি আনন্দিত হলাম। আপনি তাদের জন্য খুব চমৎকার খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে ভাইয়া তারা কাজ করে তাদের তো দুবেলা দুমুঠো ভালো খেতে দিতে হবে, আর আমরা কখনো তাদের খারাপ খাওয়নি,আমাদের সাধ্য অনুযায়ী খাওয়ানোর ব্যবস্হা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশেষে তাহলে আপনি কাছ থেকে অবসর পাচ্ছেন আপাতত। অনেক মজাদার খাবার রান্না করেছেন সবার জন্য দেখেই লোক হচ্ছে খুব মজাদার হয়েছিল।। ফটোগ্রাফিতে দেখলাম সবাই অনেক মজা করে খাচ্ছে। আসলে গ্রামের এক ঐতিহ্য কাজ শেষে মজুদদেরকে পেট ভরে এক ওয়াক্ত ভালো খাবার খাওয়ানো। আপনাদের আয়োজন দেখে অনেক ভালো লাগলো।।
জি ভাইয়া অনেকটা কাজের চাপ কমেছে, এখন ভাইয়ের বিয়ে শেষ হলেই আর ঝামেলা নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
দুদিন ধরে এত স্লো সার্ভার পোস্ট তেমন পড়তে পারিনি। এখন ফোনের ডাটা দিয়ে নিলাম।আপু আপনি বলেছিলেন অনেক কাজ এ সময়টাতে আপনার।এখন বুঝলাম ধান কাটার সময় তাই আপনি ব্যস্ত। খুব ভাল লাগলো পোস্টটি পড়ে। ধান কাটার পর সবাইকে খাওয়ানো খুব ভাল লাগলো। নিজের ক্ষেতের পোলাও এর চাল দিয়ে পোলাও খুব ভাল লাগে আসলে।আপনি আর আপনার জা দুজন মিলে সব করেছেন।আপনার জা এর রান্না খুব ভাল। আসলে কি একসাথে অনেক রান্না করলে খেতে বেশ মজার হয় আর দেখতেও ভাল লাগে। রান্নার কালার দেখেই বোঝা যায় রান্না খুব মজার হয়েছে। গ্রামের দরিদ্র এই দিন মজুরদেরকে রান্না করে খাইয়েছেন দেখে সত্যি ই খুব ভাল লাগলো। আশাকরি তারাও খুব খুশি হয়েছেন। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু নিজের খেতের পোলাও খেতে অনেক মজা, দিন মজুরাও অনেক মজা পেয়েছে, খাবার গুলো খেয়ে। এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবে ধন্যবাদ আপনাকে আপু।