বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কাটানোর মূহর্ত প্রথম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কাটানোর মূহর্ত প্রথম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করার জন্য। এখন প্রায় সব স্কুলে বার্ষীক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা চলছে। যদি আমাদের এখানে প্রাইমারি স্কুলে ক্রিয়া প্রতিযোগিতা তেমন হয় না। তবে চার বছর ধরে রেগুলারই হচ্ছে। আর স্কুলটা আমাদের বাড়ির অতি নিকটে থাকায় আমার মেয়েকে এখানেই পড়ায়। আসলে দুজনকে দূরে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আবার সাথে থাকা আমার সম্ভব নয়। তবে স্কুলে মোটামুটি ভালোই পড়ায়। কিন্তু স্টুডেন্ট একটু কম। তবে আমি শুধু স্কুলের অপেক্ষায় থাকি না আমি টিচার দিয়ে আমার মতো পড়ায়।যাইহোক আরো দুই দিন আগে স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়েছিল। যদিও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারিনি। তবে যতটুকু ছিলাম বেশ ভালোই আনন্দ করেছি।
আমি সকাল সকাল বাচ্চাদের নিতে স্কুলে গিয়েছিলাম। আসলে বাড়ির কাছে স্কুল থাকায় তারাতাড়ি গিয়ে ওদের দিয়ে এসেছি।তবে আমি যখন গিয়েছিলাম তখন তেমন কেউ আসেনি।টিচার আর ভলেন্টিয়াররা মিলে মাঠ সাজ গোজ করছে।তারপর বাচ্চাদের রেখে একটু চারপাশ দিয়ে ঘুরে এলাম। আর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। আসলে আমাদের স্কুলের মাঠ অনেক বড় তাই এক পাশে গেলে অন্য পাশে দেখা যায় না বলেই চলে। আমরা যখন গিয়েছি তখন লোকজন কেবল মাত্র আসতেছে।তাই আমি কিছু সময় অপেক্ষা করতে থাকলাম।
আমি কিছু সময় অপেক্ষা করার পরপরই চলে আসলো অনেক লোকজন। তখন সকাল সাড়ে আটটা বাজে। এভাবে লোকজন আস্তে আস্তে মাঠ ভরে গেল।তারপর বাচ্চাদের প্রাথমিক সব কাজ শেষ করলো।আমি আবার বাড়িতে আসার জন্য রওনা দিলাম। আসলে বাড়ির সব কাজ শেষ করে আবার যাব।আমার দুই মেয়ের খেলা ছিল কিন্তু তারা খেলা দেবে না। তারজন্য আমি চলে এসেছিলাম।
তারপর দেখলাম বাচ্চাদের খেলা নিচ্ছে। আসলে বাচ্চাদের খেলা দেখতে অনেক ভালো লাগে। তবে সময়ের অভাবে সব খেলা দেখতে পারিনি। যখন চলে আসবো তখন খেলা শুরু হয়ে গেল তারজন্য একটু দাঁড়িয়ে দুইটি খেলা দেখে এসেছি।সত্যি বেশ ভালো উপভোগ করেছিলাম।[চলবে]
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1890750774386315538?t=4HGrnF_OLe79ztTUt83jtQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের খেলা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনাদের বাড়ির কাছেই স্কুল বলে খুব দ্রুত বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসলেন। ক্রিয়া প্রতিযোগিতা গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতে দেখা যায়। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
জি আপু বাচ্চাদের এই খেলা গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান কি হলো অনেক ভালো লাগে। এ অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বাচ্চারা যেমন অনেক আনন্দ পায়, তেমনি তাদের মেয়েদের বিকাশ বাড়ে। আমরা স্কুল কলেজে থাকার সময় প্রিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। এটা খুবই ভালো একটি দিক। ধন্যবাদ।