রাতে ঝালমুড়ি ও ফুসকা খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
রাতে ঝালমুড়ি ও ফুসকা খাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে এবার ঈদে অনেক ঘোরাঘুরি করেছি। ঈদের পরের দিন আমরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম আমার বাবার বাড়িতে। আমার মনে হয় বাবার বাড়ির মতো শান্তি পৃথিবীর কোথাও নেই। তবে বিয়ের পরে আর বাবার বাড়িতে আসতে অনুমতি লাগে। যাইহোক অনেক দিন হলো বাবার বাড়িতে যাওয়া হয়না। তবে ঈদের পরের দিন আমরা সবাই গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ির সামনে ছোট একটা ব্রিজ হয়েছে। সেই ব্রিজের ওপর বিকেল বেলা থেকে ফুসকা, ছোলা ভুনা, চটপটি ও ঝালমুড়ি ইত্যাদি বিক্রি করে থাকে।আমি বিকেল বেলা ঘুমিয়ে ছিলাম। সন্ধ্যার পরে আমার ভাগ্নে অনেক গুলো বাদাম কিনেছে। তারপর এসে আমাদের সবাইকে খেতে দিল তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোথাও থেকে আনছ।তখন আমার ভাগ্নে বললো ব্রিজের ওপর সব কিছু আছে গিয়ে আনতে পারো।তারপর আমরা সবাই মিলে চটপটি খেতে গেলাম। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যেহেতু রাত হয়েছে তাই আমি ফোন হাতে করে নিয়েছি। আসলে ব্রিজটা নতুন হয়েছে তাই মানুষের অভাব নেই। সত্যি বলতে আমরা সবাই গিয়েছে চটপটি খাওয়ার জন্য। আসলে এই এক অন্য রকম অনুভূতি। ব্রিজের ওপর দিয়ে অনেক লোক বসে আছে। আর ঝালমুড়ি চাচা সব কিছু দিয়ে সারতে পারছে না। তারপর আমরা এক সাথে আটজন গেলাম। আমরা একেক জন একেক জিনিস অর্ডার করলাম।প্রথমে আমার মেয়ের জন্য ঝাল মুড়ি অর্ডার করলাম।
তারপর একেক জন ফুসকা, বাদাম, ছোলা ভুনা ইত্যাদি অর্ডার করে বসে রইলাম। আসলে বাচ্চাদের আর দেরি সহ্য হচ্ছে না। তবে দোকানদার চাচা একেক করে বানাতে সময় লাগবে।তারপর আমি বললাম বাচ্চাদের আগে দিয়ে নিন তারপর আমরা খাব।আসলে আমাদের সবার দশ টাকা করে বরাদ্দ ছিল। আর আপনারা তো বুঝেন দশটাকা তাহলে পরিমাণ কতোটুকু হবে।এদিকে আট জনের দিতে দিতে অন্য দিকে বাচ্চাদের খাওয়া শেষ হয়ে যায়। তারপর চাচাকে বললাম আপনি একেবারে আটটা বানিয়ে তারপর সবাইকে দেবেন। চাচা বললো ঠিক আছে তাহলে আপনারা সবাই বসুন।
তারপর চাচা এক সাথে আমাদের আট প্লেট দিল। আসলে আমাদের ঘরে সাথেই ব্রিজ তারপর ঈদ তাই লোকজনের অভাব নেই। সত্যি বলতে ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে এভাবে ফুসকা খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে মনে হচ্ছিল যেন আমরা কলেজ ক্যাম্পাসে খাচ্ছি। আসলে এই অনুভূতি গুলো কখনো বলে প্রকাশ করা যায় না। সত্যি কলেজ লাইফের দশ টাকার ঝালমুড়ি খেতে অনেক মজার ছিল। আর এভাবে অনেক জন মিলে খেতাম। যাইহোক চাচা গ্রামের ভিতরে নিজের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করে বেশ ভালো লাভবান। আর অন্য দিকে গ্রামের মানুষ গুলো সহজে এই খাবার গুলো খেতে পারে। তবে খাবার গুলো মোটামুটি ভালোই ছিল। আমি ছোলা ভুনা খেয়েছিলাম বেশ মজা লেগেছিল। যাইহোক বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আসলে দীর্ঘ দিন পর বাবার বাসায় গেলে অনেক ভালো লাগে। আসলে নিজের জন্মভূমি কখনো পর হয় না। আপনার বাসার সামনে এতো সুন্দর একটি ব্রিজ রয়েছে, দেখে বেশ ভালো লাগছে আমার কাছে।আর এই ব্রিজের মধ্যে রাতের বেলা বেশ কিছু দোকান বসে, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।আর আপনি দীর্ঘ দিন পর বাবার বাসায় গিয়ে রাতে ঝালমুড়ি ও ফুসকা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আপনার অনুভূতি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
সত্যি ভাইয়া নিজের জন্মভূমিকে কখনো ভুলা যায় না, ধন্যবাদ আপনাকে।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1806684867977162972?t=BSjAGDBo5eevQ1vN0ySypg&s=19
রাতে খাওয়া দাওয়া করতে ভীষণ ভালো লাগে। আজকে আপনি রাতে ঝালমুড়ি ও ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি তুলে ধরেছেন। ফুচকা মেয়েরা সচরাচর খেতে পছন্দ করে আমারও অনেক ভালো লাগে। ঝাল মুড়ির পাশাপাশি ফুচকাটা বেশ জনপ্রিয় খেতেও বেশ সুস্বাদু।
আসলে ভাইয়া আমার যদি ভুল না হয় ফুসকা ছেলে মেয়ে ছোট বড় সবাই পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু আমরা সবাই ঈদের মধ্যে পরিবার নিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছি। বাবার বাড়িটা এক সময় পছন্দের জায়গা ছিলো। তবে এখন বিয়ের পর বাবার বাড়ি যেতে পারমিশন লাগে। একদমই ঠিক বলেছেন মেয়েদের বাবার বাড়ি হচ্ছে পৃথীবির শান্তির জায়গা। চালমুড়ি ও ফুসকা খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি। সবাই মিলে বেশ জমিয়ে আডডা এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
আপনি ঝালমুড়ি খেতে পছন্দ করেন জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার পোস্টের টাইটেল এ ঝাল মুড়ি বানান কিছুটা ভুল রয়েছে আশা করি ঠিক করে নিবেন। সবাই মিলে একসাথে ঝাল মুড়ি এবং ফুচকা খেতে গিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। সবাই মিলে এরকম একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে আসলেই খুব ভালো লাগে।
ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্য কথা বলতে মেয়েদের বাড়ি বলতে কিছুই নেই। বিয়ের আগ পর্যন্ত বাবার বাড়ি বিয়ে হয়ে গেলে শ্বশুরবাড়ি। রাতে ঝাল মুড়ি ফুসকা খেতে গিয়েছেন। মেয়েরা ফুচকা খেতে একটু বেশি পছন্দ করে। আর আপনার অনুমতিটা পড়ে বেশ ভালই লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলছেন আপু আমরা যেদিকে ঘুরতে যাই না কেন বাবার বাড়িতে না গেলে ভালো লাগেনা। ঈদের পরের দিন চলে গেলেন অনেক ঘোরাঘেরা করলেন। তবে ব্রিজে ঘুরতে গিয়ে ঝাল মুড়ি এবং ফুচকা খাওয়ার অনুভূতিটা শেয়ার করলেন। বেশ ভালো লেগেছে বের হলে এই ধরনের খাবার গুলো খেতে। অনেক ভালো লাগে খেতে সবাই মিলে।
জি আপু এই ধরনের খাবার গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
রাতে ঝালমুড়ি আর ফুচকা খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন। এ জাতীয় খাবারগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে কিন্তু গ্যাসের কারণে ভালো খেতে পারি না। তবু আপনার অনুভূতি দেখে বেশি লোভ লাগলো।
আসলে আপু গ্যাস থাকলেও মাঝে মাঝে না খেলে অনেক ভালো লাগে না, ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝেমধ্যে এভাবে যদি ঝাল মুড়ি জাতীয় ফুচকা জাতীয় খাবার খাওয়া যায় তাহলে খুব ভালো লাগে। একা ঘরে খাওয়ার চেয়ে অনেক জন একসাথে খাওয়ার মজা আলাদা। ঠিক তেমনি সুন্দর একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।