সুস্বাদু পাকন পিঠা বানানোর রেসিপি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট :
প্রতিদিনের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি মজার রেসিপি নিয়ে। রেসিপিটি হলো পাকন পিঠা বানানোর রেসিপি। বেশকিছু দিন হলো পাকন পিঠা খাওয়া হয়নি।এই পিঠা তৈরি করতে একটু ঝামেলার কাজ, তাই আরকি তৈরি করা হয়নি।গত শুক্রবার আমি গিয়েছিলাম আমার বাবার বাড়ি। তবে আমার মা অন্য পিঠা তৈরি করেছিল কিন্তু আমি বলেছি পাকন পিঠা খাব। মা বলল বানিয়ে দেব মা বলে কথা। যেই বলা সেই কাজ। শুরু করলাম পিঠার আয়োজন। আমি আমার মা ও আমার বোন মিলে পিঠা গুলো তৈরি করেছি।বেশ কিছু পিঠা তৈরি করেছিলাম।কারণ আমরা সবাই পিঠা নিয়ে আসবো।পিঠা গুলো অনেক মজার ছিল। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন দেখে আসি আমি কিভাবে পিঠা গুলো বানিয়েছি।
১.চালের গুঁড়া
২.চিনি
৩. লবন
৪.তেল
৫. পানি
৬.নারকেল কুড়া
ধাপ-১
প্রথমে আমি কড়াইতে পরিমাণ মতো পানি ও লবন দিয়ে দিলাম। পানি ফুটে আসলে তার ভিতর চালের গুঁড়া গুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-২
চালের গুঁড়ো দিয়ে কিছু সময় ঢেকে এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব।
ধাপ-৩
কড়াই থেকে বাটিতে তুলে এভাবে মুথে ডো তৈরি করে নেব।
ধাপ-৪
এখন নারকেল কুড়া ও চিনি নিয়ে দেব।
ধাপ-৫
এখন একটি কড়াইতে ঢেলে এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব।
ধাপ-৬
মুথে নেওয়া ডোটা থেকে এভাবে রুটি বেলে নেব।
ধাপ-৭
এখন নারকেল দিয়ে এভাবে বানিয়ে রুটির ভিতর এভাবে দিয়ে কেটে নেব।
ধাপ-৮
এভাবে সব পিঠা বানিয়ে চুলাই কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৯
তেল গরম হয়ে আসলে পিঠাগুলো দিয়ে এভাবে উল্টেপাল্টে ভেজে নেব। এভাবে সবগুলো পিঠা ভেজে নেব।
ধাপশেষ
ব্যাস এভাবে হয়ে গেল মজার পাকন পিঠা রেসিপি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কেমন হয়েছে বন্ধুরা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
পিঠা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি আপু। আপনার তৈরি করা এই পিঠাগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আমার অঞ্চলে এই পিঠাগুলো পুলি পিঠা নামে পরিচিত। যাই হোক আপু অঞ্চল ভেদে হয়তো নামের পার্থক্য রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া নাম যাইহোক পিঠাগুলো কিন্তু মজার। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পাকন পিঠা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে এই পিঠা বানানো খুবই ঝামেলার। অনেক সময় নিয়ে এই পিঠা বানাতে হয়। এ পিঠা খেতে খুবই মুচমুচে হায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু পিঠা খেতে মজা কিন্তু তৈরি করতে অনেক ঝামেলা।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
সুস্বাদু পাকন পিঠা বানানোর রেসিপি দেখে শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। পাকন পিঠা। খেতে ভীষণ মজা লাগে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
ভাইয়া সত্যি খেতে অনেক মজা লাগে। একদিন অবশ্যই তৈরি করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর ভাবে মজাদার পাকন পিঠার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ও সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া পিঠাটা অনেক সুস্বাদু, মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পাকন পিঠা খুব ঐতিহ্যবাহী একটি পিঠা। ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি আম্মা প্রায়ই এই পিঠা বানাতেন। আপনার পাকন পিঠা বানানোর পদ্ধতি আমার খুব ভাল লেগেছে। চালের গুঁড়া দিয়ে ডো বানিয়ে রুটি বানানো, নারকেল কোড়ানো চিনির সাথে মিশিয়ে পুর বানানো, তারপর রুটির ভেতর নারকেল পুর দিয়ে তেলে ভেজে নেওয়া বেপারগুলোই খুব ইউনিক। ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে
পাকন পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। বিশেষকরে নারিকেল বেশি দিয়ে বানানো হয় বলে একটু স্বাদ বেশিই লাগে। তবে পাকন পিঠা বানাতে একটু সময় লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অনেক দিন পরে আপনার মাধ্যমে পাকন পিঠা দেখতে পেলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
সত্যি ভাইয়া নারকেল বেশি থাকে বলে অনেক মজা। আর সময় বেশি লাগে ধন্যবাদ আপনাকে।
সুস্বাদু কাকন পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অনেকদিন হলো কাকন পিঠা খাওয়া হয়নি। এই কাকন পিঠা কে আমরা নারকেল পুলি বলে থাকে। এটা খেতে খুবই ভালো লাগে তবে বানানোটা আমার কাছে কষ্টকর মনে হয়। নানুর বাড়িতে গেলে এই পিঠাটি খাওয়া হয়। সুস্বাদু পিঠা তৈরি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন আপু নানুর বাড়িতে এই পিঠা বেশি খাওয়া হয়ে থাকে।ধন্যবাদ
সুস্বাদু পাকন পিঠা বানানোর রেসিপি টা অনেক ভালো হয়েছে। এই পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে কিন্তু মিষ্টি না দিয়ে জাল দিয়ে তৈরি করলে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এগুলো বানাতে অনেক ঝামেলা এবং কষ্ট সাধ্য ব্যাপার মনে হয়। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া বানানো কষ্ট হলে ও খেতে অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনাকে।
পাকান পিঠা তৈরীর খুবই চমৎকার একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ভিডিওটি আমার কতটা প্রিয় তা আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না খুবই ভালো লাগে এটা আমার কাছে। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আপনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন কিভাবে পাকান পিঠা তৈরি করতে হয়।
জি ভাইয়া পিঠা আপনার প্রিয় জেনে অনেক ভালো লাগল কারণ আমার ও প্রিয় পিঠা।ধন্যবাদ
পাকন পিঠা আমার অনেক পছন্দের। আমি মাঝে মাঝেই বাসায় এই পিঠাটি তৈরি করি। আপনি অনেক সুন্দর করে পিঠা গুলোর প্রস্তুত প্রণালী আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সত্যি আপু পিঠাগুলো খেতে অনেক মজা। কিন্তু তৈরি করতে একটু কষ্টকর। যাই হোক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।