চিংড়ি দিয়ে কচুর মুখির ঝোল রেসিপি।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতি সপ্তাহেই আমি আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করি। তাই আজও একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আমি আজ আপনাদের সাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর মুখির ঝোল রেসিপি শেয়ার করব। চিংড়ি মাছ আমি খুব পছন্দ করি সেজন্য আমাদের বাসায় বেশি বেশি চিংড়ি মাছ রান্না হয়। আর তাই চিংড়ি মাছের বিভিন্ন রেসিপি ও আপনাদের সাথে প্রায় সময় শেয়ার করি। চিংড়ি এবং কচুর মুখি দুটিই আমার খুবই প্রিয়। আর চিংড়ির সাথে কচুর মুখির ঝোল আমার গরম ভাত দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। এই রেসিপি অনেকে অনেক ভাবে রান্না করতে পারে কিন্তু আমি কিভাবে এই রেসিপিটি রান্না করি সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাহলে চলুন শুরু করি।
• চিংড়ি মাছ
• কচুর মুখি
• পেঁয়াজ
• রসুন
• কাঁচা মরিচ
• আদা
• ধনিয়া গুড়া
• জিরা গুড়া
• লবণ
• হলুদ
• লাল মরিচের গুঁড়া
• তেল
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে একটি কড়াইতে পেঁয়াজ এবং রসুন হালকা লাল লাল করে ভাজি করে সামান্য জিরা দিয়ে সুন্দর একটা স্মেল বের হলে নামিয়ে নিব। এই মসলাটা সুন্দর করে বেটে নিব। আর এই মসলাটা তরকারি নামানোর কিছুক্ষণ আগে দিয়ে দেবো। আমি প্রায় ঝোল তরকারির ভিতরে এই মসলাটা ব্যবহার করি। এতে সুন্দর একটি স্মেল বের হবে তরকারির ঝোল দিয়ে।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
সেম কড়াইয়ে আরো একটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা,এবং মরিচ বাটা দিয়ে ভালো করে কষাবো।কিছুক্ষণ পর দিয়ে দেবো গুড়া মসলা গুলো।
![]() | ![]() |
---|
এখন হালকা পানি দিয়ে ভালোভাবে মশলাগুলো কষিয়ে নিব।
মসলা কষানো শেষ হয়ে আসলে চিংড়ি মাছগুলো মসলার মধ্যে দিয়ে দিব এবং খুব ভালোভাবে কষাবো।
এখন মসলাগুলো থেকে মাছগুলো উঠিয়ে বাকি মসলার মধ্যে কচুর মুখি গুলো দিয়ে দিব।
![]() | ![]() |
---|
এখন কচুর মুখির মধ্যে হালকা পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নেব সিদ্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
![]() | ![]() |
---|
এ পর্যায়ে চিংড়ি মাছ এবং পরিমাণমতো ঝোলের পানি একসাথে দিয়ে দিব।
![]() | ![]() |
---|
এখন তরকারি নামানোর ঠিক দুই মিনিট আগে মশলা বাটা টা দিয়ে দিব। তারপর ঝোল কমে আসলে চুলাটা অফ করে দিব।
এখন একটা পাত্রে খুব সিম্পল ভাবে পরিবেশন করে নিয়েছি।
আশা করি, আমার আজকের রেসিপি পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আপনাদের সুন্দর সুন্দর কমেন্ট আমাকে অনেক বেশি উৎসাহ দেই। আজ এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

চিংড়ি মাছ এবং কচুর মুখি আমার অনেক প্রিয় খাবার। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে চিংড়ি মাছ এবং কচুর মুখি দিয়ে রেসিপি করেছেন। চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর মুখি রান্না করলে খেতে এমনি তো খুব মজা হয়। গরম ভাত এবং গরম রুটি খেতে অনেক মজা লাগে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গুছিয়ে সুন্দর একটি মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
কচুর মুখির তরকারি খেতে আমার ভালো লাগে। তবে চিংড়ি মাছ খাওয়া হয়না আপু এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে। আপনি যেভাবে রান্না করে দেখিয়েছেন খেতে নিশ্চয় মজা হয়েছে।
এভাবে চিংড়ি এবং কচুমুখী রান্না খাওয়ার সুযোগ হয়তো হয়নি তবে চিংড়ি মাছ খেতেও আমার কাছে ভালো লাগে আর কচি মুখী খেতেও বেশ ভালো লাগে। তাই আশা করা যায় চিংড়ি এবং কচু মুখী এভাবে রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি এবং কচুর মুখি এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আশা করি খুবই ভালো লাগবে আপনার কাছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখছি। কচুরমুখী আর চিংড়ি মাছ কিন্তু আমার অনেক প্রিয় খাবার। আর এমন করে ঝোল রান্না করে খেলে তো আর কথাই নাই এক বসায় কয়েক প্লেট ভাত খাওয়া যায়। আপনি রেসিপিটির সবগুলো ধাপ বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনও করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপিটি। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও চিংড়ি মাছ খুবই প্রিয় । চিংড়ি মাছের যেকোনো রেসিপি আমার কাছে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনি আজকে কচুর মুখির ঝোল রেসিপি করেছেন চিংড়ি মাছ দিয়ে দারুন একটা রেসিপি। এই সময়ে এই ধরনের রেসিপি বেশি খাওয়া হয় ভালো লাগলো আপনার রেসিপি তৈরি।
চিংড়ি দিয়ে কচুর মুখির রেসিপি অনেক সুন্দর ভাবে রন্ধনশৈলী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
এমন রেসিপি আমারও খুব ফেভারিট দেখেই তো খুব লোভ হচ্ছে।
নিশ্চয়ই খেতে খুব মজা হয়েছিল।
আপনি খুব লোভনীয় চিংড়ি কচুরমুখী ঝোলের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু, রেসিপিটি খেতে সত্যিই অনেক মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপনি চিংড়ি দিয়ে কচুর মুখির ঝোল রেসিপি করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য এবং চিংড়ি মাছ আমারও ভালো লাগে অনেক।
আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর মুখী খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে এখান থেকে তুলে খেতে ইচ্ছে করছে। কালার দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। আমার পছন্দেরও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চিংড়ি মাছ আমি খাইতাম না কিন্তু বেশ কিছুদিন পর আমি চিংড়ি মাছ খেয়েছিলাম। বেশ ভালই লাগতেছে। আপনি চিংড়ি দিয়ে কচুর মুখির ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন অসাধারণভাবে। জ্বী আপু আমার ও মনে হচ্ছে গরম ভাত দিয়ে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগবে। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি কি সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। আমরা ইচ্ছা করলেই বানিয়ে নিতে পারব আর রন্ধন প্রণালী তো অনেক দারুন বর্ণনা ছিল। খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবে যে কেউ। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ছিল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জি ভাইয়া, এই ধরনের রেসিপি গুলো গরম ভাত দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে।