রেসিপি||—ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুচমুচে বেগুনি তৈরী।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি রেসিপি পোস্ট। এই রেসিপিটি কয়েকদিন আগেই প্রস্তুত করা। আজকের রেসিপিটি হল ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেগুনি তৈরি। বেগুনি খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাই মাঝে মাঝেই বাসায় তৈরি করা হয়। বাজার থেকে কেনা বেগুনি গুলোর মধ্য তো বেগুন খুঁজেই পাওয়া যায় না। তাই আমরা যখন বাসায় বেগুনি তৈরি করি তখন বেগুনের স্লাইসটা একটু মোটা করে কাটার চেষ্টা করি। আমি যেভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেগুনি তৈরি করেছি এভাবে বাসায় বেগুনি বানিয়ে খেলে কিন্তু অনেক মজা লাগে। বাজারে এসকল জিনিস খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। যদি বাসায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে এই বেগুনি রেসিপিগুলো তৈরি করে খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু খুবই ভালো। কিন্তু এই ধরনের রেসিপিগুলো প্রতিনিয়ত খেতে থাকলে এমনিতেই অনেক সমস্যা হয় শরীরের। কিন্তু মাঝে মাঝে এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে অনেক মজা লাগে। তাহলে চলুন আমার তৈরি বেগুনের রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক।
• বেগুন
• বেসন
• চালের গুড়া
• লবণ
• হলুদ
• মরিচ গুঁড়া
• বেকিং পাউডার
• গরম মসলার পাউডার
• তেল
প্রথমে বেগুনগুলো নিজের পছন্দমত সাইজ অনুযায়ী কেটে নিতে হবে। বেগুন কাটার পর লবণ পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবো যাতে বেগুনগুলো কালো না হয়ে যায় এবং বেগুনের মধ্যে হালকা লবণ প্রবেশ করে। ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে।
এ পর্যায়ে একটি পাত্রে বেসন নিয়ে নিয়েছি।বেসনের তিনভাগের এক ভাগ চালের গুড়া নিতে হবে। এর মধ্যে একে একে সকল ধরনের মসলাগুলো দিয়ে দিব যেমন :লবণ, হলুদ, মরিচ গুঁড়া, বেকিং পাউডার, গরম মসলার গুড়া।
এখন সবগুলো উপকরণ হালকা পানি দিয়ে মিশিয়ে পারফেক্ট একটি ব্যাটার তৈরি করে নিব। খেয়াল রাখতে হবে ব্যাটারটি যেন একদম পাতলা এবং একদম ঘন না হয়।
এখন একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে নিব। বানিয়ে রাখা ব্যাটারের মধ্যে বেগুনের স্লাইস গুলো কোড করে গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দিব।অল্প আঁচে সময় নিয়ে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মুচমুচে বেগুনি।
এটাই আমার তৈরি বেগুনির ফাইনাল লুক।
আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আজ আর বেশি কিছু লিখছি না, দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। যদিও বেশি খেলে সমস্যা হয়। তার পরেও খেতে ভীষণ ইচ্ছে করে। মুচমুচে বেগুনি তৈরী দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। ভিন্ন রকম সেফে বেগুনী তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার তৈরি করা দেখে আমিও শিখে নিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি রেসিপি পরিবেশন করার জন্য।
আমরা বাঙালি তো তাই সমস্যা জেনেও খাওয়া বাদ দিতে পারি না। যাইহোক, অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
বেগুনি খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে আপু। রমজান মাসে প্রতিদিন প্রায় বেগুনি অথবা আলুর চপ তৈরি করা হতো কিন্তু এখন আর হয় না। আপনার রেসিপি দেখে তো ইচ্ছে করছে আমার এখন বেগুনি খেতে। আপনার রেসিপিটা সত্যি লোভনীয় হয়েছে আপু ধন্যবাদ।
রমজান মাসে ইফতারিতে বেগুনি না হলে আমারও একদমই জমে না আপু।
আপু আপনার বেগুনি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু রমজান মাসে এমন বেগুনি প্রতি নিয়ত খাওয়া হয় তবে এখন আর তেমন খাওয়া হয় না।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু,,, রমজান মাসে প্রায় প্রতিদিনই বেগুনি খাওয়া হয় বাসায় তৈরী করে। কিন্তু অন্য সময় কেনা বেগুনি মাঝে মধ্যে খাওয়া হয়।
আলুর চপ বেগুনি চপ এবং পিয়াজু আমার খুবই প্রিয়।
আপনার প্রস্তুত করা মুসমুচে বেগুনের চপের ফটোগ্রাফি দেখেই তো জিভে জল চলে এলো।
খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল।
চপ প্রস্তুতের ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য।
বাসায় স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরী করা এই বেগুনি খেতে অনেক বেশি টেস্টি হয়েছিলো।
তেলেভাজা যেকোনো খাবারই আমার ভীষণ পছন্দ। আর সেটা যদি হয় বেগুনি তাহলে তো কথাই নেই। আমার খুবই ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তেলে ভাজা খাবার আমারও খুব পছন্দ। কিন্তু প্রতিনিয়ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেগুনি আমার খুবই প্রিয়। রমজান মাসে এই খাবারগুলো অনেক খাওয়া হয়। রমজান মাস শেষ হওয়ার পর আর খাওয়া হয়নি আপু। গরম গরম বেগুনি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার তৈরি করা রেসিপির পদ্ধতি দেখে আমিও এই রেসিপি শিখে নিলাম আপু।
অন্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে এই খাবার গুলো বেশি খাওয়া হয় ভাইয়া। গরম গরম বেগুনি খেতে সত্যি খুব মজা।
তেলে ভাজা খাবার গুলো শরীরের ক্ষতি করে তারপরও খেতে ভালো লাগে। তবে বাজার থেকে কিনে আনা খাবার গুলো অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। তাই মাঝে মাঝে বাড়িতে ই এরকম ভাবে কিছু বানিয়ে খেলে মন্দ হয় না। আজকে আপনার শেয়ার করা বেগুনি বানানোর রেসিপিটা দেখতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আশা করি এটা খেতেও বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে বেগুনি বানানোর এই রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া, বেগুনি রেসিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও অসাধারণ মজা ছিল।
আসলে রাতের বেলায় আপনার বেগুনির পোস্টটি দেখে আমার বেগুনি খেতে ইচ্ছে করছে। এত রাতে এখন কি করা যায়। আসলে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে এই বেগুনি তৈরি রেসিপিটা শেয়ার করেছেন। আসলে বেগুনি খারাপ হলেও কিন্তু আমার কাছে এই বেগুনি একটা প্রিয় খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে আজকে এই লোভনীয় খাবারটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি সম্পর্কে এত সুন্দর একটি মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিজে হাতে এভাবে রেসিপি তৈরি করতে পারলে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে মনের মধ্যে। আর কিছুটা হলে ভেজালমুক্ত সুন্দর খাবার হয়ে থাকে। আর তাই পরিবারের মানুষও বেশি স্বাচ্ছন্দে খেতে পারে এই জাতীয় বেগুনি রেসিপি গুলো। আমিও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি আপু সুন্দরভাবে তৈরি করে পরিবারের সবাইকে খাওয়াতে। আশা করি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল আপনার এই রেসিপি।
আপনিও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করেন রেসিপিগুলো সুন্দরভাবে তৈরি করে পরিবারকে খাওয়াতে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু।