গর্ভধারিণীর আত্মত্যাগ ও সমাজের কার্যক্রম
আমাদের সমাজের প্রতিটা ঘরেই খুব সুসংবাদ একটি ব্যাপার হয় একটা মায়ের কনসিভ করা। অর্থাৎ পরিবারের নতুন একটি সদস্য আসা। আমার মনে হয় না একটা পরিবারের জন্য এর চেয়ে খুশির সংবাদ আর কোনো কিছু হয়। কিন্তু এই খুশির সংবাদটিতে সবচেয়ে অবহেলিত হয়ে যায় সেই গর্ভধারিণী মা। এটা একেবারে তিক্ত একটি সত্য কথা। হয়তো হ্যাঁ বাচ্চাটি পৃথিবীতে আসার আগ পর্যন্ত সবাই মায়ের যত্ন নেয় এবং যেটা নেওয়া জরুরী। কিন্তু তার চেয়েও যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। সেটা হলো বাচ্চাটা যখন পৃথিবীর আলো দেখে। তখন মায়ের যত্ন নেওয়া।যেটা আমাদের সমাজে একেবারেই ইগনোর করা হয়।
আসলে যখন একটা শিশু পৃথিবীর মুখ দেখে। তখন পুরো পরিবার সেই বাচ্চাটিকে নিয়ে মেতে থাকে। আর মায়ের তখন হয় দ্বিগুণ কষ্ট।কারণ তখন তার নিজেকেও সামলাতে হয়। সে সাথে বাচ্চাটিকেও সামলাতে হয়। সবাই হয়তো বাচ্চাটিকে আদর করলেও। বাচ্চাটির গুরুদায়িত্ব কিন্তু থাকে মায়ের উপর এবং তখন সবচেয়ে বেশি যত্ন নেওয়ার দরকার হয় মাকে, কিন্তু সেটা নেওয়া হয় না।
বিশেষ করে একটা বাচ্চা হওয়ার পর প্রতিটা মহিলার বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক বদল আসে। যে বদলগুলো আমাদের সমাজ দেখেও না দেখে থাকে। এটাই আসলে আপনাদের করুণ সমাজ ব্যবস্থা। আসলে আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থা টি বদলানো উচিত। এতে অনেক মা তার সন্তানদের মানসিক চাপ ছাড়া বড় করতে সক্ষম হবে। আসলে আমাদের জন্মদাত্রী মা আমাদের জন্য কতোটা কষ্ট করে। সেটা হয়তো আমরা কখনোই বুঝতে পারবো না। আর যে সব পরিবার এ মা এর যত্ন নেওয়া হয় না সে সব পরিবারের মেয়েরা কতোটা কষ্টে নিজেদের সন্তান মানুষ করে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।আমরা অন্তত এমন পরিবার না হই!
একজন মা তার সবকিছু উজাড় করে দিয়ে তার সন্তানকে পৃথিবীতে আনার চেষ্টা করেন। আর এটা যেন মায়ের জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। মায়ের ঋণ কখনো আমরা শোধ করতে পারবোনা। তারা নিজের চিন্তা না করেই সন্তানদের কথা চিন্তা করে।
একটা মায়ের আত্মত্যাগের কারণেই একটা সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। পরিবারের জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দের বিষয় হচ্ছে একটা মা যখন কনসেপ্ট করে। মায়ের অবদান কখনো ভুলা যায় না। মায়ের আত্মত্যাগের কারণেই আমরা দুনিয়ার মুখ দেখলাম। খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আসলেই অদ্ভুত টাইপের। সমাজের মানুষের কিছু কিছু কর্মকাণ্ড দেখলে একেবারেই অবাক হয়ে যাই। যাইহোক দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর, প্রতিটি মা'কে অবশ্যই বেশি বেশি যত্ন করা উচিত। কারণ একজন মা যে কতো কষ্ট করে সন্তানকে বড় করে, সেটা শুধুমাত্র একজন মা ই জানে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।