প্রতারণার শিকার হয়ে প্রবাসীর জীবন অবসান (অষ্টম পর্ব)
তখন শাওন বলে তুমি যা ভালো বোঝো তাই করো। বড়ো ভাই বুঝতে পারে শাওনের বিয়েতে কোন আপত্তি নেই। তখন সে আর তার স্ত্রী মিলে শাওনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাত্রী দেখতে থাকে। শেষ পর্যন্ত একটা পাত্রী তাদের পছন্দ হয়। তার সাথে মহা ধুমধামে শাওনের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের কিছুদিন পর সৌদি আরব থেকে শাওনের কাছে ফোন আসে। তার এক কর্মচারী তাকে জানায় তাকে দ্রুত সৌদি আরবে ফিরতে হবে। কারণ তাদের লাইসেন্সে নাকি কি সমস্যা হয়েছে। এই ফোন পাওয়ার দুই তিন দিনের ভেতরে শাওন নতুন বিয়ে করা স্ত্রীকে দেখে সৌদি আরব ফিরে যায়।
সেখানে গিয়ে তার ঝামেলা মেটাতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়। তবে এই ঝামেলার ভেতরে কয়েকদিন শাওন এতোটাই ব্যস্ত ছিলো যে তার স্ত্রীর সাথে কথাও বলতে পারেনি। কাজ শেষ করে যখন সে তার স্ত্রীকে ফোন দেয়। তখন তার স্ত্রীর নাম্বার বন্ধ পায়। শাওন তখন তার ভাইকে ফোন দিয়ে তার স্ত্রীকে চায়। শাওনের ভাই শাওনকে জানাই তোর স্ত্রী তো তুই যাওয়ার পর তার বাপের বাড়িতে চলে গেছে। কিছুদিন পরে ফিরবে বলেছে। শাওন তখন শ্বশুর বাড়িতে ফোন দেয়।
সেখানেও কেউ ফোন রিসিভ করে না। তখন শাওন বাধ্য হয়ে তার বড় ভাইকে আবার ফোন দিয়ে বলে তুমি একটু আমার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখো তো কি ব্যাপার? তখন শাওনের ভাই বলে ঠিক আছে আমি আজকেই যাচ্ছি। আমি সেখান থেকে খোঁজ নিয়ে তোকে ফোন দিচ্ছি। ঘন্টা তিনেক পর শাওনের ভাই ফোন দিয়ে শাওনকে যা জানায় তাতে শাওনের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।
(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শাওনের সাথে নিশ্চয়ই খারাপ কিছু ঘটেছে। হয়তোবা শাওনের ওয়াইফ তার সাথে প্রতারণা করেছে। শাওনের কপালে কি আসলেই সুখ লেখা নেই নাকি। কারণ শাওন আগেও অনেক কষ্ট পেয়েছে জীবনে। আশা করি পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো।