দুই বন্ধুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ (অষ্টম পর্ব)
সেখানে গিয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার সাথে তারা তাদের পরিকল্পনা শেয়ার করে। তাদের পরিকল্পনা শুনে তিনিও তাদের উচ্ছাসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন তোমাদের মতো যুবকেরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে সমাজ থেকে ঘুষ দুর্নীতি অনেকটা কমে যাবে। তিনি তখন ওদেরকে কি করতে সেটা বলে দেন। দুই বন্ধু মিলে ভূমি অফিস এবং পাসপোর্ট অফিসের উদ্দেশ্যে দুটো অভিযোগপত্র জমা দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসার তাদেরকে পরামর্শ দেয় যে টাকাগুলো ঘুষ হিসেবে দেবে সেই টাকাগুলোর নাম্বার যেন তারা একটা কাগজে টুকে রাখে।
আর টাকাগুলো এই দুর্নীতিবাজদের ঘুষ দেয়ার আগে তাদের কাছে দিতে বলে। কারণ তারা সেই টাকাগুলোতে এক ধরনের পাউডার লাগিয়ে দেবে। যার ফলে টাকাগুলো ধরলে পরে তাদের হাত পানিতে ভিজালে এক ধরনের রং দেখা যাবে। যাতে তারা পরবর্তীতে অস্বীকার না করতে পারে টাকা নেয়ার ব্যাপারটা। আর এদিকে সাকিব এবং সুজন দুজনে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে তারা এই অপারেশনে গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করবে। দুদক অফিস থেকে বের হয়ে তারা আবার র্যাব ক্যাম্পে গিয়ে।
র্যাবের দায়িত্বরত সেই কর্মকর্তাকে সবকিছু খুলে বলে।
র্যাবের এই অফিসার সবকিছু শুনে বলে সকালে আমরা দুটো টিমে ভাগ হয়ে বেরোবো। একটা টিম যাবে ভূমি অফিসে আর একটা টিম যাবে পাসপোর্ট অফিসে। দুটো টিমের সাথে তোমরা দুই বন্ধু থাকবে। আর আমরা সাথে করে দুর্নীতি দমন কমিশনের দুটো ইউনিট নেবো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসার তাদেরকে দারুণ পরামর্শ দিয়েছে। এই পরামর্শ মেনে কাজ করলে তারা এই যাত্রায় অবশ্যই সফল হবে। আর তারা সফল হওয়া মানেই ন্যায়ের জয় হওয়া। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।