অন্যায়কারীর বন্ধু!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের চারপাশের কিছু মানুষকে দেখলে আমার মাঝেমধ্যে এতো বেশি মেজাজ খারাপ হয়। যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর তার মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষ হলো, যারা সব সময় অন্যায়কারীকে সাপোর্ট করে। একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা। আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে। যারা সব সময় অন্যায়কারীকে এমনভাবে সাপোর্ট করে যে, আপনি চাইলেও কিছু বলতে পারবেন না।
যেমন আমি আমার জীবনের কথা ই যদি বলি। আমাদের একটা ফ্রেন্ড সার্কেলে বান্ধবী রয়েছে।যে সবসময় বিভিন্ন ধরনের অন্যায় করতে থাকে, ভুল কথা বলতে থাকে, মিথ্যে কথা বলতে তাকে। এমনকি অপবাদ দিতে থাকে। কিন্তু তাকে আমরা চাইলেও অনেক কিছুই বলতে পারি না। তার কারণ হলো তার বেস্ট ফ্রেন্ড এতোটাই দজ্জালের মতোন ব্যবহার করে কিংবা চিৎকার চেঁচামেচি করে যে। আমরা ওই ফ্রেন্ডটাকে কিছু বলতে গেলেই ওই মেয়েটা একেবারে তেড়ে আসে। আমাদের সবার আশেপাশে আসলেই এমন কিছু মানুষ সব সময় থেকে থাকে।
যাদের জন্য আপনি ওই খারাপ মানুষটাকে উচিত কথা বলতে পারবেন না। অর্থাৎ ঐ খারাপ মানুষ গুলোর সব সময় এমন একটা স্ট্রং বন্ধু বান্ধবী থাকে। আর এটা এখন বর্তমানে দেখা যায় আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে। অর্থাৎ ধরুন সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো ব্যক্তি খারাপ কাজ করছে এবং এটা নিয়ে জনগণ কয়েকটা কথা শোনাচ্ছে সাথে সাথেই দেখবেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক কর্মচারী কর্মকর্তাগণ তাদেরকে ডিফেন্ড করার জন্য চলে আসে! তাদেরকে আসলে আমি কর্মচারী ছাড়া পাবলিক ফিগার বলতে কষ্ট হয়। কারণ পাবলিক ফিগার ওয়ার্ডটির সাথে নিজের নামটা জড়ানোর জন্য আগে পাবলিকদের জন্য কিছু কাজ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানের পাবলিক ফিগারদের কাজ দেখলে বিরক্তি ছাড়া আর কিছুই লাগে না। বিশেষ করে পাবলিক ফিগারের মধ্যে যখন দেখি এই ধরনের কিছু বন্ধুবান্ধব থাকে। যারা সব সময় অন্যায়কারীকে চোখ বন্ধ করে সাপোর্ট করে যায়।
আমার তো মনে হয় ওই অন্যায়কারীদের কথা শোনানোর আগে কিংবা ওই অন্যায়কারীদের শাস্তি দেওয়ার আগে এই অন্যায় কারীর বন্ধুগুলোকে আগে শাস্তি দেওয়া উচিত তাহলে যদি ওই অন্যায় কারী গুলোর একটু হলেও টনক নড়ে।
আপনার বান্ধবী এতো মিথ্যা বলে ও খারাপ কাজে লিপ্ত থাকার পরেও কিছু বলার সাহস পান না তার দজ্জাল বান্ধবীর জন্য। আসলে অন্যয়ের সাপোর্ট পায় জন্য সে এতো খারাপ।ঠিক বলেছেন আপনি সব অন্যায়কারীদেরকে সাপোর্ট করার জন্য কিছু মানুষ থাকে কর্মচারীর মতো পিছনে।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।