সততার পুরষ্কার ( তৃতীয় পর্ব)
রাশেদ তার টেবিলে গিয়ে বসে চিন্তা করতে থাকে এর ফল কি হতে পারে? এর ভিতর সে সেই অপরিচিত লোকটাকে বসের রুম থেকে বের হয়ে যেতে দেখে। লোকটা তার বসের রুম থেকে বের হয়ে রাশেদের টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়। দাঁড়িয়ে রাশেদের দিকে কিছুটা ঝুঁকে বলে সিগনেচার করে দিলে আপনার ভালো লাভ হবে। আর সিগনেচার না করলে আপনি বেশ বড়ো ঝামেলায় পড়বেন। এই কথা বলে লোকটা সেখান থেকে চলে যায়। রাশেদ কিছুটা টেনশনে পড়ে যায়। কারণ অফিসের বসের সাথে তার সম্পর্ক এমনিতেও ভালো না।
কিন্তু তারপরেও কখনো এইভাবে সামনাসামনি কোন ঝামেলা হয়নি। রাশেদ মনে মনে তার বসের উপর খুবই বিরক্ত হয়। রাশেদ চিন্তা করতে থাকে তার বস খুব ভালো মতোই জানে রাশেদ কোনো অবৈধ কাজ করে না, ঘুষ খায় না। তারপরেও কেন তাকে অবৈধ কাজ করতে চাপ দেয় সে। শেষ পর্যন্ত চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে রাশেদ ফাইলটা চেক করতে শুরু করে। ফাইলটা চেক করতে গিয়ে সেখানে সে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখতে পায়। রাশেদ বুঝতে পারে যাতে এই প্রতিষ্ঠানের কোনো দুর্নীতি ধরা না পড়ে সেজন্যই তাকে তাড়াহুড়ো করে সিগনেচার করতে বলা হচ্ছে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সততার পুরস্কার সত্যিই অনেক বড়।যে সততার পুরস্কার পেয়েছে সেই হয়েছে জীবনে ধন্য।