গুলশান লেকের সমস্যা ও এর প্রতিকার (প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা।
শুধু যে দুর্গন্ধের সমস্যা তা নয়। লেকের এই দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশের কারণে প্রচুর মশা হয়েছে। গুলশানের সেই মশা লেকের আশেপাশের বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তবে এই সমস্যার জন্য লেকের আশেপাশের বাসিন্দারাও কম দায়ী নয়। কারণ তাদের সবার বাড়ির শুয়ারেজের লাইন দেয়া হয়েছে। যার ফলে মল মুত্র মিশ্রিত সেই পানি লেকের পানি একেবারে দূষিত করে তুলেছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে কিছু মৎস্য চাষীদের উপদ্রব। এরা লেকের বিভিন্ন জায়গা ঘিরে সেই সমস্ত জায়গায় মাছ চাষ শুরু করেছেন। মাছ চাষ করার জন্য লেকে বিভিন্ন রকমের মাছের খাবার দিতে হয়। তার ভেতরে এমন কিছু উপাদান থাকে যেগুলো লেকের পানির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই মাছ চাষ লেকের জন্য আরও খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়া গুলশানের এই লেকের সাথে আশেপাশের লেক গুলোর যোগাযোগ খুব একটা ভালো নয়। বিভিন্ন রকম ছোটখাট ব্রিজের নিচ দিয়ে অন্যান্য লেকের সাথে এগুলো মিলিত হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় শুরু কিছু পাইপের মাধ্যমে পাশের লেকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা হয়েছে। যার ফলে সবকিছু মিলিয়ে লেকের পরিবেশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। কয়দিন আগে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিক সাহেব তিনি গুলশানের বাসিন্দাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন এই এলাকায় সমস্ত বিত্তবান লোকেরা থাকেন। তারপরেও তারা তাদের সুয়ারেজ লাইন সিটি কর্পোরেশনের সুয়ারেজ লাইনের সাথে না দিয়ে কেন লেকে দিয়েছেন সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি প্রস্তাব করেছেন হয় সবাই শুয়ারেজের লাইন সিটি কর্পোরেশনের সুয়ারেজ লাইনের সাথে দেবে আর না হলে প্রত্যেকটা বাড়িতে ইটিএফ স্থাপন করতে হবে। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা সাথে সাথেই দ্বিতীয় মতটা খারিজ করে দিয়েছেন। কারণ আমাদের দেশে যেখানে শিল্প কলকারখানা গুলোই ইপিএফ ব্যবহার করছে না। সেখানে বাসা বাড়িতে ইটিএফ স্থাপনের উদ্যোগটা একেবারেই অবাস্তব। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
দিনশেষে আমাদের এটা স্বীকার করতে হবে পরিবেশের এরকম বিদ্রুপ প্রভাবের জন্য আমরাই দায়ী। গুলশানের মত জায়গায় যেখানে ধনীরা বসবাস করে তারপরও সেখানে এরকম অনিয়ম লেকের মধ্যে সুয়ারেজ লাইন দেওয়া হয়েছে।