দিন বদলের গল্প (তৃতীয় পর্ব)
পরদিন সকালে শুভ তার আইডিয়ার কথা তার মার সাথে শেয়ার করে। শুভর বুদ্ধিটা তার মায়েরও পছন্দ হয়। শুভ তখন তার মাকে জিজ্ঞেস করে টাকার ব্যবস্থা কিভাবে হবে সেটা কি চিন্তা করেছো? শুভর মা তখন তাকে বলে তুই আজকে কলেজ থেকে আয়। দেখি কি ব্যবস্থা করা যায়? শুভ তৈরি হয়ে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কলেজে চলে যায়। কিন্তু যাওয়ার পথে সে চিন্তা করতে থাকে তার মা ব্যবসার টাকার ব্যবস্থা কোথা থেকে করবে? তাদের এমন কিছু নেই যেটা বিক্রি করে কিছু টাকা পাওয়া যেতে পারে।
Canva দিয়ে তৈরি করা হয়েছে
নানা রকম চিন্তা করতে করতে শুভ দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে ফিরে সে তার মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করে মা টাকা কোথায় পাবে সেটা চিন্তা করেছো? তার মা কিছু না বলে মুচকি হাসতে থাকে। বলে তুই আগে খাওয়া-দাওয়া করেনে তারপর দেখা যাবে। এই কথা বলে শুভর মা শুভর পাতে ভাত বেড়ে দেয়। শুভ বেশ তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে। শুভ খেয়াল করে দেখে অনেকদিন পর তাদের বাসায় মুরগির মাংস রান্না হয়েছে। অনেকদিন পর মাংস পেয়ে শুভ বেশ তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে। খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই শুভর মা শুভর হাতে একটি প্যাকেট এনে দেয়। শুভ প্যাকেট খুলে দেখে প্যাকেটের ভেতরে ৫০০০০ টাকা। এত টাকা দেখে শুভ অবাক হয়ে যায়। সে তার মাকে জিজ্ঞেস করে তুমি এত টাকা কোথায় পেলে? শুভর মা তখন বলে আমার একটা সোনার চেইন ছিলো। সেটা বিক্রি করে তোর ব্যবসার জন্য টাকা এনেছি।
মায়ের কথা শুনে শুভর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে। শুভ জানে তার মায়ের একমাত্র সম্বল ছিলো ওই সোনার চেইনটা। স্বর্ণালংকার বলতে তার আর কিছুই রইলো না। শুভ তখন তার মাকে বলে মা আমার ব্যবসা করার টাকা লাগবে না। তুমি এই টাকা ফেরত দিয়ে তোমার চেনটা নিয়ে আসবে। আমি দেখি অন্য কোন ভাবে টাকাটা যোগাড় করবো। শুভর মা তাকে বলে তুই চিন্তা করিস না। তুই ব্যবসা করে যখন অনেক টাকা রোজগার করবি তখন আমাকে একটা ভালো চেইন কিনে দিস। মায়ের কথা শুনে শুভর কান্না আরো বেড়ে যায়। তখন মা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আদর করে দেয়। শুভ টাকা পাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তার মাকে বলে আমার ফিরতে দেরি হতে পারে।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সন্তানদের আবদার রাখতে মায়ের সর্বোচ্চ স্যাক্রিফাইস। নিজের শেষ সম্বল পর্যন্ত বিক্রি করে দিল। এবং সন্তানের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিল। এসব দৃষ্টান্তগুলো শুধু মায়ের ক্ষেত্রেই সম্ভব। অসম্ভব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এমন একটি শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে মায়ের কোনো তুলনা হয় না। শুভর মা শেষ পর্যন্ত নিজের গোল্ডের চেইন বিক্রি করে শুভকে টাকা দিলো ব্যবসা করার জন্য। আশা করি শুভ ব্যবসা করে অনেক উন্নতি করবে এবং তার মা'কে গোল্ডের অনেক কিছু বানিয়ে দিতে পারবে। যাইহোক শুভ এবং তার মায়ের জন্য শুভকামনা রইল।