দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ভাগ্য বদল (দ্বিতীয় পর্ব)
তখন তার মা তাকে দেখে বললো সারাদিন কোথায় ছিলে রে বাবা? আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে বসে রয়েছি। জসিম তার মাকে জানায় সে খাবে না। এই কথা বলে জসিম তার ঘরে গিয়ে বসে থাকে। তখন তার মা এসে তাকে বোঝাতে থাকে। যে আমাদের যে সামান্য জমি আছে সবটা যদি বিক্রি করে দেই। তাহলে আমরা চলবো কিভাবে? তখন জসিম বলে বিদেশে গিয়ে তো আমি টাকা রোজগার করতে পারবো। আমি টাকা পাঠাবো সেই টাকায় তোমরা চলবে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তখন জসিমের মা বলে তুই যদি বিদেশে গিয়ে থাকতে না পারিস? যদি দেশে ফিরে আসিস? তখন আমাদের কি হবে সে চিন্তা করেছিস? জসিম তখন বলে আমি একবার বিদেশ গেলে জীবন থাকতে আর ফিরবো না। তখন জসিমের মা আর কোন কথা না বলে সেখান থেকে চলে যায়। জসিমের জীবনটা এমন ভাবেই কেটে যাচ্ছিলো। কিন্তু একটা পর্যায়ে তার বাবার সাথে বিরোধটা এতটাই বেড়ে যায় যে। সে সিদ্ধান্ত নেয় সে বাড়ি ছেড়ে শহরে যাবে। শহরে গিয়ে কোন একটা কাজ করে টাকা জমাবে। তারপর সেই টাকা দিয়ে বিদেশ যাবে।
এতে তার যত সময়ই লাগুক না কেন। সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে একদিন বাড়ি থেকে শহরে চলে যায়। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর জসিম বাড়ির সাথে যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ করে দেয়। শহরে গিয়ে জসিম পরে ভয়াবহ বিপদে। কারণ সেখানে তাকে কেউই কাজ দিতে চায় না। শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে সে একটা হোটেলে ক্লিনারের কাজ পায়। কিন্তু সেখানে বেতন এতটাই কম ছিলো যে জসিম প্রথম থেকেই চিন্তা করতে থাকে। শহরে একটু থিতু হতে পারলে সে ভালো একটা কাজ জোগাড় করে নেবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
জসিমের মা-বাবার কথা একেবারে যুক্তিসঙ্গত। কারণ অনেকেই তো বিদেশে গিয়ে অবস্থা ভালো না হলে দেশে চলে আসে। তবে তাদের যদি জমিজমা বেশি থাকতো,তাহলে জসিমের মা-বাবা হয়তো রিস্ক নিতো। দেখা যাক জসিম শহরে গিয়ে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে কিনা। যাইহোক গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।