বিজ্ঞানের জয়যাত্রা
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
আসলে বিজ্ঞান যে আমাদের কতটা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে তা আমরা বর্তমান সময়ে উপলব্ধি করছি। কারণ এই বিজ্ঞানের জন্য আমরা এত আরাম আয়েশে বর্তমানে চলাফেরা করতে পারছি। আসলে প্রাচীনকালে মানুষ অনেক কষ্টে দিন যাপন করতো। কারণ তখনকার সময়ে যাতায়াত ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল কিছুই সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু দিন দিন বিজ্ঞান কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস আবিষ্কার করেছেন। আসলে কোনটা রেখে কোনটা বলবো তা ভেবেই পাচ্ছিনা। কারণ আমরা বিজ্ঞানের আবিষ্কারের এত জিনিসপত্র বর্তমানে ব্যবহার করি এজন্য প্রায় সব কিছু বলতে গেলে আজকের পোস্টটি মনে হয় শেষ হবে না। আসলে সবকিছু না বলে দু-একটা আবিষ্কারের কথা আজ বলা যাক।
আসলে প্রাচীনকালে মানুষ একটু দূরে যেতে হলে তাকে পায়ে হেঁটে দূরে যেতে হতো। কারণ তখনকার সময়ে কোন যানবাহনের আবিষ্কার হয়নি। আসলে ছোট ছোট জিনিস থেকে বিজ্ঞান ধারণা নিয়ে আজ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক জিনিস তৈরি করে। কারণ তখন যদি চাকার আবিষ্কার না হতো তাহলে হয়তোবা আজকের দিনে আমরা কোন যানবাহন পেতাম না। আসলে বিজ্ঞান কোন জিনিস তৈরি করার আগে সেই জিনিস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা এবং ভাবনা চিন্তা করে। তেমনি যখন সর্বপ্রথম চাকার আবিষ্কার হলো তখন বিজ্ঞান এই চাকার থেকে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করল। তাইতো যানবাহন হলো বিজ্ঞানের অন্যতম একটা সবথেকে বড় আবিষ্কার।
এছাড়াও আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মানুষদের সাথে সবসময় কথাবার্তা বলে থাকি। কিন্তু প্রাচীনকালে মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মোবাইল ফোনের কোন ব্যবহার ছিল না। অর্থাৎ সেই সময় মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয়নি। তখনকার সময় মানুষ চিঠির মাধ্যমে তাদের মনের ভাব আদান প্রদান করত। আসলে মোবাইল হল বিজ্ঞানের অন্যতম সব থেকে একটা বড় আবিষ্কার। কারণ এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে কয়েক সেকেন্ডের ভিতরে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছি এবং পৃথিবীর যে কোন জ্ঞান আমরা এই মোবাইল ফোনে পেয়ে থাকি। আসলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাদের কাছে পুরো পৃথিবীটাকে মনে হয় যেন আমরা হাতের মুঠোয় করে রেখেছি।
এছাড়াও অন্য বিজ্ঞানের একটা বড় আবিষ্কার হল ইন্টারনেট। আর ইন্টারনেটের আবিষ্কারের ফলে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জ্ঞান সবসময় পেয়ে থাকি। আর বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রায় সবকিছুই আমরা ইন্টারনেটে পেয়ে থাকি। আসলে ইন্টারনেটের ব্যবহার যে পৃথিবীকে কতটা সামনে এগিয়ে দিয়েছে তা আমরা মোটেও কল্পনাও করতে পারিনা। আসলে বিজ্ঞানের কথা বলতে গেলে আমাদের কোন কথাই শেষ হবে না। আসলে এই পৃথিবীর আধুনিক সব কিছুর সৃষ্টির জন্য এই বিজ্ঞান দায়ী। আসলে এক দিক থেকে যেমন বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার আমাদের কাজে লাগে। আবার কিছু কিছু আবিষ্কার আমাদের সবসময় ক্ষতি ডেকে আনে।
আসলে বিজ্ঞানের আবিষ্কার গুলো সব সময় মানুষ ভালো কাজে ব্যবহারের জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু কিছু আবিষ্কার অর্থাৎ বিজ্ঞান কিছু কিছু এমন জিনিস তৈরি করে তা মানুষ ভালোর বদলে খারাপ কাজে ব্যবহার করে। এখানে আমি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয় অস্ত্র এবং বোমার কথা বলছি। আসলে এইসব আগ্নেয় অস্ত্র মানুষের রক্ষার কাজের জন্য ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আমরা বর্তমানে দেখি যে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যেসব লড়াই চলেছে সেসব যুদ্ধের মাঝে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ফলে মানব সমাজের ক্ষতি ডেকে আনছে। আসলে কোন কোন বোমার নিক্ষেপের ফলে পৃথিবীতে কতটা ক্ষতি হচ্ছে তা আমরা মোটেও কল্পনা করতে পারছি না। তাইতো আমরা বিজ্ঞানের জিনিসগুলো সব সময় সঠিক কাজে ব্যবহারের জন্য চেষ্টা করব।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম। আর বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হচ্ছে ইন্টারনেট, এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। ইন্টারনেটের কারণে বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। আমরা সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষের সাথে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারছি। এতে করে আমরা সবাই বেশ উপকৃত হচ্ছি। তবে ইন্টারনেটের অপব্যবহার করা আমাদের মোটেই উচিত নয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।