"পরস্পর'' - নাটকের রিভিউ
রফিকুল রাজিয়া
হ্যালো বন্ধুরা , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালো আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম , আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
আসলে নাটক দেখতে আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে ৷ আমি সময় পেলেই নাটক দেখার চেষ্টা করি ৷ যদিও কিছুদিনের ব্যস্ততায় তেমন একটা সময় পাচ্ছি নাহ ৷ তবে তারও কিছু দিন আগে আমি একটি নাটক দেখেছি ৷ নাটকটির নাম পরস্পর ৷ আমার কাছে এই নাটকের গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে ৷ তাই আজ ভাবলাম এই নাটকের গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি ৷ আপনাদেরও সবার ভালো লাগবে , এজন্য চলে আসলাম আজ আমি আপনাদের মাঝে ''পরস্পর" নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ তো চলুন এবার শুরু করা যাক..
নাটক | পরস্পর |
---|---|
পরিচালক | সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি |
শিল্পী | তাসনিয়া ফারিন, খায়রুল বাসার, শিরিন আলম, অশোক বোশাক, শম্পা নিজাম, তনুশ্রী টনি, সাইমুন আহমেদ সোমির, মুন্না আহসান ও হাসনাত শৈকেত এবং আরো অনেকেই |
চিত্রনাট্য | আব্দুল্লাহ আল মামুন, রিফাত আদনান পাপন ও সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী |
কথা, কন্ঠ, সুর ও সংগীত | নুর নবি |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট |
প্রকাশ | ইউটিউব , ১৪ মে ২০২৪ ইং |
নাটকের শুরুতে এই গল্পের নায়ক রফিকুল ( খায়রুল বাসার ) কে দেখা যায় ৷ সে তার ডিমের দোকান সামলাতে ব্যস্ত ৷ কিছুক্ষণ পর সেখানে তার বোন এবং মা আসেন ৷ এবং তাকে সাথে নিয়ে মেয়ে দেখতে বের হন ৷ যদিও রফিকুল দোকান ছেড়ে যেতে রাজি নয় , তবে মায়ের কথার উপর কথা বলতে পারে না ৷ দোকানের ভার সহকারীকে দিয়ে মা এবং বোনের সাথে মেয়ে দেখতে চলে যায় রফিকুল ৷
রফিকুলের পরিবার মেয়ে দেখতে আসেন অনেকটা হঠাৎ করেই ৷ তাই আগেভাগে তেমন প্রস্তুত ছিলো না মেয়ে পক্ষের কেউ ৷ তবে তাদের দেখে অনেকটাই খুশি হয়েছে মেয়ের বাবা-মা ৷ তাদের পূর্ব পরিচিতি ছিলো এজন্যই ৷ তারা বিয়ের ব্যাপারে কথাবার্তা বলছে , তখন রাজিয়া বাড়িতে ছিলো না ৷ বাড়িতে প্রবেশ করতেই দেখতে পায় এমন অবস্থা ৷ সে কিছু বুঝে উঠতে পারে না ৷ তার মা তাকে তাদের সামনে বসতে বলে ৷ রাজিয়াও চুপটি করে বসে পড়ে ৷ রাজিয়াকে দেখে রফিকুল এবং তার মায়ের পছন্দ হয় ৷ এবং বিয়ের ব্যাপারে কথা পাকাপাকি হয় ৷ তবে রফিকুল চায় না আরো একটা দিন নষ্ট করতে , ব্যবসার ক্ষতি হবে এই ভেবে সে সেদিনই বিয়ের প্রস্তাব দেয় তার মাকে ৷ ছেলের কথা শুনে রফিকুলের মাও রাজি হয় ৷ এবং রাজিয়ার পরিবারকে জানিয়ে সেদিনই রফিকুল এবং রাজিয়া বিয়ে করে ৷
বিয়ের পর রাজিয়া পড়ালেখা করতে পারবে জেনে রাজিয়াও বিয়েতে আর কোনো আপত্তি করেনি ৷ তাদের বিয়েটা হয়ে যায় হঠাৎ করে ৷ আজ তাদের বিয়ের প্রথম রাত , বাসার রাত ৷ তবে দুজন দুজনের ব্যাপারে এখনোও তেমন একটা জানে না ৷ তাই রফিকুল তার নাম জিগ্গাসা করে ৷ নাম জানার পর আর কি করবে বুঝতে পারে-না ৷ এমনই টুকটাক গল্প করে রফিকুল ঘুমিয়ে যায় ৷ রাজিয়াও বসে থেকে রফিকুলের দিকে তাকিয়ে ঘুমিয়ে যায় ৷
পরের দিন সকালে রফিকুল ঘুম থেকে উঠে ডিম দিয়ে ভাত খেয়ে দোকান চলে যায় ৷ অন্যদিকে রাজিয়াও ঘুম থেকে উঠে মায়ের কাজে টুকটাক সাহায্য করার চেষ্টা করে ৷ এভাবেই যাচ্ছে তাদের দিন গুলো ৷ তবে তাদের খাবার মেনুতে ডিম থাকবেই থাকবে ৷
একদিন সকালে রাজিয়া ঘুম থেকে উঠে মুরগির মাংস রান্না করে ৷ এবং রফিকুলকে খেতে দেয় মুরগির মাংস দিয়ে ৷ রফিকুল সেদিন খাবার টেবিলে ডিম না পেয়ে , মুরগির মাংস দেখে অনেক রেগে যায় এবং রাজিয়াকে থাপ্পড় মারে ৷ এরপর চলতেই আছে , রফিকুল রাজিয়ার উপর রাগ হলেই রাজিয়ার গালে থাপ্পড় মেরে দেয় ৷ তবে থাপ্পড় মারার পর রাজিয়ার মান ভাঙ্গাতে তাকে নিয়ে ঘুরতেও বের হয় রফিকুল ৷ এভাবেই চলছে তাদের ...
বিয়ের পর প্র়থম যেদিন রফিকুল শ্বশুর বাড়িতে ঘুরতে যায় , সেদিনও মিষ্টির বদল ডিম নিয়ে তাদের বাড়িতে যায় ৷ তাতে অবশ্য রাজিয়া মন খারাপ করে , তবে মন খারাপ করেও যে কেনো লাভ হবে না সেটা রাজিয়া বোঝে ৷ রফিকুল রাজিয়াকে তার বাবার বাড়িতে রেখে দোকান চলে যায় ৷ সন্ধ্যা বেলায় এসে আবার বাসায় নিয়ে চলে যায় ৷ রাজিয়া বাবার বাড়ি থেকে আসার সময় অবশ্য তার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটা সাথে নিয়ে আসে ৷
রাতে রফিকুল আড্ডা দেওয়ার সময় হঠাৎ জানতে পারে তার ডিমের গাড়ি উল্টে গেছে ৷ এতে সে টেনশনে পড়ে যায় , অনেক টাকা ক্ষতি হবে তার ৷ সে তাড়াহুড়ো করে উল্টে যাওয়া গাড়ির কাছে যায় খোজখবর নিতে ৷ পরের দিন সকালে রফিকুল খিটখিটে মেজাজ নিয়ে বাড়িতে গেলে তার বৌউ রাজিয়া প্রশ্ন করতেই থাকে ৷ এতে রফিকুল রেগে গিয়ে প্রতিবারের মতো থাপ্পড় দিতে গিয়ে উল্টো রাজিয়ার হাতে থাপ্পড় খায় ৷ লেগে যায় তাদের মারামারি , রফিকুল একটার পর একটা কিল ঘুষি খেতে থাকে ৷ রাজিয়া ফোন দেখে দেখে ফাইট করা শিখেছে ৷ সব মিলিয়ে রফিকুলের বারোটা বাজিয়ে দেয় রাজিয়া ৷ এসব দেখে ফেলে তার মা এবং বোন ৷
পরে এসব বিষয় নিয়ে তাদের দুপরিবারের কথাবার্তা হয় ৷ রফিকুলের মা এমন বৌমা রাখবে না , তাই রফিকুলকে বলে রাজিয়াকে ডিভোর্স দিতে ৷ কিন্তু রফিকুল ডিভোর্স দেয় না , সে তার নিজের ভুল বুঝতে পারে না ৷ এবং শেষমেশ তাদের আবার মিল হয় এবং গল্পটা এখানেই শেষ হয় ৷
রেটিং:-০৮
আমার মতামত:-
পরস্পর এই নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ৷ নাটকের গল্প এবং সবার অভিনয় সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে ৷ নাটকের গল্পটা বেশ মজার ছিলো , কিছু কিছু দৃশ্যে দেখে আমার বেশ হাসি পেয়েছে ৷ আসলে যেকোনো সম্পর্কে ভালোবাসাটা গুরুত্বপূর্ণ ৷ কাউকে অযথাই কষ্ট দেওয়ার আগে ভাবা উচিত কষ্টটা কতটা কষ্টদায়ক ৷ যাই হোক , এই নাটকটি বেশ মজার এবং ভালোলাগা মতো ৷ সময় থাকলে নাটকটি দেখে আসতে পারেন , আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ নাটকের লিংক নিচে দেওয়া আছে ৷ ধন্যবাদ
নাটকের লিংক
অনেক সুন্দর একটি নাটকের ভিতরে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই নাটক তৈরি করা দেখে। এ নাটকটা বেশ কিছুদিন আগে আমি দেখেছি। অনেক সুন্দর একটি নাটক এটা। বেশ দারুন ভাবে আপনি নাটকটা রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখি অনেক খুশি হলাম।
https://twitter.com/Nirob7000/status/1797971500387209338?t=k1vvbPX1YXnFGn04KED0lw&s=19