দুর্গাপূজা। পর্ব:- ১০
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
এবার মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে অনেক রাত হয়েছে আমরা এখন বাড়ি ফিরব। যেহেতু অনেকটা রাত হয়েছে অর্থাৎ রাত প্রায় তখন তিনটে বাজে। আর এজন্য আমরা সব দুজনেই খুব ক্লান্ত হয়ে গেলাম। কিন্তু এত রাত্রে যানবাহন তেমন একটা বেশি রাস্তায় পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই দুজনের সিদ্ধান্ত নিলাম যে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা না করে আমরা আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করি। কেননা আমরা যেখানে অবস্থান করছি সেখান থেকে প্রায় স্টেশনের দূরত্ব ৫ কিলোমিটারের একটু বেশি। তাই আমরা দেরি না করে আস্তে আস্তে দুজন মিলে গল্প করতে করতে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আরেকটা সুবিধা হল যে এই রাস্তা দুপাশে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল। তাই যেহেতু আমরা যাচ্ছিলাম তাই রাস্তার পাশে যে প্যান্ডেল গুলো পড়ছিল সেগুলো আমরা দেখতে চেষ্টা করলাম।
আসলে আমরা যে প্যান্ডেল গুলোতে একবার ঢুকেই সেখানে গিয়ে কোন যদি চেয়ার দেখতে পাই তাহলে সেই চেয়ারে বসে কয়েক মিনিট একটু রেস্ট নিয়ে নি। কেননা আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন যে আপনি যদি সারারাত এইভাবে দুই পায়ের উপরে দাঁড়িয়ে থেকে বিভিন্ন জায়গায় হাঁটা চলা করেন তাহলে কিন্তু আপনার পা অবশ্যই ব্যাথা করবে। যাইহোক আমরা আস্তে আস্তে করে দুই একটা প্যান্ডেলে প্রবেশ করলাম। আসলে প্রথম যে প্যান্ডেলে আমরা প্রবেশ করলাম সেই প্যান্ডেলটি কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হাতের তৈরি জিনিস দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ আপনারা অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন যে কিভাবে মানুষ এই হাতের তৈরি জিনিস দিয়ে এই প্যান্ডেলটি সুন্দরভাবে আমাদের সামনে সাজিয়ে তুলেছে।
তাইতো আমি বাইরে থেকে কয়েকটা ছবি নিয়ে আবার আস্তে আস্তে ভিতরে ঢুকে গেলাম। আসলে ভিতরে গিয়ে বসার চেয়ার পাওয়াতে আমরা কিন্তু একটু খুশি হয়ে গেলাম। আর আমরা কিন্তু কোন জায়গায় বেশি একটু অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। কেননা যদি বেশি অপেক্ষা করি ততই আমাদের বাড়ি পৌঁছাতে দেরি হবে। আসলে বেত এবং বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ঝুড়ি দিয়ে প্যান্ডেল এত সুন্দর করে সাজিয়েছে একটা দেখলে আমাদের সত্যিই মন ভরে যাবে। যাইহোক আমি পুরো জিনিসটা সুন্দরভাবে ছবি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। এর পরবর্তীতে যখন আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম তখন উপরের দিকে তাকাতে বড় আলোক সজ্জাটি আমার কাছে ভীষণ ভীষণ ভালো লাগলো।
এর পরবর্তীতে আমরা মায়ের মুখ খানি একটা সুন্দর ছবি তুলে নিলাম। যাই হোক প্রতিটা জায়গায় গিয়ে যখন একটু বসে যাই তখন কিন্তু আমাদের সেই জায়গা থেকে আর উঠতে ইচ্ছা। তাই মনে কষ্ট নিয়ে আমরা আস্তে আস্তে সেই জায়গা থেকে উঠে গেলাম এবং আবার বের হওয়ার আগে পুনরায় বাইরে থেকে প্যান্ডেলের ভালো ভালো কয়েকটি ছবি নিয়ে নিলাম। আসলে এত রাতে এবং এতটা পথ হাঁটার ফলে আমাদের শরীর সত্যি ক্লান্ত হয়ে গেছে এবং পায়ে ছোট ছোট ফোসকা পড়তে শুরু করেছে। তাও আমরা কিন্তু আমাদের মনোবল না হারিয়ে আস্তে আস্তে গল্প করতে করতে দুজন বাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আর রাস্তার মাঝে মাঝে দুই একটা প্যান্ডেল পেয়ে কিন্তু আমরা দুজন আবার পুনরায় খুশি হয়ে যাচ্ছিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
দারুন সুন্দর একটি ঠাকুর এবং দুর্গা মন্ডপের ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। সম্পূর্ণ মণ্ডপ টি ভালো করে দর্শন করলাম। ঝুড়ি দিয়ে অসাধারণ সুন্দর প্যান্ডেল করেছে। তার সঙ্গে আলোকসজ্জা এবং দুর্গা প্রতিমা অসাধারণ হয়েছে। আপনার এই পোষ্টের দৌলতে সুন্দর একটি ঠাকুর দেখবার সুযোগ হয়ে গেল।