প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো কিছু আনন্দের সময় সম্পর্কে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে খুব একটা বেশি সময় হয়ে ওঠেনা গিন্নিকে নিয়ে বাইরে বের হওয়ার জন্য। যদিও রবিবার একটা ছুটির দিন পাই তাই চেষ্টা করি সেই ছুটির দিনে ঘরের বিভিন্ন কাজকর্ম থেকে শুরু করে নিজের বাইক একটু পরিষ্কার করার জন্য। আর যেহেতু সারা সপ্তাহ ঠিকঠাক ভাবে ঘুম হয় না তাই ভাবি যে এই ছুটির দিনে একটু আরাম করে বেশি সময় অব্দি ঘুমাবো। কিন্তু সেই কপালটা আমার আর নেই। কেননা রবিবারের সকালে আমাকে বাজার যেতে হয় বিভিন্ন ধরনের বাজার করার জন্য। যেহেতু সারা সপ্তাহ আমি বাজারে যেতে পারি না তাই রবিবারের দিনে প্রায় সপ্তাহের বাজারটা করে রাখি। যদিও গিন্নি আমাকে সাহায্য করে এই বাজারের ব্যাপারে। তাই ভাবলাম যে যেহেতু সকাল বেলা বাজার এবং দুপুরবেলা চারিদিকটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে গিন্নিকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাব।
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে দুজন মিলে আজ দাদা বৌদির বিরিয়ানি খেতে যাব। যেহেতু আমাদের বাড়ি থেকে এই বিডিনিউজ দোকান পর্যন্ত যেতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। তবুও আমরা
একটু বিকালের দিকে বের হলাম। কেননা বাইরের পরিবেশটা দেখতে দেখতে কোন একটা জায়গায় যেতে গেলে আমাদের সবার খুব ভালো লাগে। এরপর গিন্নিকে বললাম যে তুমি একটু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও। কেননা সাজগোজ করতে একটু বেশি সবার সময় লাগে। আসলে বিরিয়ানি আমার খাবার তালিকায় সবচেয়ে পছন্দের একটি খাবার। তাই বিভিন্ন দোকানে গিয়ে বিরিয়ানি খেতে কিন্তু আমি কখনো ভুলি না। আর কোন অনুষ্ঠান বাড়ি যদি বিরিয়ানি হয় তাহলে আমার আর অন্য কিছুর প্রয়োজন কখনোই হয় না।
যাইহোক বিকালের দিকে গিন্নিকে নিয়ে বের হলাম এবং আস্তে আস্তে গিয়ে আমরা দাদা বৌদির বিরিয়ানির দোকানের সামনে উপস্থিত হলাম। আসলে রবিবারের দিনে যেহেতু সবাই ছুটি পায় তাই বিরিয়ানি খেতে বহু দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসে। তাই আমরা বিরিয়ানির দোকানের সামনে গিয়ে দেখতে পেলাম যে অনেক লোকের ভিড় এবং সবাই লাইন দিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমরা আর দেরি না করে দ্রুত বিরিয়ানির দোকানের সামনের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম। এর পরবর্তীতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর আমরা বিরিয়ানির দোকানে ঢুকতে পেলাম। আসলে দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে দেখি যে আরো অনেক বেশি ভিড়। তাই আমরা একটা ভালো জায়গা দেখে দুজনে বসে পড়লাম। যেহেতু আমরা কি কি খাব আগে থেকেই প্ল্যান করে এসেছি তাই ঢোকার সাথে সাথে আমরা অর্ডার করে দিলাম।
প্রথমে আমরা চিকেন কাবাব অর্ডার করলাম। যেহেতু চিকেন কাবাব আমার প্রিয় একটি খাবার তাই খাবারের প্রথমে স্নাক্স হিসেবে এই খাবারটি খেতে চাইলাম। যাইহোক খাবার অর্ডার অর্ডার প্রায় ১০ মিনিট পর খাবার এসে গেল এবং আমরা আর দেরি না করে খাবার খেতে শুরু করলাম। যদিও এই বিরিয়ানির দোকানের এই কাবাবের রেটিংস যদি দিতে হয় তাহলে আমি এই কাবাবের স্বাদ অনুযায়ী দশের ভিতর সাত দিতে পারি। কেননা তেমন বেশি খেতে ভালো ছিল না। যাইহোক আমরা দুজনে খেয়ে প্রায় পেট গেল। কেননা আমরা একটু বেশি চিকেন অর্ডার করে ফেলেছিলাম। এর পরবর্তীতে আমরা এক প্লেট স্পেশাল বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলাম। কেননা চিকেন খেয়ে অর্ধেকের বেশি পেট ভরে গেছে। তাই আমরা দুজনে স্পেশাল বিরিয়ানিটা ভাগ করে খেয়ে দুজন নাচতে নাচতে বাড়ির দিকে চলে এলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
মাঝেমধ্যে এরকম ভাবে বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক। আপনারা দুইজন তো দেখছি বেশ মজা করে বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিলেন। বিরিয়ানি দেখে আমার জিভে জল চলে আসলো। বিরিয়ানি খাওয়ার আগে চিকেন কাবাব খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। পুরো মুহূর্তটা অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে এই দুপুরবেলায় লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন।
প্রিয়জন পাশে থাকলে খুবই ভালো লাগে। আর সে প্রিয় ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে খেতে বসলে আসলে মনটা প্রফুল। ঠিক তেমনি ভালোলাগার মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুশি হলাম।
দাদা প্রিয় মানুষকে নিয়ে দেখছি বেশ মজা করে বিরিয়ানি খেয়ে নিয়েছেন। সেই সাথে আবার আমাদের মাঝে বিরিয়ানির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার বিরিয়ানি দেখেই তো আমার খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। এই দুপুর বেলায় যদি পেতাম, তাহলে তো বেশ মজা করে খেয়ে নিতে পারতাম। দুজনে তাহলে ভালো একটা সময় কাটাতে পেরেছেন।
দাদা বৌদিকে নিয়ে বেশ কোয়ালিটি টাইম কাটিয়েছেন দেখছি। আর দাদা বৌদির বিরিয়ানি তো এমনিই ভীষণ ফেমাস। সাথে কাবাব। লাজবাব। আহা৷ এভাবেই দুজনায় হাসি খুশিতে ভালো থাকুন। ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন।