অনু-কবিতা :- ১৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা আর একটি অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
কিছুদিন যাবত গরমে পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে, আমাদের বেঁচে থাকা একদম মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনেও যেরকম গরম রাতেও সেই একই রকম গরম অনুভব হচ্ছে। কোথাও একটু হাওয়াও নেই। আর বৃষ্টি তো জামাইষষ্ঠী খেতে গেছে এখনো আর ফেরেনি। দিনে মনে হয় ১০-১২ বার স্নান করতে হচ্ছে ঘামের জলে।
এই গরমে মানুষগুলো কেমন যেন খিটখিটে
হয়ে গেছে। ভালো কথা মুখ দিয়ে কখনোই বের হচ্ছে না। কারণ মেজাজ গরম হলে মাথা গরম হয়। আর উপরের রোদ মাথা গরমের পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। রাস্তায় বেরোলে দেখা যায় লোকজন মুরগির মতো গাছের নিচে ঝিমাচ্ছে। মুরগি বলার কারণ হলো গাছ কেটে আবার মানুষ গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে।
কাটো আরো বেশি করে গাছ কাটো। দেখবে এক সময় সূর্য পৃথিবীতে নেমে এসেছে। মানুষ তার কর্মের ফল এখনো ঠিকঠাক অনুভব করতে পারছে না। আর কতটুকু হলে যে মানুষ তার কর্মের ফল অনুভব করতে পারবে তা আমার জানা নেই। আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষিত লোকরাও মাঝে মাঝে অশিক্ষিতের মতো কাজ করে।
সব কথা বাদ দিয়ে বেশি করে গাছ লাগাও আগে। নতুবা দেখবে একদিন সত্যিই ঘরের দরজার সামনে সূর্যদেব এসে সকালবেলায় চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে। এখনই প্রতিবছরই তাপমাত্রা দু-চার ডিগ্রি করে বেড়েই চলেছে। আর এরকম হলে পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
আর এই গরমের ভিতরে চারিদিকে এক ফোঁটা বৃষ্টির সন্ধান নেই। আর বৃষ্টি থাকবে কি করে কারন বৃষ্টির তো নিজেরই গরম লেগেছে। আমরা সাধারণত দেখতে পাই গ্রাম অঞ্চলের দিকে বেশি বৃষ্টি হয়। এর প্রধান কারণ হলো গ্রামাঞ্চলের দিকে গাছপালার সংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়াও পুকুর, খাল ভরাটের ফলে জলের আঁধারেও কমে যাচ্ছে দিন দিন। আর এই জলের আঁধার ভরে যাওয়ার কারণে বৃষ্টির পরিমাণ অনেক কম হচ্ছে এবং সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা।
এছাড়াও বিভিন্ন নদ নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে এসব নদনদীর গতির পরিবর্তন হচ্ছে এবং ওইসব নদীতে চরের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এর ফলে জলের আঁধারের সংখ্যা কমে যাওয়ায় জল ভূপৃষ্ঠে চলে এসে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যার।
আর আমাদের সবাইকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। নতুবা পৃথিবী দিন দিন ধ্বংসের দিকে এগোতে লাগবে। বর্তমানে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলেও বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
তাই সব ঠিক কথা বিবেচনা করে আমাদের প্রকৃতিকে রক্ষার জন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং ময়লা আবর্জন যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। আর পৃথিবীতে প্লাস্টিকের ব্যবহার একদম শূন্যে নিয়ে আসতে হবে। কারণ আমাদের হাতে আর সময় নেই। তাই সবাইকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করে নতুন পৃথিবী তৈরি করতে হবে।
০১
শান্তি নাইরে শান্তি নাই,
কোথাও যে শান্তি নাই।
চারিদিকে এত গরম পড়েছে,
গরমে মনে হয় মরে যাই।
বেশি করে আরো গাছ কাটো,
বুঝবে খেলা পরেতে।
বিনা আগুনে ভাত করে,
খাবে সবাই বাড়িতে।
এখনো ভাই সময় আছে,
বেশি করে গাছ লাগাও।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য,
সুন্দর পৃথিবী সাজাও।
০২
আকাশে একটুও মেঘ নেই,
হচ্ছে না একটুও বৃষ্টি।
বৃষ্টি ছাড়া সৃষ্টির জীব,
তৃষ্ণায় হারাচ্ছে দৃষ্টি।
দিকবিদিক হারিয়ে ফেলে,
পাগলের মত করছে ঘোরাঘুরি।
ঘুরতে ঘুরতে একে অন্যের মাথায়,
মারছে জোরে জোরে বাঁশের বাড়ি।
ভেবে দেখেছো জল যদি আর,
না থাকে এই পৃথিবীতে।
সমগ্র জীব ধ্বংস হবে,
কিছুই থাকবে না সৃষ্টিতে।
জলের অপচয় না করে ভাই,
বাড়াও জলের আঁধার।
নোংরা আবর্জনা না ফেলে,
নদী-নালা, খাল-বিল রাখো পরিষ্কার।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
দাদা আপনার লেখা অনু কবিতা গুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সাবলীল ভাষায় অনু কবিতা গুলো লিখেছেন। আসলে গাছ যদি না থাকে তাহলে আমাদের পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের মুখে চলে যাবে। তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য এবং আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগানো।
আসলে আমাদের সবাইকেই সচেতন হতে হবে। নতুবা আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো কিছু রেখে যেতে পারবো না।