জেনারেল রাইটিং:-অলসতা জীবনের চরম অভিশাপ।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম আপনাদের সবাইকে, কি অবস্থা সবার? নিশ্চয়ই সবাই ভালো আছেন। সবার ভালো এবং সুস্থ থাকার কামনা রাখি। আলহামদুলিল্লাহ আমি নিজেও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি মূলত লেখালেখি করতে পছন্দ করি। যদিও সময় সুযোগের জন্য করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু তারপরেও আজকে চেষ্টা করতেছি আপনাদের মাঝে একটা বিষয় নিয়ে লিখতে। কারন আমি নৃত্য নতুন কিছু সৃজন করতে খুব ভালোবাসি। আমি অন্যের লিখা পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয় জানতে খুব আগ্রহী। যখনই আমি সময় বের করতে পারি সে সময়টুকু আমি কিছু সৃজনশীলতায় পার করি। আজ আমি একটি বিষয়ের উপর জেনারেল রাইটিং লিখলাম। আশা করি এই বিষয়টা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
তো প্রিয় পাঠক বন্ধুরা চলুন তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের জেনারেল রাইটিং:-
অলসতা জীবনের চরম অভিশাপ
জীবন সংগ্রামের প্রতিটি পর্যায় এবং পরিস্থিতির সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে চলার নামই হলো জীবনের চলমানতা বা জীবনের সক্রিয়তা। আর যখন কেউ জীবনের এই সক্রিয়তার প্রতি বিমুখ থাকে তখন তাকে বলে অলসতা। অলসতা মানে নিজেকে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ দেয়া নয় বরং সক্রিয় জীবনকে ধ্বংস করার একটি প্রক্রিয়া। দীর্ঘ সময়ের অলসতা মানুষের বিবেক বুদ্ধিকে ও গ্রাস করে ফেলে। নিজের জীবনকে অলসতায় পূর্ণ করা মানে নিজের ব্যক্তিত্ব নিঃশেষ করে দেওয়া। জীবনে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে জীবন সক্রিয় থাকা অতিব জরুরী।
একজন সক্রিয় মানুষের বিবেক বুদ্ধি চিন্তা চেতনা অন্য একজন অলস ব্যক্তির চিন্তা চেতনার চেয়ে উন্নত হয়ে থাকে। কারণ অলসতায় থাকতে থাকতে যেকোনো একজন সুস্থ মানুষেরই বিবেক বিচারবোধ লোপ পেতে থাকে। যার কারণে একজন অলস ব্যক্তির চিন্তা চেতনা অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় প্রকাশ করে। যার ফলে দেখা যায় যেকোনো মতামতে একজন বিবেকবান ব্যাক্তির তুলনায় একজন অলস ব্যাক্তির মতামত প্রাধান্য পায় না। বাস্তবিকভাবে দেখা যায় ওই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব মূল্য সবার কাছেই অনেকাংশে কম থাকে। এছাড়াও দীর্ঘ সময়ের অলসতা জীবনকে তিক্তময় করে তোলে।
কথায় বলা হয়ে থাকে অলস মস্তিষ্ক দুষ্টবুদ্ধির কারখানা। এই কথাটি অত্যন্ত যৌক্তিক। কারন একটি অলস মস্তিষ্ক কখনো কর্মক্ষম চিন্তা করতে পারেনা। তার সকল চিন্তা চেতনাই হয়ে থাকে কর্মবিমুখতা কেন্দ্রিক। আর কর্মকে অবহেলা অবজ্ঞা করে কখনো জীবনে সক্রিয়তা ধরে রাখা যায় না। জীবনকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিতে অবশ্যই কর্মবিমুখতা পরিহার করে কর্মক্ষম হতে হবে। বাহ্যিকভাবে কর্মক্ষম থাকা সুশীল চিন্তাধারার অন্যতম বহিঃপ্রকাশ। একজন কর্মক্ষম ব্যাক্তির ধারণা মানসিকতাও কার্যকর হয়ে থাকে।জীবন সংগ্রামে সফল হতে অলসতা পরিহার করা প্রয়োজন।
আমাদের প্রত্যেক মানুষেরই উচিত নিজের জীবন থেকে অলসতা নামক অভিশাপটি দূরে রাখা। এই অভিশাপ থেকে আমরা যত বেশি দূরে থাকতে পারবো জীবন ঠিক ততটাই উন্নতি লাভ করবে। ফলে আমাদের মন মানসিকতা চিন্তা চেতনা ও উন্নত থাকবে। এতে করে আমাদের ব্যক্তিত্ব বাড়বে। আমরা নিজেদের জীবনকে অবশ্যই কর্মক্ষম এবং সক্রিয় রাখবো তবেই আমরা জীবনকে এগিয়ে নিতে পারবো। আর অলসতা থেকে নিজেকে সর্বদাই বিমুখ রাখবো।
আমার পরিচয়
আসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।শুরুতে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমি নিগার সুলতানা জেবিন, আমার Steemit ব্যবহারকারী আইডি - @nigarjebin। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরেই অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি।আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নৃত্য নতুন জায়গা ভ্রমন করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি লেখালেখি এবং বিভিন্ন কারুকাজ করতে ও খুবই পছন্দ করি। আর আমার অন্যতম শখ হলো রান্না করা । প্রতিদিন নতুন কোনো না কোনো রেসিপি বানাতে আমি আনন্দ পাই।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটা ভিজিট করার জন্য |
---|
https://x.com/Nigarjebin/status/1818560779286978761?s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অলস ব্যক্তি কখনো জীবনে সাফল্য বয়ে আনতে পারে না। অন্যের উপর নির্ভর করে সফলতার আশা করে কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়। তাই মনের মধ্যে জমে থাকা সকল অলসতা দূর করতে হবে আমাদের। যত অলসতা থাকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারা যাবে তত ভালো।
ইতিহাসে আমরা পড়েছি যে জাতি যত অলস সেই জাতি কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না। যারা পরিশ্রমী তারাই খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। সেটা প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে দেশের ক্ষেত্রে সমাজের ক্ষেত্রেই খুবই দরকার। সফলতার একমাত্র চাবিকাঠি হচ্ছে পরিশ্রম।
ঠিক বলেছেন আপনি আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজের ভালো কাজগুলো থেকে অলসতা অনেক বেশি দূরে রাখা। কারণ নিজের জীবন ভালোভাবে গড়ে তুলতে হলে আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। যত অলসতার বৃদ্ধে ঘিরে থাকবো ততই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে দ্বিগুণ সময় লাগবে। যাই হোক আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ভালো একটি টপিক নিয়ে শেয়ার করলেন।
আপনার পোষ্টের মধ্যে ভূমিকা অনেক বড় ছিল, তার তুলনায় লেখার পরিমান অনেক কম ছিল। আপনার একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে একটি পোস্ট ভালোভাবে দৃষ্টিনন্দন করতে গেলে সেই লেখার মধ্যে লেখাগুলো একটু বেশি হতে হবে তা না হলে পাঠকেরা পড়ে মজা পাবে না। আশা করছি এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পারবেন এবং পরবর্তী পোস্টগুলোতে লেখার পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন।
জ্বি ভাইয়া,,, আমি বিষয়টা বুজেছি। পরবর্তীতে অবশ্যই কথাটা মনে রাখবো।
ধন্যবাদ,,, ভাইয়া।
কথাগুলো পড়ে কিছু বাস্তবিক দিক উপলব্ধি করলাম।অলসতা মানে যে শুধু নিজেকে বিশ্রাম দেয়ার অজুহাত নয়,সক্রিয়তাকে নষ্ট করা।তবে এটা কতদিন। একদিন না একদিন তো এই অলসতার প্রভাব পড়বে।আর অলস ব্যক্তিত্ব সবসময় দুষ্টু মনমানসিকতা নিয়ে পড়ে থাকে।ঐ যে আর তো কোনো কাজ নেই,শুধুমাত্র শয়তানী বুদ্ধি বের করাই কাজ।খুব ভালো লাগলো আপনার লিখাগুলো।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি এবং বাস্তবিক কিছু কথা আপনার এই পোষ্টের মধ্যে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলে অলস মানুষ কখনো সফল হতে পারেনা৷ যারা অলসভাবে তাদের জীবন অতিবাহিত করে তারা কখনোই কোন ধরনের কাজে সফলতা অর্জন করতে পারে না এবং এই অলসতার কারণে তারা একদিন এতটাই অলস হয়ে যায় যে তারা একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য মাধ্যম ব্যবহার করে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷