(New Journey)নিউ জার্নি নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
New Journey নিউ জার্নি নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | New Journey নিউ জার্নি |
---|---|
পরিচালক | মাবরুর রশিদ বান্মাহ |
অভিনয় | আরোশ খান, মাহিমা সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৩ জুন ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে আসলাম৷ প্রথমে নায়িকাকে দেখানো হয়৷ সে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল৷ সেই রাতের বেলা তার স্টুডেন্টকে পড়িয়ে বাসায় যাচ্ছিল৷ তখন তার পিছনে পিছনে নায়ক আসছিল৷ প্রতিদিন নায়ক তার পিছনে আসতো৷ একদিন নায়িকা তাকে দাড় করিয়ে জিজ্ঞাসা করে সে প্রতিদিন এরকম তার পেছনে আসে কেন৷ তার কোন খারাপ মতলব আছে কিনা৷ অথবা সে ছিন্তাইকারি কিনা৷
তখন নায়ক বলে যে সে তাকে প্রোটেক্ট করছে এবং প্রতিদিনই সে তাকে প্রোটেক্ট করে৷ যাতে করে সে রাতের বেলায় এখানে যেন কোন ধরনের বিপদের সম্মুখীন না হয়৷ এর পরবর্তীতে নায়িকা তার সাথে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা করতে থাকে৷ তাকে অনেক ধরনের অপবাদ দিতে থাকে৷ এর কিছুক্ষণ পরে সেখানে সত্যিকারের ছিন্তাইকারি চলে আসে৷ তারা সেখানে আসার পরে তাদের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে চলে যায়৷
এর পরবর্তীতে নায়িকা তাদের জিজ্ঞাসা করে যে আসলে তারা সত্যি কারের ছিন্তাইকারি কিনা৷ নায়ক তাদেরকে ভাড়া করে এনেছে কিনা নায়িকাকে ভয় দেখানোর জন্য৷ এর পরবর্তীতে নায়ক বলে যে সে তাদেরকে চেনে না৷ এরপর তারা দুজনে একলা সেখানে বসে থাকে৷ কিছুক্ষণ পরে নায়ক তার গোপন জায়গায় রাখা টাকা বের করে এবং সে টাকা দিয়ে তারা দুজনে সেখানে চা খায় এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এর পরবর্তীতে তারা একে অপরের সাথে বিভিন্ন সময় অতিবাহিত করতে থাকে এবং দুজনে দুজনকে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায়৷ এই সম্পর্ক অনেকটাই ভালোভাবে চলছিল৷ এর পরবর্তীতে নায়ক একদিন নায়িকাকে তাদের বাসায় নিয়ে আসে৷ সে তার বাবা-মায়ের সাথে নায়িকাকে দেখা করায়। সেখানে নায়িকার বাবা-মা যখন নায়িকাকে দেখতে পায় তখন উনারা একেবারে অবাক হয়ে যায় এবং অনেক খুশি হয়ে যান৷
তারা দুজনেই অনেক খুশি হয়ে যায়। কারণ নায়ক এত সুন্দর একটি মেয়েকে তাদের বাসায় নিয়ে এসেছে। নায়ক তাকে পছন্দ করে এই কথাটি শুনে তারা দুজনে অনেক খুশি ছিল। তারা দুজনেই নায়কের সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছিল। তাদের সম্পর্ক অনেকটাই গভীর হয়ে যায়।এর পরবর্তীতে নায়িকার পরিবারের মাঝেও নায়কের কথা বলা হয়। ওনারাও নায়ককে দেখে অনেক পছন্দ করে ফেলেন।
এভাবে তাদের সবকিছু একেবারে ভালোভাবে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়ের জন্য আয়োজন করা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তারা সবাই মিলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করছিল। নায়িকার বিয়ের ডেটও তারা দিয়ে দিয়েছিল। এর পরবর্তীতে আসল সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নায়িকার বাবা-মা ছিল না৷ সে তার ভাইয়ের কাছে বড় হয়েছে এবং ছোটবেলা থেকে তার ভাই তাকে বড় করছে৷ নায়ক তার মা বাবার একমাত্র সন্তান। যার ফলে ওনাদেরও অনেক কিছু চিন্তা ছিল। নায়িকাও একমাত্র বোন হিসেবে তার ভাইয়ের মাথার মধ্যে অনেক কিছুই চিন্তা আসছিল৷ তখন সে বলে যে সে এখন তার বোনকে ধুমধাম করে বিয়ে দিবে৷সে তার বোনকে এত বেশি পরিমাণে ভালোবাসতো যে তার বিয়েতে অনুষ্ঠান করার জন্য সে অনেক বেশি টাকার অ্যামাউন্ট এর খরচের কথা ভাবছিল৷
সে বলছিল যে তার কাছে যেহেতু এখন টাকা নেই, তবে সে অফিসে থেকে লোন নিয়ে তার বোনের বিয়েতে খরচ করবে৷ নায়িকা চুপিচুপি শুনে নেয়৷ এর পরবর্তী নায়ককে দেখানো হয়৷ তার পরিবারেরও একই অবস্থা৷ সে যখন বাসার মধ্যে বসে ছিল তখন সেখানে তার মা-বাবা অনেক কিছু লিস্ট করছিল৷ সেখানে কত টাকা কোথায় খরচ হবে সবকিছু এখানে হিসাব করা হচ্ছিল৷ নায়ক এই বিষয়টি শুনে৷
তখন সে বলে যে তার বিয়েতে এত টাকা খরচ করার কোন প্রয়োজন নেই৷ তখন তাকে ধমক দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ নায়িকা যখন তার ভাইকে বলে যে এত টাকা খরচের কোন প্রয়োজন নেই তখন নায়িকাকেও একইভাবে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়৷ এর পরবর্তীতে তারা দুজনে প্ল্যান করে যে তাদের বিয়েতে যদি এত টাকা খরচ হয় তাহলে ভবিষ্যতে কোন ধরনের সমস্যায়ও পড়তে হতে পারে৷
এখন এত বেশি টাকা খরচ করার কোন প্রয়োজন নেই৷ তাই তারা সবাইকে একসাথে করে সবকিছু সমাধান করে এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা হয়৷ এর পরবর্তীতে সবাই সবকিছু মেনে নেয় এবং একেবারে অল্প কিছু টাকা খরচ করে ক্ষুদ্র পরিষরে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ এভাবে নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
**খুবই সুন্দর একটি নাটক এটি৷ আসলে এই নাটকের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে সব কিছুই বাস্তবতার সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে৷ আসলে নাটকের মধ্যে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি হলো, একজন আরেকজনকে পছন্দ করেছিল। একে অপরের মধ্যে যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছিল। তাদের এই সম্পর্ককে তারা পবিত্র করার জন্য তাদের পরিবারের কাছে বিয়ের অনুমতি চায়। দুই পরিবারই খুব সুন্দর ভাবে তাদেরকে মেনে নেয়। এর পরবর্তীতে আসল সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়।
দুই পরিবার থেকেই বলা হয় যে তাদের বিয়েতে অনেক ভালো করে সবকিছু পরিচালনা করা হবে।তাদের দুজনের বিয়েতে দুই বাড়িতে অনেক বৃহৎ আকারে অনুষ্ঠান করা হবে। দুজনের বিয়েতে এত বেশি পরিমাণে টাকা খরচ করার কথা যখন নায়ক এবং নায়িকা শুনতে পায় তখন তারা অনেকটাই কষ্ট পায়। কারণ তাদের এই টাকা খরচ করার ক্ষেত্রে একেকজনের কাছ থেকে একেক উপায়ে টাকার ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। কারণ নায়কের বাবার কাছে এত টাকা নেই। কারণ সে এখন কোন কাজ তেমন বেশি করে না। তাই তাদের যে একটি ফ্রেন্ড ছিল সেই ফ্ল্যাট বিক্রি করার কথা ফ্ল্যাট ছিল সেটি বিক্রি করার কথা বলছিল।
একই সাথে নায়িকার ভাইও তার অফিস থেকে লোন নেওয়ার কথা ভাবছিলেন৷ যার ফলে নায়িকা এবং নায়ক এই কথাটি শুনতে পেয়ে অনেক কষ্ট পায়৷ তখন তারা দুজনে প্ল্যান করে যে তাদের বিয়েতে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে না৷ শুধুমাত্র একটু ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সব কিছু সম্পন্ন করা হবে৷ তাই তারা দুজনে যখন সবকিছু সম্পন্ন করার পরে এখানে সব কিছু করছিল তখন এখানে তাদের দুই পরিবারই সবকিছু ভালোভাবেই মেনে নিয়েছিল৷
এভাবে সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়৷ আসলে আমাদের বাস্তবিক জীবনে আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই৷ কারণ আমাদের বাস্তব জীবনে আমাদের যে পরিবার রয়েছে ওনারা অনেক বেশি পরিমাণে টাকা খরচ করতে চান৷ সেই টাকা কোথা থেকে আসে বা কিভাবে তারা আয়োজন করে হয়তো আমরা এই বিষয়টি বুঝতে না পেরে আমরা শুধুমাত্র আনন্দ উদযাপন করতে থাকি৷ ঠিক এরকম একটি ঘটনাকে নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।**
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Nevlu123/status/1859801090826568079
আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে নিউ জার্নি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর করে আপনি পুরো কাহিনীটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আরশ খানের নাটক গুলো আমার খুব একটা দেখা হয় না। এই নাটকের পুরো কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, তাই আমি ভাবছি সময় পেলে এই নাটকটা দেখব।
এখনকার সময় অনেক বিয়েতে দেখা যায় যে এত বেশি আয়োজন করে তা পরিবারের পক্ষে ম্যানেজ করা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। তারপরও তারা বিভিন্ন ধার দেনা করে ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই নাটকটিতে সেই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি মনে হল। বেশ ভালো লাগলো। নাটকটি বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে আমার কাছে। ধন্যবাদ সুন্দরভাবে রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার আজকের নিউ জার্নি নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এই নাটকটি আমি এখনো দেখিনি। তবে রিভিউ পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দেখার খুব ইচ্ছা হল।
ভাই আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন। আপনার শেয়ার করা নাটকটি আমি ডাউনলোড করে রাখছি বাট এখনো দেখা হয়নি।তবে আপনার পোস্টে নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। খুব শীঘ্রই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
এই নাটকটার কাহিনী অনেক বেশি সুন্দর ছিল। এই নাটকটার মধ্যে অনেক সুন্দর একটা বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে আপনি নাটকটার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে কাহিনী টাকে সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও নাটকটি আমার দেখা হয়নি। তারপরও আপনার পোস্টের মাধ্যমে পড়ে নাটকটি দেখার ইচ্ছা জাগলো।চেষ্টা করব নাটকটি দেখার জন্য। অনেক ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহ এর নাটক এক সময় প্রচুর দেখা হতো আমার। তবে এখন সময়ের অভাবে তেমন একটা দেখা হয় না। এই নাটকের রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে নাটকটি খুব সুন্দর। সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।