আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। |
প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হতে চেষ্টা করছি। আর সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে এলাম। আজকের পোস্টে আপনারা দেখতে পাবেন মজাদার একটি পুডিং এর রেসিপি। পুডিং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমাদের বাসায় প্রায়ই পুডিং বানানো হয়। তবে প্রতিবারই আমার ওয়াইফ পুডিং তৈরি করে থাকে। আর এবারেও সে ই প্রসেসিং করছিল। কিন্তু আমি বললাম যে আজকে আমি তৈরি করব। আর রেসিপি নিজের জন্য তৈরি করে নেব। তখন সে বলল আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর আমি তার সাহায্য নিয়েই পুডিং রেসিপি তৈরি করলাম। কারণ আগে আমি তৈরি করতে দেখেছি, সেজন্য আমি সবকিছু নিজের হাতে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। তবে চুলার কাজগুলো আমি করতে কিছুটা দ্বিধাবোধ করার কারণে চুলের কাজে আমাকে আমার ওয়াইফ হেল্প করেছিল। আর সর্বোপরি আমি নিজ প্রচেষ্টায় করার চেষ্টা করলাম। তবে প্রথমবার তৈরির করেছি সেই হিসেবে খুব বেশি একটা খারাপ হয়নি। মোটামুটি সবার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। চলুন তাহলে আমার আজকের রেসিপিটি শুরু করা যাক।

পুডিং তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ |
উপকরণ | পরিমাণ |
ডিম | ৩ টি |
তরল দুধ | ৩কাপ |
চিনি | ১ কাপ |
পানি | পরিমাণ মত |
প্রথমে একটি পাতিল চুলায় বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে আধা কাপ পরিমাণ চিনি এবং দুই টেবিল চামচ পরিমাণ পানি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চুলার আগুন জ্বালিয়ে জ্বাল দিতে হবে।
বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিতে দিতে এই চিনির শিরাটা লাল হতে শুরু করল। খুব বেশি লাল হলে তেতো হয়ে যায়। এজন্য তাড়াতাড়ি চুলা থেকে নামিয়ে একটি স্টিলের বাটির মধ্যে ঢেলে নিয়ে এটিকে চারদিকে ঘুরিয়ে সেট করার জন্য রেখে দিতে হবে।
একটি পাত্রে তিন কাপ দুধ জ্বাল করে নিয়ে প্রায় অর্ধেকটা করে নিতে হবে। কারণ ঘন দুধের পুডিং একদম সফট হয়।
অন্য একটি পাত্রে তিনটি ডিম ভেঙে নিয়ে একে ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে। তারপর এর মধ্যে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ চিনি দিয়ে আবারো ভালভাবে মিক্স করে নিলাম চিনি গলানো পর্যন্ত।
এখন আমি চিনি আর ডিমের মিশ্রণের মধ্যে ঘন করে জাল দেয়া দুধ ঢেলে দিব এবং আবারও একটু মিক্স করে নেব যাতে সবকিছু একসাথে মিশে যায়।

এই সম্পূর্ণ মিশ্রণ কে ছেঁকে নিয়ে ক্যারামেল যে বাটিতে নিয়েছিলাম সেটাতে ঢেলে দেব।

বিশালাকার একটি পাতিল নিতে হবে। এর মধ্যে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে পুডিং এর বাটি বসিয়ে দিলাম। তারপর পুডিং এর বাটির অর্ধেক পরিমাণ পানি পাতিল এর মধ্যে ঢেলে দিয়ে পুডিং টিকে কভার করে উপরে আবার পাতিলের উপরে ঢাকনা দিয়ে এটি কে মোটামুটি সিদ্ধ করার জন্য রেখে দিয়েছি। সিদ্ধ হোক বা ভাঁপে দেয়া হোক এটি এখন রেডি হওয়ার পালা। তারপরই আমার খাবার পালা।
অবশেষে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে এই পুডিং ভালোভাবে হতে। তারপর এটি চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে নিয়ে তারপর ফ্রিজে রাখা হলো। ফ্রিজ থেকে নামিয়ে এটি একটি প্লেটের মধ্যে ঢেলে নিলাম এবং ক্যারামেলসহ পুডিং দেখতে দারুন দেখাচ্ছে। তারপর কাটিং করে নিলাম এবং খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।

https://twitter.com/Nevlu123/status/1620472450424381440?s=20&t=pFxRGQgHL60bZQuAH9D-qQ
কি রেসিপি দেখালেন ভাইয়া! পুডিং আমার অনেক পছন্দ। তবে অনেকদিন ধরেই পুডিং খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পুডিং আমার ও অনেক পছন্দ।অনেক অনেক ধন্যবাদ যথাযথ একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে সবসময় এই কামনা করি।
ডিমও দুধের সমন্বয়ে যে পুডিং করা হয় খেতে তা যেমন সুস্বাদু হয় তেমনি পোস্টি গুণে ভরপুর একটি খাবার।আমার কাছে ডিমের পুডিং খেতে অনেক পছন্দের।আমিও প্রায় সময় ডিমের পুডিং করে থাকি তবে ইদানিং একটু কম করা হচ্ছ।তবে আপনি বেশ মজার করে ডিমের পুডিং তৈরি করেছে আজ। অনেক ধন্যবাদ অনেক পরিশ্রম করে আজ আমাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
তাহলে আবার শুরু করে দেন বানানো এবং আমাকে ও দাওয়াত দিয়েন। 😃🤣😃ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এখন তো যুগ পাল্টে গেছে। এখন তো দেখা যায় মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই বেশী রান্না বান্না করে। যাই হোক ভাবীর সহায়তায় খুব সুন্দর করে পুডিং অবশেষে বানানোই হলো। পুডিং টি দেখতে কিন্তু বেশ লাগছে। একা একা খেলেন। পেট কিন্তু ব্যথা করবে।হি হি হি।
বর্তমানে যত নামি দামি এবং ভালো সেফ রয়েছে সবটাই কিন্তু ছেলে সেফ। তাই মানতে হবে ছেলেরা বেস্ট রাধুনি। যাই হোক একা একা খেলাম তো কি হয়েছে, আপনি চলে আসুন আবার বানাবো। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মিষ্টি খাবার গুলোর ভিতরে পুডিং আমার অন্যতম পছন্দের খাবার। আপনার বানানোর প্রসেস দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সহজ। পারলে একটু পাঠিয়ে দেন, বসে বসে খাই। 😁
ঠিক আছে ভাই পাঠিয়ে তো দিলাম সময় মতো আপনি রিসিভ করে নিয়েন। আর খেয়ে বলবেন কেমন হয়েছে 🤣🤣🤣।ধন্যবাদ খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
বিগত মাসখানেক আগে সম্ভবত আমিও পুডিং বানিয়ে ছিলাম এবং আপনার পুডিং টা দেখে অনেকটাই লোভনীয় লাগছিল। মনেহয় খেতে বেশ ভালোই স্বাদযুক্ত হয়েছিল।
জি আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আশা করছি আপনিও বানিয়ে খাবেন। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
পুডিং একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের দোকানে এই সব পুডিং পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলোর মান তেমন ভালো হয় না। কিন্তু ঘরে তৈরি করতে পারলে সেগুলো মানের দিক থেকে অনেক সুন্দর হয় এবং খেতে ও অনেক বেশি মজা লাগে। আপনার পুডিং রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপন অল্প সময়ের মধ্যে রেসিপিটা অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন ঘরে তৈরি করতে পারলে সেগুলো মানের দিক থেকে অনেক সুন্দর হয় এবং খেতে ও অনেক বেশি মজা লাগে।
ভাইয়া ঘরে বসে ভাবিকে সাথে নিয়ে ধারুন একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। পুডিং তৈরীর কাজটা আমার কাছে একটু কঠিন লেগেছে। তবে একদিন সাহস করে চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘরে তৈরি করতে পারলে সেগুলো মানের দিক থেকে অনেক সুন্দর হয় এবং খেতে ও অনেক বেশি মজা লাগে।