নিজেরা মা-বাবা না হলে, মা বাবার দুঃখ কষ্টটা অনেক সময় বুঝা যায় না।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
নিজেরা মা-বাবা না হলে, মা বাবার দুঃখ কষ্টটা অনেক সময় বুঝা যায় না। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখে বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি এ বিষয়টি আপনাদের ভালো লাগবে। হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে কথাগুলো মিলে যেতে পারে।যাইহোক প্রতি সপ্তাহের একটি জেনারেল পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আর সেই লক্ষ্যে লিখতে গিয়ে এই বিষয়টি মাথায় আসলো তাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
আসলে মা বাবা সন্তানদেরকে কত আদর যত্নে মানুষ করে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায় ছেলে মেয়ের হাতে বাবা-মা লাঞ্ছিত।অনেকে আছে বাবা-মায়ের দুঃখ কষ্ট ও দুর্দশা কিছুই বোঝে না। আর সেটা আসলে অনেকের না বোঝারই কথা। কারণ যতদিন না সে বাবা অথবা মা না হয়।তবে এক্ষেত্রে সবাই যে তার মা বাবার দুঃখ বুঝবে এমনটাও নয়।
কারণ এরকম অনেক মা-বাবা রয়েছে যারা তার মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে এসেছে। আবার অনেক মা-বাবা রয়েছে তারা তার বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিজের আশেপাশে রাখে। সবদিক থেকে খেয়াল রাখে। বর্তমানে বাংলাদেশ বলুন বা অন্যান্য কান্ট্রি বলুন সব জায়গাতে বৃদ্ধাশ্রম বা ওল্ড কেয়ার হোম এর অভাব নেই।মা বাবা যখন বৃদ্ধ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দেয়। তাদেরকে দেখাশোনা করার মত মন মানসিকতা কিছু কিছু সন্তান রাখেনা।
প্রকৃতপক্ষে যদি সবাই মা-বাবার কষ্ট বুঝতো তাহলে নিজেদের সাথেই মা-বাবাকে রাখত, আর এত বৃদ্ধাশ্রম তৈরি হতো না।তাহলে পৃথিবীটা আরো কত সুন্দর হতো। সম্পর্কগুলো আরো কোমল হতো। কিন্তু না নিজের একটু রং তামাশার জন্য নিজের একটু উচ্চ বিলাসিতার জন্য দেখা যায় মা-বাবাকে দূরে তাঁড়িয়ে দেয়।আমি মনে করি যারা মা-বাবার দুর্দিনে না থাকে তারা আসলে সুসন্তান নয়। সু সন্তান তো সে যে তার মা বাবার সব দুঃখ বোঝে। যে মা বাবার কষ্টের ভাগীদার হয়।
তবে কিছু কিছু ছেলে মেয়েরা যখন তারা মা অথবা বাবা হয়, তখন তার মায়ের কষ্টটা উপলব্ধি করতে পারে। তারা চিন্তা করে তারা মা বাবা হওয়ার জন্য যে পরিমাণ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তেমন করেই তার মা-বাবা ও কষ্ট করে তাদেরকে এই পৃথিবীতে এনেছেন। ছেলে মেয়েরা যেমন তাদের ছেলে মেয়েদেরকে মানুষ করার জন্য যথাযথ প্ল্যান করে, অনেক খাটা খাটনি করে যত্ন করে বড় করে। তেমনি একটা সময় তাদের মা বাবা ও তাদেরকে এভাবে যত্ন করেছিল এ বিষয়গুলা তারা মাথা রাখে। আর যারা এরকম মাথায় রাখে তারাই আসলে বাবা-মায়ের সু সন্তান।
আমরা ছোটবেলায় কতই না দুষ্টামি করতাম কতইনা ভুলভাল কাজ করতাম। মা বাবা বকাঝকা করে আমাদেরকে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতো। কই মা বাবা তো কখনো আমাদেরকে ছেড়ে যায়নি। মা বাবা তো কখনো আমাদেরকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়নি। কিন্তু আজকাল আমরা ছেলে মেয়েরা মা বাবার দুঃখ দুর্দশাতো বুঝিনা বরং একটু বকাঝকা করলে তখন মায়ের উপরে রাগ হয়ে যাই।
আমরা ভালো করেই জানি একটা মানুষ যখন বৃদ্ধ হতে থাকে তখন তার মস্তিষ্ক শিশুর মস্তিষ্কে পরিণত হয়। আমরা যখন শিশু ছিলাম তখন কতই না দুষ্টামি এবং অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িত থাকতাম। কোন প্রকার গোছালো জীবন যাপন থাকতো না সেই সময়,না গোছালো কথাবার্তা বলতে পারতাম। মানুষের সাথে ঝগড়াঝাটি করে বেড়াতাম। তবু মা বুঝিয়ে শুনিয়ে আমাদেরকে বড় করে। আর মা যখন বৃদ্ধ হয়ে শিশু অবস্থায় ফিরে যায় তখন মায়ের বকাঝকা আমাদের আর সহ্য হয় না ভালো লাগে না।
তবে বেশি কথা বাড়াবো না শুধু এতোটুকুই বলবো যত ছেলে সন্তান আছে,যারা মায়ের সুযোগ্য সন্তান তারা অবশ্যই মায়ের দেখাশোনা করবে। আর মায়ের মত আপন পৃথিবীতে আর একজনও নেই।তাই সবার প্রতি আহ্বান রাখবো সবাই সবার মা বাবার দুঃখ দুর্দশা বুঝবেন। মা বাবা বৃদ্ধ হলেও মা বাবাকে নিজের সাথে রাখবেন। নিজের যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে সেটা দিয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করবেন, তাদের চাহিদা পূরণ করবেন।
ফেসবুকে হঠাৎ করে একটি বাণী দেখতে পেলাম "মা-বাবার উপরে আপন কেউ নেই"তাই নিজের অগোচরের কিছু কথা ভাবলাম এ বিষয়ে।আর আপনাদের মাঝে আলোচনা করে আজকে আমার মত করে শেয়ার করলাম। এই কথাগুলোর মাঝে জাস্ট নিজের আবেগে যা ধরেছে সেটাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।ব্লগটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1781878874550468645
আসলে ভাই আজকে আপনার পোস্ট এবং চিন্তাভাবনা দারুন ছিল । এরকম মানুষ সমাজে অনেক রয়েছে যারা মা-বাবার কষ্ট বোঝে না । যখন তাদের সন্তান হবে যেমনটা তাদের মা-বাবাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে এক সময় দেখা যাবে তার সন্তান ও তাদেরকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। যেটা তার প্রাপ্তি ছিল। সেজন্য সবারই উচিত মা বাবাকে সবসময় ভালো রাখা পাশে রাখা। তাহলেই জীবনে সন্তানের কাছ থেকে সেই ভালোবাসাটা পেয়ে যাবে।
ঠিক ভাই সবারই উচিত মা বাবাকে সবসময় ভালো রাখা পাশে রাখা।।
আসলেই ভাইয়া ছোটবেলায় বাবা-মা আমাদেরকে যেভাবে মানুষ করে বৃদ্ধ বয়সেও যদি আমরা বাবা-মাকে সেভাবে দেখতাম তাহলে পৃথিবীতে আর বৃদ্ধাশ্রম তৈরি হতো না। তাছাড়া ঠিক বলেছেন একটু বড় হওয়ার পর আমাদের আর বাবা-মার শাসন ভালো লাগে না। তখন আমরা মনের অজান্তে অনেকেই দুর্ব্যবহার করে বসি বাবা মার সঙ্গে। এমনটি করা একেবারে উচিত না। আশা করি আপনার লেখাটি পড়ে অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবে।
জি আপু সব গুলো ঠিক কথাই বলেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,, নিজেরা বাবা মা না হলে বাবা মায়ের দুঃখ কষ্ট অনেক সময় বোঝা যায় না। বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধ বাবা মায়ের প্রতি সন্তানদের অবহেলা। এগুলো দেখলে খুবই কষ্ট লাগে। এমনকি আমরা নিজেরাও তো কত সময় রাগের মাথায় বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে ফেলি। যেটা আমাদের কখনোই উচিত নয়। এত দারুণ একটি টপিকস নিয়ে আজ আলোচনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা আমারও মনে হয় নিজেরা বাবা মা না হলে বাবা মায়ের দুঃখ কষ্ট অনেক সময় বোঝা যায় না।
কথায় বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝেনা। এই প্রবাদ বাক্যটা কিন্তু অতি সত্য। যখন আপনি কারো সন্তান ছিলেন তখন আপনি বোঝেননি আপনার বাবা-মায়ের দুঃখ হাসি গুলো। কিন্তু যখন আপনি বাবা হয়েছেন তখন আপনি বুঝতে পারছেন আপনার বাবা আমার সেই দুঃখ কষ্ট দেয়। আর এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। আমরা এখন বাবা-মায়ের পর্যায়ে পৌঁছে গেছি তাই আমরা এখন বুঝতে পারছি। আপনি খুবই দারুণ লিখেছেন ভাই আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই।🌹
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নিজেরা মা-বাবা না হলে, মা বাবার দুঃখ কষ্টটা অনেক সময় বুঝা যায় না এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। যদিও ভাইয়া আমি এখন অনেক ছোট তারপরেও আপনার পোস্টটি পড়ে বিষয়টা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। আপনি নিশ্চয়ই বাবা হয়েছেন এজন্যই আপনার এ বিষয়গুলো মাথায় এসেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া মা-বাবার উপরে আপন কেউ নেই। তবে মা বাবা সন্তানদেরকে যেভাবে মানুষ করে তাদের এই ঋণ কখনো শেষ করা যাবে না। যখন ছেলে সন্তানেরা মা বাবা হয় তখন তারা বুঝে মা-বাবা কি জিনিস ছিল। বর্তমানে অনেকে দেখা যায় মা-বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাদের মূল্য বোঝেনা। এই পৃথিবীতে মা-বাবার সেই আপন কেউ নেই। খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ঠিক মা বাবা সন্তানদেরকে যেভাবে মানুষ করে তাদের এই ঋণ কখনো শেষ করা যাবে না।।
ভাইয়া আপনার পোষ্টের মধ্যে বাস্তবিক কথা তুলে ধরেছেন। মা বাবা আমাদের এতই আপন কিন্তু অনেকেই মা বাবাকে ঠিকমতো মূল্যায়ন করে না। মা বাবা যখন পৃথিবীতে না থাকে তখন অনেকে তাদের মূল্য বোঝে। সন্তানেরা যখন মা বাবা হয় তখন মা বাবার কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে। তবে এখন ফেসবুকে দেখি থাকি মা বাবাকে অনেক ছেলে সন্তানে কষ্ট দিয়ে থাকে। মা বাবার চেয়ে এই পৃথিবীতে আমি মনে করি আর আপন কেউ নেই। এবং মা-বাবার এক ফোঁটা চোখের পানির অনেক দাম। সত্যি ভাইয়া আপনার পোষ্টের মধ্যে অনেক কিছু তুলে ধরেছেন শিক্ষণীয় মা-বাবাকে নিয়ে। এই ধরনের পোস্ট গুলো বারবার পড়তে মন চায়।
জি ভাই মা বাবা যখন পৃথিবীতে না থাকে তখন অনেকে তাদের মূল্য বোঝে।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। এই পৃথিবীতে মা বাবার চেয়ে আপন আর কেউ নেই এবং এটা একেবারে সত্যি কথা। যখন দেখি মা বাবাকে কেউ বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে, তখন আমার কাছে ভীষণ খারাপ লাগে। তারা একবারও ভাবে না,মা বাবা যদি তাদেরকে ছোটবেলা এতিমখানা বা অন্য কোথাও রেখে আসতো,তাহলে তাদের কি হতো। বয়স্ক মানুষেরা শিশুদের মতোই হয়ে যায় অনেকটা। তাই অবশ্যই তাদের দিকে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত। এটা ঠিক অনেক সময় নিজেরা মা বাবা হলেই, মা বাবার কষ্টটা বুঝা যায়। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে আসলেই খুব ভালো লাগলো।
ঠিক ভাইজান আসলেই বয়স্ক মানুষেরা শিশুদের মতোই হয়ে যায় অনেকটা। তাই অবশ্যই তাদের দিকে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।