মাছের কাবাব খাওয়ার জন্য মনপুরায় একদিন।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
মাছের কাবাব খাওয়ার জন্য মনপুরায় একদিন। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন কি বিষয়ে আজকে আমরা তোমাদের শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে কিছুদিন আগে মনপুরা কাবাব হাউজে গিয়েছিলাম মাছের কাবাব খাওয়ার জন্য। সত্যি বলতে সেখানে অনেক ধরনের খাবার রয়েছে, তবে আমরা বেশিরভাগই যাই চিকেন টিক্কা,চিকেন তান্দুরি, আর মাছ কাবাব খেতে। তো বন্ধুরা চলুন শুরু করি আজকের বিষয়বস্তু।
ব্যস্ততায় দিন কাটছে তবুও মাঝে মাঝে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াই। আর কিছুদিন পর পর না ঘুরতে পারলে মনটা কেমন যেন হয়ে যায়। তাই কি আর করার মন ভালো করতে মাঝে মাঝে ঘুরতে যাই। তবে গত কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম মনপুরায়। যদিও মনপুরাতে বেশিরভাগ সময়ই যাওয়া হয়। কারণ সেখানে পরিবেশটা খুবই চমৎকার। সেই পরিবেশে বসে থাকতে, আড্ডা দিতে অনেক ভালো লাগে।
যাইহোক গতবার গিয়েছিলাম নিভৃত এবং নিভৃতের আম্মুকে নিয়ে।কারণ নিজের ঘুরাঘুরির পাশাপাশি নিজের ফ্যামিলির ঘোরাঘুরিও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেজন্যই তাদেরকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। আর কাছাকাছি বলতে গেলে মনপুরাই আছে। তাই আর বেশি দূরে যাওয়া হয়নি। সেখানে গিয়ে আমরা মনপুরা কাবাব হাউজের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। মনপুরা এরিয়াটি অনেক বড় তবে আমরা প্রথম অংশে বসে পড়লাম।
যদিও বর্তমানে মনপুরার অর্ধেক অংশে পার্ক করে ফেলেছে।আর সে দিকে ঢুকতে হলে টিকেট লাগবে, যেটা আগে আমরা এমনিতে ফ্রিতে বসে আড্ডা দিতাম। তবে এখন আর ওইদিকে তেমন একটা যাওয়া হয় না। যেহেতু বাচ্চারা ওখানে খেলাধুলা করে। যাক আমরা প্রথম অংশে বসে গেলাম। তখন একজন এসে জিজ্ঞাসা করল কি খাবেন। তখন প্রথমে চিকেন তান্দুরি অর্ডার করেছিলাম, পরে সেটা বাদ দিয়ে বললাম আমাদেরকে মাছের কাবাব দাও।
তখন সে আমাদের অর্ডার নিয়ে গেলে। যথারীতি বিশ মিনিটের মধ্যে সে মাছের কাবাব নিয়ে টেবিলের সামনে প্রেজেন্ট করল। যদিও যতক্ষণ পর্যন্ত কাবাব না এসেছে ততক্ষণ নিভৃত সহ অনেক দুষ্টামি করেছিলাম।আর এ কাবাব হাউজে এত বেশি লোকজন থাকে যে, কেউ যদি টেবিল ছেড়ে দিয়ে একবার উঠে তখন আরো মানুষ এসে বসে পড়ে। তাই নিভৃতের আম্মুকে বসিয়ে রেখে আমি আর নিভৃত কিছুক্ষণ দুষ্টামি করলাম। পরে যখন খাবার টেবিলে আসলো তখন আবার বসে পড়লাম।
যাক যে মাছটা আমাদেরকে দিয়েছে এটা ছিল সুরমা মাছ। মাছ, পরোটা, সালাদ, তিনে মিলে ভালো একটি খাওয়ার দাওয়ার হলো সেদিন। যদিও নিভৃত মাছ খেতে পারেনি কারণ এখানে অনেক ধরনের মসলা রয়েছে যেটি তার জন্য ক্ষতিকর। তাই তাকে মাছ না খেতে দিয়ে শুধু পরোটা এবং সালাদ খেতে দিয়েছিলাম।আর মাছ কাবাবটা সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।
যখন আমাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ হলো তখন বিল পরিশোধ করে আমরা সেখানে আর অপেক্ষা না করে চলে এলাম আমাদের গন্তব্যে। তো বন্ধুরা এই ছিল মনপুরায় হঠাৎ করে গিয়ে মাছ কাবাব খাওয়ার অনুভূতি। আজকে আর কথা না বাড়িয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে আর কথা বাড়াবো না ।আগামীতে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে আবারও ফিরে আসবো সে পর্যন্ত সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন এই কামনায় বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমন পোষ্ট। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
মনপুরা কাবাব হাউসে আপনারা প্রায়ই যান আগেও দেখেছি।শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারকে সময় দেয়া উচিত।আর তাইতো পরিবার নিয়ে সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। সেদিন চিকেন কাবাব না খেয়ে ফিশ কাবাব খেয়েছিলেন।আর এটা ছিল সুরমা মাছের কাবাব।বাইরের খাবারগুলোতে নানান মসলা,টেস্টিং সল্ট দেয়া থাকে।বাচ্চাদের এসব খাবার না খাওয়ানোই ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/Nevlu123/status/1810541936949997782
Hi @nevlu123,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
মনপুরা কাবাব হাউজে সম্ভবত আপনারা প্রায় সময় যান। প্রায় সময় আপনাদের পোস্টে দেখি এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে। সবাই মিলে এত সুন্দর একটা জায়গায় খাওয়া-দাওয়া করতে পারলে তো ভালোই হয়। দারুন সময় কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। এভাবে কখনো সুরমা মাছ পরোটা দিয়ে খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খাবারগুলো ভীষণ সুস্বাদু ছিল।
ব্যস্ততার মাঝেও এদিক সেদিক একটু ঘুরাঘুরি করলে মন ভালো থাকে। তাছাড়া পরিবার নিয়ে কমবেশি ঘুরাঘুরি করা সবারই দরকার। কারণ সবারই ইচ্ছে করে বাহিরে ঘুরতে। যাইহোক মনপুরায় গিয়ে মাছের কাবাব খেয়েছেন,দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। সুরমা মাছের কাবাব আমার ভীষণ পছন্দ। খাওয়া দাওয়া এবং গল্প করে আপনারা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
যাক শত ব্যস্ততার মাঝেও ঘুরাঘুরি করা ভালো। তাহলে একঘেয়েমি চলে যাই বিশেষ করে পরিবারের সাথে সময় দেওয়া হয়। নিভৃত দেখছি একেবারে টেবিলের উপর উঠে গেল হা হা হা। মনপুরাতে তো দেখছি সব সময় যেয়ে থাকেন। যেখানে খাবার খেয়ে মজা পাওয়া যায় ভালো সময় কাটানো যায় সেখানে সব সময় যেতে ইচ্ছে করে। আর খাবার গুলো দেখে তো এই সন্ধ্যা বেলায় লোভ লেগে গেল আমার।
সেদিন মাছের কাবাব অনেক বেশি মজা হয়েছে। সত্যি বলতে এর আগেও আরেকবার খেয়েছিলাম তখনও ভালো লেগেছে। এখন থেকে চিকেন তন্দুরির চাইতে মাছ কাবাব বেশি খাওয়া হবে। যাইহোক এরকম মাঝে মাঝে বের হলে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে ধন্যবাদ তোমাকে।
ব্যস্ততার মাঝেও মাঝে মাঝে কোথাও গেলে অনেক ভালো লাগে। নিভৃত এবং নিভৃতের আম্মুকে নিয়ে এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। খাবার গুলো খুবই লোভনীয় লাগছে। আর বাবুটা অনেক বড় হয়ে গেছে ভাইয়া।
এটি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিজের ঘুরাঘুরির পাশাপাশি ফ্যামিলকে ঘুরতে নিয়ে গেলে ভালো হয়। তবে মনপুরা কাবাব হাউস এমনিতে নাম করা। আমি নিজেও কয়েকবার ঐখানে গেলাম। আপনি দেখতেছি নিভৃত এবং আমাদের ভাবীকে নিয়ে কাবাব হাউজে গেলেন। এবং মাছের কাবাব অর্ডার করলেন খাওয়ার জন্য। তবে মনপুরা কাবাব হাউজের মধ্যে পার্ক করার কারণে সৌন্দর্য অনেক গুণ বেড়ে গেল এখন। এই কারণে দূর দুরান্ত থেকে লোকগুলো এখন এই কাবাব হাউজে যায় বেশি। যাই হোক খুব সুন্দর করে খাওয়া দাওয়া করেছেন এবং ভালো আড্ডায় দিয়েছেন পরিবারকে নিয়ে। এবং সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।