মহেশখালীর স্বর্ণমন্দির ভ্রমণ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
মহেশখালীর স্বর্ণমন্দির ভ্রমণ। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আসলে কিছুদিন আগে আমরা কক্সবাজার ঘুরতে গেয়েছিলাম।আর কক্সবাজার থেকে মহেশখালীর দিকেও ঘুরে আসলাম। মহেশখালীতে অনেক কিছুই দেখেছি,তবে স্বর্ণমন্দির টি খুব ভালো লাগলো। তাই ভাবলাম নিজের ভালো লাগার কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তাইতো আপনাদের মাঝে চলে এলাম। যাই হোক চলুন শুরু করি।
আসলে ভালোলাগার উন্নতম একটি জায়গা কক্সবাজার। কক্সবাজার এলে মন-মানসিকতা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।তবে শুধু কক্সবাজারেই ভালো লাগার সীমাবদ্ধ নয় বরং ভালো লাগার জন্য কক্সবাজার অসংখ্য জায়গায় রয়েছে। তাই ঘুরতে চলে গেলাম মহেশখালী।সেখানে উল্লেখযোগ্য অনেকগুলো স্পট ভিজিট করে অবশেষে স্বর্ণ মন্দিরে গেলাম।
আমরা চারজন ছিলাম। আমি, বৃষ্টি, আমার বন্ধু এবং তার ওয়াইফ।রীতিমতো বোটে করে মহেশখালী যাই এবং সেখান থেকে আমাদেরকে রিসিভ করার জন্য একটি লোক আসে। ওই লোকটি আমরা কক্সবাজার থাকাকালীন সেখানে এক স্থানীয় বন্ধু ছিলো সে লোকটিকে সেটআপ করে দিয়েছে। যখন আমরা গিয়েছি তখন তার গাইডে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। এলাকার কেউ যদি পাশে থাকে তখন মনটা আরো দৃঢ় হয় এবং সেফটি অনুভব করা যায়।
তাদেরকে নিয়ে অনেক জায়গাতে ঘুরার পরে যখন স্বর্ণমন্দির এলাম, তখন দেখতে পাই স্বর্ণ মন্দিরের ভিতরে খুব সুন্দর কিছু দৃশ্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমরা যেদিন গিয়েছি সেদিন স্বর্ণমন্দির বন্ধ ছিল।তাই আমরা ভিতরে ঢুকতে পারিনি। তবে ভিতরে ঢুকতে না পারলেও বাইরে থেকে সৌন্দর্য একদম সুন্দর ফুটে উঠেছে। খুব সুন্দর নকশা করা স্বর্ণমন্দির এবং পাশে আরো কিছু মন্দির রয়েছে যেগুলো অনেক সুসজ্জিত। স্থপতির কাজ যারা করেছে তার কাজের প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না।
মনে হয় চীন থেকে কেউ এসে এই ডিজাইনগুলো করে রেখেছে। আমরা স্বর্ণমন্দিরের আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম এবং বাইরে থেকেই যতটুকু দৃশ্য আমাদের চোখে দৃশ্যমান হলো সবটাই ক্যামেরা বন্দি করে নিলাম।তবে ভিতরে যেতে পারিনি সেটা খারাপ লাগলো। যাইহোক কিছু তো করার নেই। হয়তো কোন কারনে বন্ধ ছিল সেদিন।
স্বর্ণমন্দিরের ভিতরে যে ভবন গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো এক একটি একেক ডিজাইনের। বিশেষ করে যেটাকে স্বর্ণমন্দির বলা হচ্ছে সেটা দেখতেও বেশ চমৎকার। মন্দির গুলোর আশেপাশে গাছপালায় খুব সুন্দর সুসজ্জিত হয়ে আছে । তবে ভিতরে কিছু সংখ্যক লোক দেখতে পেয়েছিলাম এবং তারা অনায়াসে সেখানে বসে রয়েছে।
প্রথমে চিন্তা করলাম আমরা ঢুকতে পারতেছি না তারা কিভাবে ঢুকলো। পরে আবার চিন্তা করে দেখলাম যে না হয়তো তারা সেখানকার লোক।তারা হয়তো সেখানে দেখাশোনা করে। তাই অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করে আবার অটোতে উঠে গেলাম। এরপর আর কোথাও না দাঁড়িয়ে সরাসরি মহেশখালীর ঘাটে এসে পৌঁছালাম। অনেক গরম ছিল তাই আর আসার সময় সেখানে মিষ্টি পান খাওয়া হলো না। না হলে ইচ্ছে ছিল আসার সময় আবারো মিষ্টি পান খেয়ে আসতাম। শত হলেও মহেশখালীর মিষ্টি পান বলে কথা।
যাই হোক আজ এই পর্যন্ত কেউ যদি কক্সবাজার জান অবশ্যই মহেশখালী ঘুরে আসবেন এই কামনা করে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
লোকেশন | - বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1863756553586917800
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
মহেশখালীর স্বর্ণমন্দিরের কথা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার শুনেছিলাম এবং বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়ার মধ্যে ভিডিও দেখেছি। আপনি দেখছি আপনার বন্ধু সহ মহেশখালীর স্বর্ণমন্দির ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন। মন্দির টি দেখতে একদম স্বর্ণের মতোই। বেশ দারুন একটি সময় উপভোগ করেছেন।