রিয়াজ ভাইয়ের বাঁশির সুর তাকে আর ঘরে ফিরতে দিল না। পর্ব-১
আসসালামুআলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
পোষ্টের ভেরিয়েশন ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
রিয়াজ ভাইয়ের বাঁশির সুর তাকে আর ঘরে ফিরতে দিল না। পর্ব-১ |
---|
বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের মাঝে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নতুন একটি গল্প নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। তবে এই গল্পটি আমাদের বাড়ির পাশের ঘটনা এবং আশা করছি পুরো গল্পটি পড়লো হয়তো আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা উপভোগ করবেন।তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্প।
যাকে নিয়ে আজকে গল্পটা শেয়ার করতে যাচ্ছি তার নাম ছিল রিয়াজ। তাকে যদিও কখনো দেখা হয়নি।তবে নাম লোকোমুখি শুনেছি। কারণ এই ঘটনা যখন ঘটে তখন আমার জন্মও হয়নি। তবে গ্রামের মানুষের মুখে শোনা এবং ফ্যামিলির মুখে শোনা। সে হিসেবে গল্পটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
রিয়াজ ভাই সম্পর্কে আমাদের য্যাঠাতো ভাই হয়। আমাদের বাড়ি থেকে তাদের বাড়ির দূরত্ব ২০০ কদম হবে। যদিও তারা সেখানে শূন্য মাঠের মধ্যে নতুন বাড়ি করেছিল। আর সেই বাড়ির আশেপাশে অনেক বড় বড় মাঠ ছিল। তো বন্ধুরা চলুন মূল পর্বে ফেরা যাক।
লোকমুখে শোনা রিয়াজ ভাই নাকি বাঁশি বাজাতে অনেক বেশি পছন্দ করতেন। অনেক গভীর রাতে তিনি রাতের অন্ধকারে মাঠে গিয়ে বাঁশি বাজাতেন। খুব চমৎকার সুর ও তুলতে পারতেন সেই বাঁশিতে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় ও নাকি বাঁশির সুর প্রতিযোগিতায় তিনি অংশগ্রহণ করতেন।
অনেক প্রতিযোগিতায় তিনি উইনার ও হতেন। তার অসংখ্য শিষ্য রয়েছে যাদেরকে তিনি বাঁশি বাজানো শেখান ও সুর শেখান।ধরতে গেলে আমাদের এলাকায় এবং পাশের এলাকা থেকে অনেকেই বাঁশি বাজানো তার কাছ থেকে শিখেছে।
যাই হোক অনেকে ভাববেন বাঁশি বাজানো এটা আবার শেখা লাগে নাকি। আসলে শেখার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আমরা যেভাবে বাঁশি বাজাবো তারা তো আর সেভাবে বাঁশি বাজাবে না। কারণ বাঁশিতে যে ফোড় গুলো রয়েছে সেই ফোড় গুলোকে কন্ট্রোল করে সুর তৈরি করা সহজ কাজ নয়। আর সেরকম সুর তুলতে ওস্তাদ ছিলেন সে রিয়াজ ভাই।
যাই হোক সেদিকে বিস্তারিত যাচ্ছি না তবে এতোটুকুই বলবো তিনি অনেক ভালো বাঁশি বাজাতেন।আর তিনি সব সময় বাঁশি সাথে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতেন। আর তার নাকি বাঁশি বাজানোর সবচেয়ে প্রিয় সময় ছিল রাত্রিবেলা। সবাই যখন গভীর রাতে ঘুম নিয়ে অচেতন কিন্তু সে সময় রিয়াজ ভাইয়ের বাঁশির সুর থাকতো জাগ্রত।
যাই হোক বন্ধুরা গল্পটি আরেকটু বড় তাই পুরো গল্পটি একসাথে লেখার সুযোগ করতে পারিনি। তনে আগামী পর্বে বাকি গল্পটা শেয়ার করব। ধন্যবাদ সবাইকে যারা গল্পটি কষ্ট করে পড়েছেন।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
পোষ্ট | গল্প |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1628690056562225153?s=20
ভাইয়া গল্পটা আরেকটু বড় করলে ভাল হতো। এখন মনের মাঝে একটা টেনশন দিয়ে দিলেন যে রিয়াজ ভাই বাঁশি বাজিয়ে নিজে বিপদে পরেছেন না কি কাউকে বিপদে ফেলেছেন। আশা করি তারাতারি দ্বিতীয় পর্বটা শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আগামী পর্বে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ভাই সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করলাম ভাইয়। প্রথম পর্বটি খুবই ভালো লেগেছে। তবে অনেক জানার আগ্রহ হচ্ছে যে রিয়াজ ভাইয়ের কি হলো এবং তার ঘরে ফেরা কেনো হলোনা বাঁশির জন্য। আশা করছি খুব দ্রুত ২য় পর্ব শেয়ার করবেন।
জি আপু খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরব ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন। গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপনার উপস্থাপনটা বেশ ভালো ছিল। রিয়াদ ভাই এমন মানুষ কেন? আগামীকাল পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।
রিয়াজ ভাই কেমন মানুষ আর সেটি আগামী পর্বে দেখতে পারবে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।