প্রিয় মিষ্টিমুখ- হট চকলেট সিজলিং ব্রাউনি। ভিডিওগ্রাফি
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
কোথায় আছে না উঠল বাই তো কটক যাই। আমার অবস্থাও অনেকটা সেরকমই। শীতকাল এলেই মাথার পোকাগুলো কেমন যেন নড়ে চড়ে বসে। বাকি সারাবছর মোটামুটি ঠিকই থাকে। এই যেমন দেখুন এই কদিন আগেই হুট করে ব্রেকফাস্ট করতে বেরিয়ে গেলাম ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে। গত কয়েকদিন আগে একটু রাত করেই মন হল সিজলিং ব্রাউনি খেতে৷ বাইরে কুয়াশাটাও দিন কয়েক হল জাঁকিয়ে বসেছে। এই সময়টা সকাল সকাল কোথাও বেরোতে পারলে খুবই ভালো লাগে কিন্তু আমার তো সেই ভাবে সপ্তাহের মাঝখানে বেরনোর সুযোগ হয় না, তাই দিন কয়েক আগে যখন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখি কুয়াশায় রাতের আলোগুলো সব আবছা হয়ে গেছে হঠাৎ করে মনে হল বেরিয়ে পড়ি।
শহরের হলুদ আলো গুলো আচ্ছা হয়ে গেলে বড় মায়াবী লাগে। আগে যখন মুম্বাইতে থাকতাম তখনো মাঝেমধ্যে শীতকাল গুলোতে রাত্রিবেলায় বেরিয়ে পড়তাম। পায়ে হেঁটে যতদূর যাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে এটাই সুবিধে। সারারাত পুলিশের টহল থাকে ফলে বিপদের সম্ভাবনা খুব একটা থাকে না বললেই চলে। অন্য শহরগুলোতে কি অবস্থা আমি জানি না তবে মুম্বাই বা গোয়াতেও দেখেছি সেরকম কোন অসুবিধে হতো না। পুণেতেও ভয় নেই৷ রাস্তাঘাটে মোটামুটি লোকজন কমে গেলেও কেউ কারোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ভুলভাল কাজ করে না। তবে বেশি রাত হয়ে গেলে রেস্টুরেন্ট গুলো খোলা থাকেনা। মোটামুটি দশটা এগারোটার দিক করে গেলে পাওয়া যায়।
শীতের রাতে দশটা এগারোটা মানেই অনেক রাত্রি। আমাদের পুরো সোসাইটি ঝিমিয়ে পড়ে। এই যে এখন রাত্রি একটা বেজে ১৪ মিনিট আমি বসে ব্লগ লিখছি আর সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। জেগে আছে কেবলমাত্র আমাদের গেট কিপার যিনি প্রায় ১৫ মিনিট ছাড়া ছাড়া এই বাঁশির হইসেল দিচ্ছেন।
এমন সময় যদি বেরিয়ে পড়তাম! আসলে আমার সাহসটা বরাবরই একটু বেশি। নানান ধরনের অ্যাডভেঞ্চার করতে আমি কখনো ভয় পাই না। তবে হ্যাঁ প্যারাগ্লাইডিং প্যারাসিলিং এই সবেতে আমার প্রচন্ড ভয় আসলে আমার হাইট ফোবিয়া রয়েছে। কিন্তু এই রাত্রিতে বেরুনো বাবারে ছাড়া এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চারাস জীবন যাপন আমার বেশ ভালোই লাগে। যাইহোক সেদিন এরকমই প্রায় সাড়ে দশটা এগারোটা নাগাদ হঠাৎ করেই বাড়ির সবাই মিলে চলে গিয়েছিলাম সিজলিং ব্রাউনি খেতে।
আপনারা জানেন তো সিজলিং ব্রাউনি কি? কাঠের প্লেটের উপর একটি লোহার প্লেট বেশ কিছু সময় ধরে গরম করে রাখা হয়। তারপর এক টুকরো আনারস রেখে, তার উপরে ব্রাউনী অর্থাৎ চকলেট কেক এর একটা বড় পিস রাখা হয় এবং তার মাথায় ভেনিলা আইসক্রিম দেওয়া হয়। অন্য কোন ফ্লেভার এর চাইলে তাও দেওয়া হয় তবে আমাদের যেহেতু চকলেট কেকের সাথে ভ্যানিলা পছন্দ ভ্যানিলা আইস্ক্রিমই নিই৷ সবকিছু দিয়ে উপর থেকে হট চকলেট সস ঢেলে দেয়া হয় বিষ খানিকটা। গরম লোহার প্লেটের উপর চকলেট পড়লেই খুব দ্রুত পড়ে ধোয়া হয়ে যায় এবং অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ ওঠে৷ সেই গরম গরম কেক, চকলেট সস আর ঠান্ডা আইসক্রিম খেতে স্বর্গীয় লাগে। যারা একবার খেয়েছেন তারা ঠিকই জানেন।
চকলেটসস ঢালার পর যেই না ধোঁয়া উঠলো আমি ভাবলাম ছবি তুলি। কিন্তু ছবিতে স্পষ্ট হবে না বলে ভিডিও করলাম। আর সেটা ইনশটে সামান্য এডিট করে ইউটিউবে আপলোড করেছি। ইউটিউবে আপলোড করার সময়ই গানের অপশন ছিল সেখান থেকে একটি গান সিলেক্ট করেছি যা বন্দিয়া ব্যান্ডইট ওয়েব সিরিজের৷
https://youtube.com/shorts/S4yEb0kbX0g?si=n7FHdkHoEkn9Wf1U
সেই ভিডিওই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। কেমন লোভনীয় লাগছে দেখে অবশ্যই জানাবেন৷ আজ তবে আসি? আর আপনাদের কার কেমন ডেসার্ট খেতে ভালো লাগে তা জানাতে ভুলবেন না৷ ভালো থাকবেন সকলে৷
টা টা।
পোস্টের ধরণ | লাইফস্টাইল ব্লগ ভিডিওগ্রাফী |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ইনশট |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1881071173301342328?t=Eskk-1EOjMeYwprEGjhTKQ&s=19
হট চকলেট সিজলিং ব্রাউনির ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলে চকলেট আমার খুব প্রিয়। যদিও এখন তেমন একটা খাওয়া হয় না। আপনার ভিডিওটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এতো সুন্দর একটি ভিডিও আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার আবার চকলেট কেক এবং ভ্যানিলা আইসক্রিম তিনটের কোনটাই পছন্দের না। কিন্তু এই তিনটি আইটেম দিয়ে এই সিজলিং ব্রাউনি আমার ভীষণ পছন্দের। যখনই সুযোগ পাই তখনই খাই।