🍁নমস্কার বন্ধুরা🍁

🙏🙏🙏

---

নীলমের লেখামিতে আপনাদের স্বাগত

---

কেমন আছেন বন্ধুরা, সারাদিন শেষে আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম মান্ডালা আর্ট৷ জানেন তো মান্ডালা কোন সাধারণ আর্ট ফর্ম নয়। এর পেছনের ইতিহাসটা বিরাট৷ আর এই আর্ট ফর্ম বহু পুরনোও। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে এই আর্ট ফর্ম ব্যবহার করা হত ধ্যান করার জন্য। এর ভেতরে যে সমস্ত নক্সা আঁকা হত তা ধ্যানের যন্ত্র ও প্রার্থনার প্রতীক হিসেবে মনে করত চীন জাপান তিব্বত ইত্যাদি জায়গার লোকেরা। আমি কিন্তু খুব বেশি গভীরের ইতিহাস জানি না, আর ওই সঠিক চিহ্ন বা নক্সাগুলোও জানি না৷ আজকাল নানান জায়গায় মান্ডালা আর্ট দেখি। এদিক ওদিক থেকেই শিখেছি কিভাবে আঁকতে হয়৷ সেই বিদ্যেই ফলিয়ে যাই৷ শুরুর দিকে ফ্রী হ্যান্ড আঁকতাম। কিন্তু পরে জেনেছি ফ্রী হ্যান্ড আঁকা যায় না৷ মান্ডালার একটা নির্দিষ্ট জ্যামিতিক ফরম্যাট আছে৷ অর্থাৎ প্রতিটি কলকা সমান হবে৷

এই সব কথা আজ সকাল থেকেই ভাবছিলাম। তারপর দুপুরে এসে মনে হল আমি এখানে সব কিছু নিয়ে পোস্ট দিলেও আমার কোন আর্টের কাজ নিয়ে পোস্ট করি না৷ একবার ভাবলাম পুরনো আঁকা কিছু দেখাই। তারপর ভাবলাম নাহ নতুন কিছু বানাই৷ কিন্তু মান্ডালা কোনভাবেই তাড়াতাড়ি করে আঁকা যায় না৷ বেশ সময় লাগে৷ তাও শুরু করে দিলাম। মাঝে অনেক কাজ ছিল, সেগুলোও করেছি৷ সব মিটিয়ে যখন আমার এই কাজটি শেষ হল তখন রাত দশটা পনের৷ আর সাথে সাথেই চলে এলাম পোস্ট করতে। জানেন বন্ধুরা এই আমার সমস্যা৷ সব কিছুই এতো দেরীতে গিয়ে মাথায় আসে, যে আমার তালগোল পাকিয়ে যায়৷ নয় অনেক দেরী হয়ে যায়৷ দেখুন না আজকের পোস্টটাই লিখতে কত দেরী৷ আচ্ছা আর বকবক করব না, চলুন দেখে নিই কিভাবে বানিয়েছি>

ফটো ১

উপকরণ

ড্রয়িং বুক

পেন্সিল

পেন্সিল কম্পাস

বৃত্তাকার চাঁদা

বল পেন

জলরঙ

স্টেডলার রঙ পেন্সিল

স্কেল

ফটো ২

প্রথমে পেন্সিল কম্পাসের সাহায্যে প্রয়োজন অনুপাতে বেশ কিছু বৃত্ত এঁকে নিয়েছি৷

তারপর বৃত্তাকার চাঁদার সাহায্যে সমান দুরত্বের ব্যবধানে বিন্দু দিয়েছি এবং মাঝ বরাবর স্কেল ব্যবহার করে সরল রেখা এঁকে বিপরীতমুখী বিন্দুগুলো জুড়ে দিয়েছি।

তৃতীয় ধাপে মাঝের দাগগুলো মুছে, পুরো বৃত্ত গুলো পেন্সিলের দাগের ওপর বল পেন দিয়ে এঁকে নিয়েছি৷

এবার ইচ্ছে মতো কলকা এঁকেছি৷ আর মাঝের ফাঁকা জায়গাটাতে সূর্যমুখী ফুলের কথা ভেবে পাপড়ি এঁকেছি।

ফটো ৩

ধাপ পাঁচ থেকে সাত পর্যন্ত ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন আমি ধীরে ধীরে কলকাগুলো এঁকে বৃত্তের জ্যামিতিক ঘরগুলো ভরে দিয়েছি। এবার রঙের খেলা।

ধাপ আটে আমি জল রঙ দিয়ে সূর্যমুখী টা রঙ করতে শুরু করেছি।

ফটো ৪

পুরো সূর্যমুখীটা রঙ করার পর ওপরের ফাঁকা অংশগুলো নীল রঙ দিয়ে ভরে নিয়েছি৷

ফটো ৫

প্রয়োজনীয় ফাঁকা অংশ ভরে নেবার পর এরম দেখতে হল। সামান্য শেডিং-এর কাজের জন্য আমি স্টেডলার পেন্সিল ব্যবহার করেছি৷

কেমন হল বন্ধুরা আজকের আর্ট ফর্ম? আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। অনেকদিন পর পেন্সিল রংতুলি নিয়ে বসেছি শুধু আমার বাংলা ব্লগে লিখব বলে৷ নইলে তো ভুলেই গিয়েছিলাম, আমি আঁকতে পারি। এখন আপনারা অভয় দিলে পরে আবার নতুন কিছু চেষ্টা করব।

আজ এখানেই শেষ করব আমার বকবক। আপনারা খুব ভালো থাকবেন। সৃষ্টিতে থাকবেন বন্ধুরা। শিল্প সৃষ্টির মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই।

ভালো থাকুন বন্ধুরা। আমি এলাম

টাটা

সমস্ত ছবি আমার মোবাইল স্যামসাং গ্যালাক্সি F54 এ তোলা