কলকাতার স্ট্রিট ফুড স্পেশাল এগরোল। আপনাদের জন্য ভিডিওটি রইল।।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
এখন বইমেলায় বসে৷ সদ্যই টেবিলটা সাজিয়েছি। লোকজন কম। তাই ভাবলাম এই সুযোগে ব্লগটা লিখেই ফেলি। আসলে রাত্রিবেলায় ফিরে এত ক্লান্ত হয়ে যাই লিখতে লিখতে ঘুম এসে যায়। কাল তো ব্লগটা লিখে ঘুমের মধ্যে একবার ডিলিটই করে ফেললাম। তারপর দেখলাম ফোনে টাওয়ার নেই। যাইহোক কোনভাবে ডিলিট না হয়ে থেকে গেছে। আজ আবার বুধবার। তাই সকাল সকাল পোস্ট করার পালা। এদিকে শুধু পোস্টটিই করে যাচ্ছি ডিসকর্ড বা কোন কিছুই করে উঠতে পারছি না। আসলে মেলায় বসে কাস্টমারদের সাথে বকবক করব নাকি এইসব করবো কোন দিকে সময় দেবো খুঁজেই পাচ্ছি না। তাও সকালবেলায় হাতে খানিকটা সময় ছিল বলে একটি রান্নার ভিডিও এডিট করলাম। আর সেটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।
জানেন তো কলকাতার বিখ্যাত স্ট্রিট ফুড গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এগ রোল শুধু এগ রোল না চিকেন রোল এক চিকেন রোল ইত্যাদি। ভেজরোলও পাওয়া যায়। আমি যখন পড়াশোনা করার সময় থাকতাম এখানে তখন মাঝেমধ্যেই টাকা বাঁচিয়ে বিকেলে এগরোল খেতে যেতাম। যদিও খুব একটা বেশি দাম ছিল না। বারো টাকায় পাওয়া যেত একটা এগ রোল। আর সেই এগ রোল এতই বড় হতো তা আমরা বন্ধুরা দুজনে মিলে খেতাম। এখন প্রবাসে থাকার কারণে খুব একটা এগ রোল খাওয়া হয় না। যখন খুব লোভ হয় তখন বাড়িতে বানিয়ে নিই।
এখানে আসার আগের দিনই বানিয়েছিলাম তাই রেসিপিটা ভিডিও করে রেখেছিলাম। আসলে মেলার কয়েক দিন তো বাড়িতেও থাকা হয় না, তাই চাইলেই যে ভ্যারাইটি পোস্ট করতে পারবো এমন নয়।
এদিকে আমার গলা অত্যন্ত ধরে গেছে। কাল পর্যন্ত খুব একটা বেশি আওয়াজ বেরোচ্ছিল না, আজ তাই সকাল সকাল ভয়েস দিয়ে ভিডিওটা বানিয়ে নিয়েছি। এখন আবার যেই কে সেই।
আচ্ছা বন্ধুরা, আপনারা কি জানেন কলকাতায় এগ রোল কিভাবে তৈরি হয়েছিল? ব্রিটিশ আমলে যখন অফিসযাত্রিরা অফিস যেত তাদের অনেক বেশি সঠিক সময়ে যেতে হত৷ ফলে সকাল বেলায় নাস্তা করার সময় থাকতো না। দোকান বাজারে রুটি বা লুচি ইত্যাদি অর্ডার করে তরকারি সাথে পেঁয়াজ সমেত সমস্তটা রুটির মধ্যে দিয়ে রোল ওভার করে নিত। আস্তে আস্তে এতে ডিম দেওয়ার প্রচলন হলো মাংস দেওয়ার প্রচলন হল। এভাবেই র্যাপ এবং রোল এই দুটো খাবারের কলকাতার ফুটপাতে৷
বর্তমানে লাচ্ছা পরোটার সাথে এগ রোল বাজে কোন রোল খাওয়ার প্রচলন অনেক বেশি। তাই আমিও লাচ্ছা পরোটাতেই এগ রোল বানিয়েছি।
আসুন দেখে নেই ঠিকই উপকরণ লেগেছে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আটা ও ময়দা | দেড় কাপ করে তিন কাপ |
ডিম | ৪ টে |
শসা | ২ টা |
পেঁয়াজ | দুটো |
কাঁচালঙ্কা | পরিমান মতো |
ট্যম্যাটো সস | পরিমান মতো |
লেবুর রস | পরিমান মতো |
রসুন বাটা | এক চামচ |
তেল | পরিমান মতো |
নুন | পরিমান মতো |
কালো মরিচের গুড়ো | স্বাদ মতো |
গুঁড়ো দুধ | হাল্ফ কাপ |
চলুন দেখে নিই কিভাবে বানালাম।
আমি যেহেতু আজ আপনাদের সাথে ভিডিও শেয়ার করে নেব তাই ভাবে ধাপে কোন ছবি তুলিনি। ফলে রেসিপিটা বলার থেকে ভালো দেখে নিলেই খুব ভালো করে জেনে যাবেন। কারণ এই ধরনের এগ রোলগুলো বলে ঠিক হয় না। তাই চলুন আপনাদের সুবিধার্থে ইউটিউব লিংকটি নিচে দিলাম।
👇👇👇
তো বন্ধুরা আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি। কেমন লাগলো আমার রেসিপিটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের ভালো লাগলেই আমার পরিশ্রম সার্থকভাবে। যদিও আমার বানানো এগ রোল বাড়ির সবাই খুব মজা করেই খায়। এবং এই রেসিপিটার পর থেকে ওরা কেউ বাইরে খেতেই চায় না।
আজ তাহলে আসি?
টাটা
পোস্টের ধরণ | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | আইফোন ১৪ |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, ইনশট |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
https://x.com/neelamsama92551/status/1887072811170066640?t=nng_o4aN-ZnT9cgvX4LQxA&s=19
কলকাতার এগরোল যারাই কলকাতায় যায় তারা খেয়েছে বলে আমার মনে হয়। আমি যখন কলকাতায় গিয়েছিলাম তখন খেয়েছিলাম। যদিও স্বাস্থ্যকর নয়।তবে বাসায় বানানোর কখনও চেস্টা করিনি।আপনার রেসিপি দেখে বানানোর ইচ্ছে হলো। দেখি একদিন বানাবো। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই বানাবেন৷ আমার খাওয়া সুপারটেস্টি স্ট্রিট ফুডের মধ্যে একটা এগরোল। লোভনীয়ও৷ এভাবে লাচ্ছা পরোটার সাথে করলে আরও মজার হয়।
এগ রোলের ভিডিওটা দেখে বেশ ভালো লেগেছে ।খুবই সুন্দর ভাবে আপনি এগ রোল তৈরি করে দেখিয়েছেন আমাদের মাঝে। একদমই ঠিক বলেছেন আসলে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকা হোক না কেন নিজের এলাকার নিজের দেশের খাবার-দাবারের মজাই আলাদা হয়। আমিও মাঝেমধ্যে এরকমই করিনি কিছু প্রিয় জিনিস খেতে মন চাইলে তৈরি করে ফেলি। আর কলকাতায় এ ধরনের রোল বেশ চলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিওতে দেখি। সব মিলিয়ে আপনার পোস্ট এবং এগ রোল তৈরির ভিডিওটি খুব ভালো লেগেছে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অত্যন্ত খুশি হলাম আপু। আমিও চেষ্টা করি অনেক রকম রান্না করার। সব সময় ভিডিও করা হয় না৷ তাও যখন করি তখন আপলোড করি৷ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।