উন্নয়নমূলক || ক্রিয়েটিভ রাইটিং|| নীলমের কলমে...
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কোন এক গ্রীষ্মের পথ চলতি গল্পকথা-মনের কথা।
নিজেকে আস্ত একটা পৃথিবী ঘোষনা করার পর দেখছি সব কিছুই পূর্ব পরিচিত। যে সমস্ত আত্মবিশ্বাস পুড়ে তৈরি হয়েছিল শ্মশানবৈরাগ্য সেগুলোই এখন নৈঃশব্দের বিলম্বিত অন্তরা।
আমরা যারা গান ভালবাসি তাদের কাছে খিদে মেটানোর উপায় গান। যারা জীবন ভালবাসি? এই পর্যালোচনার দীর্ঘ অধ্যায় পর নিজেকে নামিয়ে এনেছি সেই সব জীবনে যেখানে হাত ফসকে বেরিয়ে যায় রাতের ঘুম, চোখের জল। আমরা যারা এখনও চার বেলা পেট ভরে খেতে পাই, বাঁধানো সড়ক দিয়ে হাসতে হাসতে পেরিয়ে যাই দিনান্তের বিনিয়োগ তারা জানি ফেস্টুনে লেখা শ্লোগান আর চটির ফিতে এক ধরনের সুখ ভোগ। পরিচিত শৈশব কৈশোর যৌবন নিজেদের ছড়িয়ে দেয় আকাশে, পাখি উড়ে যায় ভি আকারের লাইন ধরে।
খিদে এক অদ্ভুত বারান্দা। রাজপথে শিক্ষার পায়ে তাল দিয়ে পতাকা উত্তলন করে। আর প্রবল গ্রহণে ভেসে যায় বৃষ্টির ফোঁটা৷ আমরা খবরের কাগজে পড়ে নিই উন্নয়ন সংস্থার দরজি ও তার ঘরকন্না৷ দরজিকে এখনও জিজ্ঞেস করিনি ডাইনিং টেবিলের রানার বানাতে কত মিটার কাপড় লাগবে৷ কিংবা চেয়ার চাপা দিতে। অথচ সেই অনবরত সেলাই করে চলছে মস্ত ঘড়ির ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড।
ছবির মৌসি আম বিক্রেতা৷ আসলে এখন আমের দিন৷ মহারাষ্ট্রের গ্রামে গ্রামে ছোট আম আর ফলসা নিয়ে উঠে আসে রাস্তায়। বাচ্চাদের লেখাপড়া নেই। কাজ শিখে গেলেই বেঁচে নেওয়া যায়। আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম কত করে উনি বললেন পন্নাস। দিদি লেলো। আচ্ছা হোগা৷ সওদা বড় সহজ জিনিস। হাসি বেচো জীবন বাঁচো৷ এখানে উন্নয়ন বলতে দিনের বেশি বিক্রি কিংবা বেশি ফল সংগ্রহ৷ আর সুখ সাজ-কপালের বলিরেখা৷
প্রতিদিন সূর্য ডুবলে এক্সপ্রেস ওয়ে ধরে যখন বানিজ্য ছুটে যায় তখন এই বাদামি চামড়ার মানুষগুলো বাড়ি ফিরে গরম তাওয়ায় তুলে দেয় কাঁচা রুটি। ওরাও হাসে৷ নিজেদের মত। ওদের হাসির লিজ নিয়ে আসে রাতের মহাজাগতিক অন্ধকার।
আমিও সুযোগ বুঝে নিজেকে পৃথিবীর জীবন থেকে নামিয়ে আনি খোলা মাঠে। যেখানে স্তরে স্তরে রাখা আছে গমের আঁটি, আঁখের গন্ধ, ভুট্টার শেষ জীবন। যেখানে শৈশব এসে ফুটবল খেলে৷ যেখানে পৌঢ় মর্নিং ওয়াক করে নিশ্চিন্তের পদক্ষেপে৷
পোস্টের ধরণ | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, ইনশট |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1875598267968549184?t=tZ0u8-itc_SUAi1FD4Xedg&s=19
আপনার কথাগুলো খুব মনোযোগ সহকারে পড়লাম আপু। যদিও আমি খুব একটা সাহিত্যিক ভাষা বুঝিনা তবুও চেষ্টা করেছি বোঝার আপনি গ্রাম বাংলা সহজ সরল দিনমজুরের জীবন কথা নিয়ে কিছু একটা বুঝিয়েছেন। যাই হোক কথাগুলো আমার ভালো লেগেছে।
একেবারে সঠিক বুঝেছেন আপু। দিনমজুরের কথাই লিখেছ। যেকোন ক্রিয়েটিভ রাইটিং একটু মনোযোগ দিয়েই পড়তে হয়।
আপনি কিন্তু বেশ কিছু লেখা উপজহার দিলেন। আসলে জেনারেল রাইটিং গুলো আমার কাছে পড়তে দারুন লাগে। আজও বেশ সুন্দর করে নিজের লেখা গুলো আামাদের মাঝে শেয়ার করেছেণ। এমন সুন্দর কিছু লেখা শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরণা দিল আপু। ভালো থাকবেন৷ জেনারেল রাইটিং পড়ার পাঠক সংখ্যা এমনিই কম থাকে। তাই এক দুজন পড়লেই মন ভরে যায়।