শীতকালে বেড়েছে চোরের উৎপাত।
শুভ রাত্রি 🌃
আজ ২৫ ই ডিসেম্বর,
বৃহস্পতিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
শীতকাল আসলে বেড়ে যায় চোরের উৎপাত। শীতকালে অতিরিক্ত কুয়াশা পড়ার কারণে রাতের অন্ধকারে কোন কিছু দেখা যায় না। কুয়াশা ছাড়া এমনিতে রাতের অন্ধকারে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে। শীত মৌসুমে বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পড়ে। বিশেষ করে সকালে এবং রাতে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট ফসলি জমি কোন কিছুই ভালোভাবে দেখা যায় না। শীতকালে মানুষ সন্ধ্যার পর বাসার ভিতরে প্রবেশ করে এবং রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সে সুবিধার্থে একদল চোর বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চুরি করে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে। বিশেষ করে গ্রামের দিকে চোরেদের উৎপাত বেশি দেখা যায়। গভীর রাতে যখন ঘন কুয়াশা পড়ে তখন বিভিন্ন খামারে চুরি হয়। রাস্তায় ট্রাক ধার করিয়ে বাসা বাড়ি এবং খামার থেকে গরু চুরি করে নিয়ে চলে যায়। এসব ঘটনা পত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায়।
শীতকালে ধান কাটার পর ফসলের মাঠ পরিষ্কার থাকে। সেই সুবিধার্থে মানুষের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে চলে যাচ্ছে। দেশ আধুনিক হওয়ার কারণে চুরি করার জন্য বিভিন্ন খারাপ কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। দরজায় বিভিন্ন তালা নিমিষেই কেটে ফেলা হচ্ছে। কোথাও তেমন শব্দ নেই। মানুষ গভীর ভাবে ঘুমিয়ে আছে এই সুবিধার জন্য চোর সব কিছু চুরি করে নিয়ে চলে যায়। তাই গ্রামের খাবারি ও ব্যবসায়ীরা সবচাইতে বড় বিপদের মুখে আছে। কেননা এই সকল লোকজনকে দেখে বুঝে টার্গেট করে চুরি করতে আসে। এবং চোর বাইরের কেউ নয়। তারা আগে থেকে টার্গেট করে আসে, কোথায় কি আছে তারা আগে থেকে জানতে পারে। তাই সবাই সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন।
আমি অফিসে থেকে বাসায় এসে রাতের খাবার খাওয়ার পর ব্লগিং এর কাজ শেষ করে ঘুমাতে অনেক দেরি হয়। রাত একটা থেকে দুইটা বেজে যায়। গতকাল রাতে আমার শরীর খুব ক্লান্ত ছিল। তাই কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি খোঁজ পাইনি। হঠাৎ করে মানুষের চেচামেছির আওয়াজ শুনতে পাই। সবার মুখে চোর চোর শব্দ শুনি। ঘুম থেকে উঠে বাইরে চলে আসি। শুনতে পাই পাশের বাসায় কাকির গরু চুরি করে নিয়েছে। তার একটি খামারে পাঁচটি গরু ছিল। সেখান থেকে একটি গরু চুরি করে নিয়ে চলে যায়। রাতের আঁধারে ঘন কুয়াশার কারণে কোন কিছুই দেখা যায়নি। সবাই চোরকে ধরার আগে চোর গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তার খামারে খুবই শক্তিশালী গেইট লাগানো ছিল এবং বড় বড় তালা লাগানো হয়েছিল। এর মধ্যে দিয়ে কিভাবে কি হয়ে গেল কেউ বুঝতে পারেনি। সবাই বলছে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সবকিছু কাটা হয়েছে। সন্দেহজনক ভাবে সকালে উঠে জানা যায় চোর এলাকার কেউ হবে।
তাই সন্দেহ করে কয়েক জনের নামে মামলা করা হয়। এই হলো দেশের বর্তমান অবস্থা। আমরা কখনো সম্ভ হতে পারিনি। গ্রামের যেমন চোরের উৎপাত বেড়েছে, শহরে তেমন বেড়েছে ছিনতাই। বিভিন্ন জায়গায় চার পাঁচ জন লোক রাস্তা বাধা দিয়ে টাকা পয়সা ও মোবাইল ছিনতাই করে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন যানবাহনে পকেট থেকে ওয়ালেট নিয়ে চলে যাচ্ছে। এই ধরনের সকল সমস্যা আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। বিশেষ করে শীতকালে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে চুরি এবং ডাকাতি বেড়ে চলছে। আধুনিকতার অপব্যবহার এবং সাধারণ মানুষের অসাবধানতার জন্য বড় বড় দুর্ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। তাই সকলেই যে অবস্থায় আছেন সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই সবকিছু চেক করে তারপর ঘুমাতে যাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন, ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | শীতকালে বেড়েছে চোরের উৎপাত। |
লোকেশন | ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
X-Promotion
হ্যাঁ ভাই শীত আসলে চুরি বেশি হয়। আসলে শীতকালে মানুষ জলদি ঘুমিয়ে পড়ে শীতের কারণে। সত্যি আপনার কাকির একটি গরু নিয়ে গেল শুনে খারাপ লাগলো চোরে। কিছুদিন আগে রাত্রেবেলা আমাদের এইখান থেকেও এক লোকের তিনটি গরু নিয়ে গেল চোরে। আর এই চোর গুলো ধরা খাই না।
শীত মৌসুমে গরু চোরের সংখ্যা বেড়ে যায়। তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চুরি করে। তাই তাদেরকে সহজে ধরা যায় না। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
জী ভাই ঠিক বলেছেন, এখন শীতকাল কালে মানুষ আরাম করে ঘুমায়। আর সেই সুযোগে চুরের উৎপাত বেড়ে গেছে। তাই সাবধান থাকতে হবে। জনসচেতনামূলক পোস্ট ছিল। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।