মহারাজ প্রতাপাদিত্যের ধ্বংসাবশেষ রাজবাড়ী ভ্রমণ
হ্যালো বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। অনেকদিন ভ্রমণ করা হয়না তাই আমরা তিনভাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই যে শ্যামনগর ভ্রমণ করবো। কারন শ্যামনগরে অনেক ঘোরার জায়গা রয়েছে। আমরা প্রথমে মহারাজ প্রতাপাদিত্য রায়ের রাজবাড়ী ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা যারা বারোভুঁইয়ার নাম শুনেছি তারা ভালো করেই জানি বারোভুঁইয়ার এক ভুঁইয়ার শাসক ছিলেন মহারাজ প্রতাপাদিত্য। তিনি মোগল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে এক স্বাধীন রাজ্যের নৃপতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি বাংলার বারোভুঁইয়ার অন্যতম প্রতাপশালী শাসক ছিলেন। তার রাজ্য উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে শুরু করে, বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, যশোর ও নড়াইল ও সন্দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
আমরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলাম। বিশাল জায়গা নিজে রাজার রাজবাড়ী। কিন্তু যত্নের অভাবে ধ্বংসপ্রায় অবস্থা।
এখানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে লোকজন ঘুরতে আসে। টুরিস্টদের জন্য কিছু কারুকাজ ও বসার ব্যবস্হা করা হয়েছে। এইভাবেই যদি থাকে তাহলে কিছু বছর গেলে আর রাজবাড়ীর অস্তিত্ব থাকবেনা। এই রাজবাড়ী শ্যামনগর উপজেলায় অবস্হিত। তবে আমাদের ভ্রমণের শুরুটা অনেক ভালো ছিলো। রাজবাড়ী দিয়েই আমাদের ভ্রমণ শুরু হয় ও দিনটা আমাদের খুবই ভালো কাটে।
আমার জীবনে রাজবাড়ী ভ্রমণের একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি। আপনারা যারা বাংলাদেশে আছেন সময় নিয়ে শ্যামনগর উপজেলাটা ঘুরে দেখতে পারেন। কারণ উপজেলার দিক থেকে হিসেব করলে এই উপজেলায় সবথেকে বেশি সুন্দর সুন্দর ঘোরার জায়গা রয়েছে। আমি এই উপজেলায় আরো যেসমস্ত সুন্দর জায়গাগুলোতে ঘুরেছি সেগুলো আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করবো। আর এটি আমার বাংলা ব্লগে ভেরিফাই পোষ্টের পর করা প্রথম পোষ্ট। আশা করছি আমার এই রাজবাড়ী ভ্রমণের ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আশা করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে আবারো কোন একটি নুতুন ব্লগে।
তারিখ : 13 জুলাই ২০২২
স্থান : শ্যামনগর, বাংলাদেশ
ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi ও Nikon
ক্যামেরা মডেল : K20 Pro ও D5300
মহারাজ প্রতাপাদিত্যের এর রাজবাড়ি ভ্রমণ করে আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি সেই সাথে সুন্দর ইতিহাস তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।। আসলে মাঝে মাঝে এরকম ঐতিহ্যবাহী জায়গা ভ্রমণ করলে যেমন জ্ঞান বৃদ্ধি পায় তেমন পুরাতন স্থাপনা গুলো দেখার সুযোগ হয়।
শ্যামনগর উপজেলার কথা বলেছেন কিন্তু এটি কোন জেলার অন্তর্গত সেটা উল্লেখ করলে ভালো হতো কমেন্টে জানিয়েন সেটা।
এটি সাতক্ষীরা জেলার আয়োতায় পড়ে।