লাইফস্টাইল:- আমি আর সোনিয়া কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত।
ABB 30 জুন ২০২৪ রবিবার
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আসলে আপনারা সবাই ইতিমধ্যে জানেন আমি কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে অনেক পছন্দ করি। যার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যায় শুধু কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য।
অনেকদিন যাবত কোথাও খাওয়া-দাওয়া করতে যাওয়ার সময় পাচ্ছিলাম না। বিভিন্ন ধরনের কাজ ব্যস্ততা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। যার কারণে কোথাও যেতে সময় পাচ্ছি না। কিন্তু দীর্ঘদিন কি আর থাকা যায়। তাইতো চলে গেলাম কাচ্চি ডাইনে। যেন সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়ে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই আপনারা সবাই জানেন আমি ভ্রমণ প্রিয় এবং ভজন প্রিয় মানুষ। ভ্রমণ করতে আর ভজন করতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।
তাইতো সব সময় ছুটে যাই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে এবং খেতে । বিশেষ করে ফেনী জেলার মধ্যে যদি বিশেষ কোনো রেস্টুরেন্ট হয় তাহলে সেটি উদ্বোধন করাই লাগে। এ রেস্টুরেন্টে অনেকদিন হয়ে গেল। দুই একবার খেয়েছি সব সময় যাওয়ার সময় পাইনা। তাইতো সোনিয়ার সাথে কথা বলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
দুজন মজা করে খেয়ে আসতে পারি। মাঝে মাঝে খেতে যাওয়ার খুব ইচ্ছে জাগে কিন্তু পকেটে থাকে না টাকা। যার কারণে আর যাওয়া হয় না। কিন্তু মাঝে মাঝে মন খারাপ হলে তখন সঙ্গে সঙ্গে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। আবার মন ভাল থাকলেও চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তাইতো সোনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে কাচ্চি ডাইনে চলে গেলাম খাওয়ার জন্য।
আমি যেমন খেতে এবং ঘুরতে ভালোবাসি তেমনি সোনিয়াও ধীরে ধীরে ঘুরতে এবং খেতে ভালোবাসে। আর পৃথিবীতে এই দুইটা জিনিস কখনোই বেইমানি করে না। ঘুরাঘুরি করলে মন মানসিকতা ফ্রেশ থাকে। তেমনি খাওয়া দাওয়া করলে শরীর ঠিক থাকে। আর ভালো খাওয়া দাওয়া মন ফ্রেশ করে আমার। যাওয়ার পর দেখলাম সেখানে প্রচুর মানুষ। বসার জায়গা নাই।
একটু পরেই দেখলাম একটি টেবিল খাওয়া দাওয়া শেষ পর্যায়ে। একজন ওয়েটারকে বললাম এখানে আমরা বসবো অন্য লোককে বসাইয়েন না। ওয়েটার বলল ঠিক আছে। ১০ মিনিট পরে আমরা টেবিল পেলাম। এবং বসার আগে খাবার অর্ডার করে দিলাম। যারা তাড়াতাড়ি খেয়ে আসতে পারে। আর বসার সঙ্গে সঙ্গে টেবিলের খাবার চলে আসলো। অর্থাৎ কাচ্চি ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানি। প্রথমত মনে করেছিলাম আম অনেক বেশি। সাধারণত কাঁচি ৩০০ টাকা করে বিক্রি করে থাকে
আমরা খাওয়া দাওয়া করার পর যখন বিল দিতে গেলাম বললো ৪২০ টাকা। আমি আর সোনিয়া অবাক হলাম। মনে করেছিলাম ওদের কথাও ভুল হয়েছে। কারণ সব সময় খাই ৩০০ টাকা করে দুইজন ৬০০ টাকা। হঠাৎ করে দুজনের খাওয়া ৪২০ টাকা কিভাবে হয়। পরবর্তী দেখলাম সবার থেকেই টাকা কম নিচ্ছে।
অর্থাৎ ডিসকাউন্ট ছিল তা আমাদের জানা ছিল না। মনে মনে আমরা তো অনেক খুশি হয়ে গেলাম 😂😂 । ভালোভাবে খেতে পেরেছি। আসলে ভীষণ ভালো লাগে যখন ভালো কিছু খাই। এ ধরনের খাবার সব সময় খেলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বিরানির মধ্যে প্রচুর তেল ইউজ করা হয়। যার কারণে এত বেশি খাওয়া যায় না। না হয় আমি সপ্তাহে কয়েকবার খেতাম। যার কারণে বিভিন্ন সময় কোন কিছুকে উদ্দেশ্য করে খাওয়া হয়। আমার ভীষণ ভালো লাগে। আশা করে আজকের এই কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্তটা আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | Lifestyle |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/NARocky4/status/1807599469606912357?t=1EbDPmBKk0TWYSJ21p75aw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লোভনীয় খাবার। আমি শুনেচ্ছি বাংলাদেশের কাচ্চিবিরিয়ানি খুব স্বাদের হয়। কখনো গেলে অবশ্যই খাবো। তবে রেসিপি দেখে আমার দাদা আমায় বেশ কয়েকবার খাইয়েছে। ভালোই লেগেছে৷
খেতে ঘুরতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। এই সামান্য জীবনে আর আছে টা কি? আমিও খুব ঘুরে বেড়াই। আর নানান জায়গার নানান জিনিস খাই। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল। আরও অনেক অনেক আনন্দ করুন।
আসলেই কাচ্চি বিরিয়ানি টা অনেক বেশি স্বাদের ছিল। এই সামান্য জীবনে কখন কি হবে কিছুই জানা নেই। তাই বেশি বেশি ঘুরাঘুরি করার চেষ্টা করি।
৬০০ টাকার কাচ্চি ৪২০ টাকা। তাহলে তিনজন খেলে তো আরও কম পড়তো। যাই হোক ক দিন আগে সোনিয়া আপুর পোস্টেও দেখেছি আপনাদের কাচ্চি ডাইন উদ্ভোধন করার অনুভূতি। আসলে প্রিয় মানুষটি যদি পাশে থাকে তাহলে মনে হয় সারা বিশ্বটাকেই ভালো লাগে। আশা করি এরপর যাওয়ার আগে আমাকে সাথে নিবেন। ভালো কাটুক জীবনের প্রতিটি দিন।
সোনিয়াও শেয়ার করেছিল অনুভূতিটা। আসলেই প্রিয় মানুষ পাশে থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে।
ডিসকাউন্ট পেয়ে তো দেখছি ভালোই হয়েছে ভাইয়া। তবে মাঝে মাঝে যদি বাহিরে খেতে যাওয়া হয় তাহলে অনেক ভালো লাগে। আপুকে নিয়ে বাহিরে খেতে গিয়েছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ডিসকাউন্ট পাওয়াতে অনেক বেশি ভালো হয়েছে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এমন ভালো খাবার খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। তবে এই খাবার গুলো খেতে পকেটে টাকা থাকতে হয়। আপনি আর সোনিয়া আপু মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই খাবার খেতে সবাই পছন্দ করে। তবে কেউ পারেনা শুধু টাকার জন্য খেতে। আবার এরকম অনেকে রয়েছে যারা টাকা থাকা সত্ত্বেও খাবার খায় না টাকা বাঁচানোর জন্য।
কাচ্চি ডাইনের একটা পোস্ট সম্ভবত অনেক আগেও আপনি করেছিলেন। ডেকোরেশনটা খুবই সুন্দর। কাচ্চি বিরিয়ানি আমারও খুবই ভালো লাগে খেতে। দুজনে মিলে খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন সেই সাথে ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন। এরকম ডিসকাউন্ট পেলে আসলেই ভালো লাগে। মোটামুটি ভালই ডিসকাউন্ট পেয়েছেন আপনারা। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ দুজনে মিলে অনেক ভালো খাওয়া দাওয়া করেছিলাম আপু। পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কি খাবার খেলেন আমাদের সাথে শেয়ার করলেন লোভ লাগাই দিলেন ভাইয়া। এমনিতে বেশ কিছুদিন ধরে কোথাও যাচ্ছি না খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু আপনাদের খাওয়া দাওয়া এবং কাটানো মুহূর্ত দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করতেছে। মাঝেমধ্যে আমরা কাজের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য বাইরে ঘুরে আসতে পারি। এছাড়াও বাইর থেকে খাওয়া-দাওয়া করে আসলে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর একটি মুহূর্তটি পড়ে।
খেতে ইচ্ছে করলে খুব তাড়াতাড়ি কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে ফেলুন। তাহলে মনটাও অনেক ফ্রেশ হবে। আর ভালো লাগবে।
কাচ্চি ডাইনের কাচ্চি খেতে বেশ ভালোই লাগে। ভাই আপনারা তো দেখছি ভালোই ডিসকাউন্ট পেলেন। মাত্র ৪২০ টাকায় এতো মজাদার কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে ফেললেন আপনারা দু'জনে। আমিও আজকে দুপুরে কাচ্চি বিরিয়ানি খেলাম,তবে গুলিস্তানের রাজধানী হোটেল থেকে। কিন্তু স্বাদ মোটামুটি লাগলেও, দাম কিন্তু ২৮০ টাকা নিয়েছে প্রতি প্লেটের। যাইহোক এই ধরনের খাবার মাঝেমধ্যে খেলে ঠিক আছে, কিন্তু বেশি খেলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিসকাউন্ট পাওয়াতে অনেক টাকা কম হয়েছে। ঠিক বলেছেন ২৮০ টাকা নিয়েছে।