ভ্রমণ : লালনের মিউজিয়ামে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত ( পর্ব ২)
Abb 26 জানুয়ারি 2025 ✅
আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
গত পর্বে আমি দেখেছি লালনের মিউজিয়াম। সেখানে অনেকগুলো জিনিসপত্র দেখিয়েছিলাম। অর্থাৎ লালনের ব্যবহারের অনেক আসবাবপত্র আপনাদের মাঝে দেখিয়েছিলাম। সেগুলো দেখে আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আজ আবার আরো কিছু আসবাবপত্র নিয়ে হাজির হলাম। আজকেও আরো কিছু জিনিসপত্র দেখাবো আপনাদের মাঝে।
প্রথমত লালনের ব্যবহার করা একটি একতারা। মিউজিয়ামের মধ্যে দীর্ঘ বছর যাবত এটি রেখেছেন। খুবই যত্ন করেই এই আসবাবপত্র গুলো দেখেছেন। বিশেষ করে একটা রাতে অনেক পুরনো এবং দেখতে খুবই সুন্দর। গ্লাসের মধ্যেই রেখেছিল প্রত্যেকটি জিনিসপত্র। এরপর আরো তিনটি একতারা একসাথে রয়েছে। সত্যি বলতে একতারা দেখতে আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। এরপর দেখলাম অনেক বড় একটি একটানা। দেখে মনে হচ্ছে এটির সাউন্ড অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
এরপর দেখলাম একটি ওয়ালমেট। লালনের অসুস্থ অবস্থায় নদী থেকে তাকে গ্রামের সবাই এনেছিল। এবং যত্ন নিচ্ছিল। সেই মুহূর্তটাকে আর্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। এই ধরনের আর্ট গুলো দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমি যখনই এটি দেখেছি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। তখন এই ফটোগ্রাফিটি করেছি।
এরপর দেখলাম লালন একটি একতারা নিয়ে গান গাইতে গাইতে যাচ্ছিল। নদীর পাড় দিয়ে যাওয়ার কারণে পেইন্টিংটি দেখতে খুবই চমৎকার দেখাচ্ছিল। এ ধরনের পেইন্টিং দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ আমি নিজেও পেইন্টিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি।
লালনের মিউজিয়ামের আরো একটি নাম না জানা আসবাবপত্রের ফটোগ্রাফি করেছি। আসলে এটি খুবই পরিচিত কিন্তু এর নামটা আমার জানা নেই। গুগলে সার্চ দিয়েও দেখেছিলাম সেখানেও আছে লালনের মিউজিয়াম। আপনাদের মধ্যে কারো যদি জানা থাকে তাহলে অবশ্যই বলবেন।
এরপর দেখলাম খুব সুন্দর একটি ছবি। দেখেই বুঝা যাচ্ছে এটি অনেক বেশি পুরনো। এছাড়াও হাতের বালা। হাতের বালাটা লালনের ব্যবহার করেছে এটা দেখে অবাক হলাম। অনেক পুরনো প্রাচীন যুগের আসবাবপত্র মনে হচ্ছে। এ ধরনের জিনিস পত্র গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে।
এরপর দেখলাম লালন অনেকগুলো মানুষকে তার শিক্ষা দিচ্ছিল। এ ধরনের একটি পেইন্টিং। ইচ্ছে করেছিল এ ধরনের পেইন্টিং গুলো নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু সেগুলো মিউজিয়ামের মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়টা আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছিল। আমি আশাকরি আজকের এই মিউজিয়ামের আসবাবপত্রগুলো আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/NARocky4/status/1883709826871746619?t=aGx2NVFWRWH0QLENAf5iTQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভ্রমন করতে গিয়ে লালন শাহ এর মিউজিয়ামের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর আসবাবপত্রের ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বাবু ছোট হওয়ার কারণে সেই দিন আমি আপনাদের সাথে যেতে পারিনি তবে আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এগুলো দেখতে পেয়ে সত্যি অনেক ভালো লাগছে। আপনারা ভ্রমন করতে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
মিউজিয়াম এর মধ্যে থাকা আসবাবপত্র গুলোর ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভালো লেগেছে।
মিউজিয়ামে ঘুরতে যাওয়ার পরবর্তী পর্বটা তুমি অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করে নিয়েছো। আমার কাছে প্রথম পর্বের মতো এই পর্ব টাও খুব ভালো লেগেছে দেখে। ওখান থেকে তুমি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছ। যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে।
ঘুরাঘুরি করার সময় কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
এটা কুষ্টিয়া তে অবস্থিত লালন শাহ এর মাজারের পাশেই। আমি গিয়েছিলাম একবার দশ টাকা টিকিট কেটে। মোটামুটি লালনের ব্যবহার করা কয়েকটা জিনিস । এবং ছবির মাধ্যমে লালনের জীবনের পুরোটা দারুণ ভাবে উপস্থাপন করা। সুন্দর ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আপনাকে।
মিউজিয়ামের মধ্যে সবকিছু দেখতে আমার অনেক ভালো লেগেছিল।
অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। লালনের মিউজিয়াম ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে,লালনের মিউজিয়ামের বিভিন্ন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং বিভিন্ন জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার। যাহোক লালনের মিউজিয়াম ভ্রমণের তৃতীয় পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার কাছে দ্বিতীয় পর্ব টা ভালো লেগেছে দেখে ভালো লাগলো।