ভ্রমণ : লালনের মিউজিয়াম দেখতে যাওয়ার মুহূর্ত।
Abb 19 জানুয়ারি 2025
আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
আমি কয়েকদিন আগেই কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম ঘোরার জন্য। সেখানে লালনের মাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মাজারের পাশেই একটি মিউজিয়াম রয়েছে। সেখানে লালনের ব্যবহার করা অনেক আসবাবপত্র রয়েছে। বিশেষ করে একটি কাঠের দরজা। যা দীর্ঘদিন রয়েছে লালনের মিউজিয়ামের মধ্যে। এরপর লালনের একটি ছবি দেখলাম অনেক বৃদ্ধ বয়সের।
এরপর দেখলাম কাঠের একটি লালনের মূর্তি। যেখানে একতারা হাতে দাঁড়িয়ে আছে। এই মূর্তিটাও দেখতে অনেক বেশি সুন্দর। প্রথমে দেখেই আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। এরপর হাত দিয়ে একটু ধরে দেখলাম। যা আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে।
এরপর দেখলাম অনেক বড় একটি পাতিল। সেখানে বিভিন্ন মানুষ টাকা ফেলে যাচ্ছে। পাতিলটি মনে হয় দীর্ঘদিন পুরনো। মিউজিয়ামের মধ্যে অনেক যত্ন করে রেখেছে সবাই। এ বিষয়টাও আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
এরপর দেখলাম অনেকগুলো আঁকা ছবি। এটি মূলত লালনের গল্পটাকে তুলে ধরেছে। লালনের এই গল্পটি আমরা সবাই জানি। যে লালনের একটি অনেক খারাপ শারীরিক রোগ হয়েছিল। গায়ের মধ্যে খারাপ রোগ হওয়ার কারণে নদীতে কলা গাছের নৌকার মধ্যে ভাসিয়ে দিয়েছে। মানুষ তার দিকে তাকিয়ে আছে।
এরপর কিছু মানুষ তাকে কলা গাছের নৌকায় করে নিয়ে যাচ্ছে। এধরনের একই ছবি ব্যবহার করেছে। এই ছবিটাও আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরপর গ্রামের কিছু মানুষ তাকে সেবা করতেছে। এবং সেবা করে তাকে সুস্থ করে তোলে। এ ধরনের একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
এরপর দেখলাম লালনের ব্যবহার করা জলচৌকি। আসলে গ্রামবাংলায় একটা সময় এটি অনেক বেশি ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে কিন্তু একদমই দেখা যায় না। এ বিষয়টা আমার কাছে খুবই অবাক লেগেছে। এত পুরনো একটি আসবাবপত্র কিভাবে রেখেছেন।
এরপর দেখলাম অনেক পুরানো কিছু আসবাবপত্র। সম্ভবত এগুলো লালন ব্যবহার করেছেন। তার ব্যবহার করা কিছু জিনিসপত্র কাচের গ্লাসের মধ্যে রেখেছে। এটি দেখেও আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে এত পুরনো জিনিসপত্র ধরে রাখা মানুষকে দেখানোর জন্য এটি খুবই অবাক করা। মিউজিয়ামের মধ্যে অনেক পুরনো জিনিসপত্র দেখা যায়।
এরপর আরো কিছু আর পত্র দেখলাম। এই আসবাবপত্রগুলো কিসের তৈরি আমি কিন্তু দেখে বুঝতেছিনা। কিন্তু মনে হচ্ছে যেন অনেক দামী দামী আসবাবপত্র। আসলে বিভিন্ন জাদুঘর বা মিউজিয়ামের মধ্যে এ ধরনের জিনিসপত্র গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকের এই পর্বে আমি আপনাদের কিছু লালনের ব্যবহার করা মিউজিয়ামের সাথে দেখেছি। পরবর্তী পর্বে আরো সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখাবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/NARocky4/status/1882030365784809818?t=R5HOQk-YKd066FsTU1bpaw&s=19
আপনারা ভ্রমণে যেয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করলেন। এই ধরনের জায়গা গুলো সত্যি দেখার মত এবং অনেক কিছু শেখার রয়েছে সেখান থেকে। লালনের মিউজিয়াম দেখতে গেলেন আপনারা। সত্যিই দেখার সুযোগ হয় কিনা জানিনা কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখেই অনেক বেশি খুশি হয়েছি। সেই ফটোগ্রাফি গুলো এবং সুন্দর বর্ণনা সবকিছু মিলিয়ে দারুণ লেগেছে।
ভ্রমণের এই সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
কুষ্টিয়ায় লালন মিউজিয়ামে যাওয়া হয়নি তবে আপনি যত সুন্দর করে সব গুছিয়ে প্রকাশ করেছেন তার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। পরবর্তীতে যখন যায় তখন আপনার এই পোস্টটি আমার মনে পড়বে। এত পুরনো আসবাবপত্রগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আমরাও দেখার সুযোগ পেলাম।
এক সময় লালনের আখড়াতে বেশ যাশাহত। যখন কুষ্টিয়া থেকে লেখাপড়া করতাম তখন আমি অনেকবার ঘুরতে গেছি বান্ধবীদের সাথে করে। আপনার পোস্টে দেখে মনে পড়লো সেই সুন্দর সুন্দর দিনগুলোর কথা।
লালনের এই মিউজিয়াম টা আসলেই অনেক পুরাতন এবং সুন্দর সুন্দর জিনিস দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটা খুবই সুন্দর ভাবে ভ্রমণ করেছিলাম এবং সেখান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখার মত সুযোগ পেয়েছিলাম।
লালন সার মিউজিয়ামটা অনেক সুন্দর করে সাজানো। সেখানে সব সময় অনেক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তরা এসে তাদের গান বাজনা করে থাকেন। বেশ সুন্দর একটি জায়গায় গিয়েছেন এবং সেখান থেকে মিউজিয়ামের চিত্রগুলো তুলে ধরেছেন।