লাইফ স্টাইল :- কেজির মাপে পেঁয়াজু / বড়া খাওয়ার মুহূর্ত।
ABB 4 জানুয়ারি 2025 ✅
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। মাঝে মাঝে আমার জীবনে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটে। সেই মুহূর্তগুলো যখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি তখন আরো বেশি ভালো লাগে। আজকের নতুন একটি লাইফ স্টাইল নিয়ে হাজির হলাম। আমি আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক
টাইটেলে নাম দেখেই অবাক হচ্ছেন না। হ্যাঁ অবাক হওয়ারই কথা। এর আগে এমন কথা আমি আর কখনোই শুনি নাই। আমাদের এলাকায় একটা পেঁয়াজু 5 টাকা করে বিক্রি করে। এবং ছোটবেলা থেকে আমরা এভাবে খেয়ে আসতেছি। একটা দুইটা করে আমরা সবসময় খাই। বিশেষ করে যখন রমজান মাস আসে তখন দাম মাঝে মাঝে অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু কেজির মাপে বিক্রি হয় , এটি আমার জীবনে আর কখনো শুনি নাই।
কেজির মাপে পেঁয়াজু খেয়েছিলাম মেহেরপুর জেলায়। আমরা যখন মেহেরপুর জেলায় যাই তখন হঠাৎ করেই একদিন কিবরিয়া ভাই বলল চলেন পেঁয়াজু খেয়ে আসি। এমনিতেই আমার পেঁয়াজু খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সত্যি বলতে শুধু আমার নয় যে কোন মানুষেরই বাজা পোড়া খেতে ভালো লাগে। তার মধ্যে পেঁয়াজু অন্যতম। বিভিন্ন দোকানে যখন পেঁয়াজু বিক্রি করে, সবাই অনেক ভালোভাবে খায়।
আমরা কয়েকজন ভাই একসাথে হয়ে পেঁয়াজু খাওয়ার উদ্দেশ্যে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হলাম। যখন যাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই কিবরিয়াকে দেখে নাসিয়া কান্না করতে শুরু করল। বলল সেও যাবে। যে কথা সে কাজ। তাকেও নিয়ে গেলাম আমরা। কিন্তু পথ ছিল অনেক দূরে। মোটরসাইকেল থাকলেও একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। যাওয়ার পর কিবরিয়া ভাই আমাদের একটি টেবিল ঠিক করে দিয়ে, তিনি অর্ডার করে দিলেন।
দোকানের বাহিরে আমরা টেবিলে বসে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতেছিলাম। সেখানে এত বেশি মানুষ ছিল অর্ডার দিলেও পেঁয়াজু আসতে একটু দেরি হয়ে যায়। আমরা আধা কেজি পেঁয়াজু কিনেছিলাম। এমনিতেই আমি বর্তমানে তেলের খাবার খাই না বললেই চলে। কিন্তু মাঝে মাঝে লোভ সামলানো কঠিন হয়ে যায়। এত বেশি সুস্বাদু ছিল পেঁয়াজু গুলো না খেলে বিশ্বাস করা যাবে না।
পেঁয়াজু গুলোর কথা মনে হলে ইচ্ছে করে এখনো চলে যাই। এত বেশি সুস্বাদু ছিল যা বলে বোঝানো যাবে না। আমি প্রথমে দেখে মনে করেছিলাম এতগুলো একসাথে কি খেতে পারব আমরা। পরে দেখি অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ। মনে হয়েছে আমরা আরও কয়েক কেজি খেতে পারব। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে পেট খারাপ করার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা অতিরিক্ত পেলাম না।
নাশিয়া ও অনেক মজা করে খেয়েছিল। যাওয়ার সময় মায়ের জন্য একটু কান্না করলেও খাওয়ার সময় সুন্দরভাবে খেয়েছিল। কিন্তু বেশি নয় হয়তো দুই একটা। এরপর আমরা উরাধুরা খেতে শুরু করলাম। সবাই একসাথে ছবি তুলে নিলাম। এবং আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। খাওয়ার সময় সবারই অনেক বেশি তৃপ্তি লেগেছিল।
পরে শুনলাম কিবরিয়া ভাই সপ্তাহে অনেকদিন যায় শুধু পেঁয়াজু হওয়ার জন্য। এখনো মাঝে মাঝে শুনলে আমার খুব লোভ লাগে। মনে হয় যেন চলে যাই। আমরা খাওয়া দাওয়া করে আবার বাসার জন্য কিছু নিয়ে আসলাম। কিন্তু সেখানে যাওয়ার সময় আমি সোনিয়াকে নিয়ে গেলাম না। একটু দূরের পথ এবং দুপুরের পরেই আমরা বের হয়েছিলাম। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সানিয়ার রেস্ট করতে ছিল সেখানে। তাই পেঁয়াজু হওয়ার সময় তাকে নেয়া হলো না। পরে যখন ছবি দেখল আমাকে বকাঝকা শুনাইলো একটু। কারণ এত মজার একটি খাবার সে খেতে পারল না 😆😋😆😂।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | Lifestyle |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/NARocky4/status/1875344592218026293?t=YM7JgsvxTRhNoYFPee-Bww&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পিঁয়াজু খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে বিকেল বেলাতে।তবে পিঁয়াজু যে কেজি হিসেবে বিক্রি হয় এটা প্রথম জানলাম। আপনারা সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছেন।নিশ্চয় ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
সবাই মিলে একসাথে বসে খেতে অনেক ভালো লেগেছিল।
বিষয়টা বললে অনেকটা গল্প হবে পেঁয়াজু গুলো আসলেই এত সুস্বাদু ছিল যারা খায়নি তারা এর মর্মটা বুঝতে পারবে না। আমি অনেক পিয়াজু খেয়েছি কিন্তু এমন সুস্বাদু এর আগে খাওয়া হয়নি। আর এই মুহূর্তটা ছিল অনেক সুন্দর সবকিছু মিলে দারুন লেগেছে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
মুহূর্তটা সত্যি অনেক বেশি ভালো ছিল। সত্যি খুব মজা করে খাওয়া হয়েছিল।
আমিও তেলেভাজা খাবার গুলো খুব একটা খাই না তবে আপনার মতই মাঝে মাঝে লোভ সামলাতে পারি না। এই বিষয়টা মজা লেগেছে যে সেখানে পেয়াজু কেজি দরে বিক্রি হয়। সাধারণত সব এলাকাতেই ৫ টাকা বা ১০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হয়। যাই হোক এক ফ্রেমে সবাইকে দেখেও বেশ ভালো লাগলো।
আসলে মাঝে মাঝে খেলে সমস্যাই হয় না। আমার কাছে তো খুব ভালো লাগে খেতে।
ব্যাপারটা আমার কাছেও ইন্টারেস্টিং লাগলো ভাইয়া। নরমালি একটা পেয়াজু পাচঁ টাকা করে কিনে খায়। কিন্তু মেহেরপুরে দেখছি কেজি হিসেবে পেয়াজু বিক্রিয় হয়। আর পেয়াজু দেখে তো লোভ সামলান কঠিন। নাশিয়া মামনি বেশ খুশি হয়েছিল দেখে বুঝা যাচ্ছে।
এগুলো কিন্তু অনেক বেশি মজাদার। আর খেতে দারুন লেগেছে।
আজকে প্রথম শুনলাম যে কেজির মাপে পেঁয়াজু বিক্রি হয়। আসলে ভাঁজা পোড়া জিনিস আমার খুব পছন্দের। সেটা পেঁয়াজু ভাজাই হোক আর সিঙ্গাড়া ভাঁজাই হোক আর বড়া ভাঁজাই হোক না কেন। এই সব ধরনের জিনিস পিস প্রতি বিক্রি হয়, কিন্তু আজকে প্রথম শুনলাম যে, মেহেরপুরে কেজির মাপে পেঁয়াজু বিক্রি হয়।
আসলে আমি নিজেও আগে জানতাম না। যাইহোক মুহূর্তটা শেয়ার করতে পেরে ভালো লেগেছে।
ভাইয়া আমরাও চলে যাব মেহেরপুর জেলায় কেজির মাপে পেঁয়াজ খাওয়ার জন্য। তবে ভাইয়া সত্যি বিশ্বাস হচ্ছে না । তবে এটি ঠিক বলেছেন আমাদের এই দিকে একটা পেঁয়াজু ৫ টাকা করে বিক্রি করে। এবং কিবরিয়া ভাইয়ের কারণে মজা করে দেখতেছে আপনারা কয়েকজন পেঁয়াজু গেলেন। পেঁয়াজু খেতে অনেকে কম বেশি অনেক পছন্দ করে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।
ঠিক আছে আপনারা যাওয়ার সময় তাহলে আমাকে নিয়ে যাইয়েন। তাহলে আপনাদের সাথে আবার আমারও যাওয়া হবে।
ভাইয়া প্রিয় মুখগুলো একসাথে দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা দেখতেছি খুব মজা করে পেঁয়াজু খাচ্ছেন। তবে কেজির মাপে পেঁয়াজু বিক্রি করা হয় আগে তো কখনো শুনি নাই। মন চাইতেছে আপনাদের সাথে বসে আমি নিজে পেঁয়াজু খেতে। আসলে এরকম সময় গুলো অনেক বছর পর্যন্ত মনে থাকে। আর পেঁয়াজু খেতে খেতে ভালোই সময় কাটিয়েছেন।
সবাই একসাথে হওয়ায় খুব ভালো লেগেছিল। বেশ মজা করে খেয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।