নাটক রিভিউ :- " স্কুল গ্যাং সিজন ২ " ( পর্ব ১১ )❤️
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি নাটক রিভিউ। নাটকের নাম হচ্ছে স্কুল গ্যাং সিজন ২ । নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে । বেশি দিন ধরে আমি এই নাটকটি দেখছিলাম। যদি এটা অনেক আগেই বের হয়েছে। তবে যেহেতু এই নাটকটি বেশ কিছুটা পর্ব তৈরি করা হয়েছে, তাই জন্য ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা একটা করে পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নাটকের ১১ তম পর্ব টা শেয়ার করবো। আশা করি রিভিউটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | স্কুল গ্যাং সিজন ২ |
---|---|
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | আর্থিক সজীব। |
অভিনয়ে | শহিদুল আলম সাচ্চু, আব্দুল্লাহ রানা, তামিম খন্দকার, শায়লা সাথী, সিয়াম মৃধা , আরোহী মিম, মিরাজ খান, আদর আহমেদ , নাজিয়া বর্ষা, সাকিব সিদ্দিকি, অনন্যা ইসলাম, শোয়েব শান্ত , রকি খান, ফারুক আল ফারুকী সহ আরো অনেকে। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | মামুন অর রশিদ |
সম্পাদনা | সাইদুর রহমান সবুজ |
মিউজিক | বি এইচ পারভেজ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, নতুন স্যারটা সবাইকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আরোহীর দেওয়া চকলেট যেন সবাই গ্রহণ করে না হলে সবার রাতে খারাপ কিছু হতে পারে। কিন্তু আরোহী নিজেই এই বিষয়টা মেনে নিতে চায় না। আর আরোহী স্যার কে বলে দেয় যেন পড়ালেখা ছাড়া তার সাথে অন্য কোনো বিষয়ে কথা না বলে। এরপর স্যার তার পেছন পেছন চলে যায়। আর স্যার তাকে সবকিছু খুলে বলে। এরপর স্যার তাকে আশ্বাস দেয় সে এবার থেকে সব কিছু ঠিক করবে।
তারপর স্যার স্কুল ক্যাপ্টেন এর ব্যাপারে কথা বলে। আর এটা বলে তাকে ক্লাস ক্যাপ্টেন না বানাতে পারলেও এখন তাকে স্কুল ক্যাপ্টেন বানাবে। আর স্যার এই বিষয়ে হেড স্যারের সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয়। আর স্যার তাকে বারবার করে এটা বোঝায় যেন এই কয়েকদিন সবার সাথে সে ভালো ব্যবহার করে। আর এই শর্তে আরোহী ও রাজি হয়ে যায়। তারপর তারা ক্লাস রুমে চলে যায় আর আরোহী সবার কাছে মাফ চায়। যা দেখে সবাই অনেক অবাক হয়ে গিয়েছিল। এরপর স্যারের কথায় সবাই রাজি হয়।
এরপর একটা ছেলের মাধ্যমে সবাইকে চকলেট আর ফ্রেন্ডশিপ কার্ড আরোহী দেয়। এরপর যখন মিরাজকে এগুলো দিতে যায়, মিরাজ এগুলো নিতে চায় না। কিন্তু স্যার তাকে ভয় দেখায়, তারপর সে ওগুলো নেয়। এরপর শান্ত আর সাকিব কোনো কিছু একটা প্ল্যান করে। তারপরে আমরা আদর স্যার আর ফারুক কে দেখতে পাই। স্যার তাকে সিঙ্গারা আনার জন্য পাঠায়। আর সে অন্যদিকে বলে নতুন স্যার মানে খাইরুল স্যারের নাকি বিয়ে এই জন্য কার্ড দিচ্ছে সবাইকে। এভাবে তারা বিভিন্ন রকম কথা বলে।
তারপর আমরা ক্লাসরুমে সবাইকে দেখতে পাই। আর সাকিব এবং শান্ত কার্ডের মধ্যে কিছু একটা লিখে পাঠায় আরোহীর কাছে। যেটা দেখার পর আরোহী অনেক বেশি রেগে যায়। আর মিরাজকে ডেকে নিয়ে কোথাও একটা চলে যায় কথা বলার জন্য। এরপর পাশের একটা রুমে নিয়ে তাকে থ্রেট দিতে থাকে। অন্যদিকে সবাই তো অন্য কিছু ভাবছিল। কেউ ভাবছিল তাকে নাকি মারছে আরোহী। আর আরোহী তাকে বারণ করে দেয় যেন ভিতরে কি হয়েছে কিছু না বলে। এরপর মিরাজ অনেক হাসিখুশি ভাবে রুমটার থেকে বের হয়। তারপর সে ওখান থেকে চলে যায়। এরপর আমরা অফিস রুমে সব স্যারকে দেখতে পাই। তারপর সে সবার সামনে স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচনের বিষয়টা বলে।
আর স্যার তখন নিজেই সব কিছু বলতে থাকে। কিন্তু হেড স্যার এতে রাজি হয় না। এরপর খাইরুল স্যার ফারুককে বলে যেন স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচনের নোটিশ সবাইকে দিয়ে আসে। অন্যদিকে খাইরুল স্যার তো বলে হেড স্যারের এই চেয়ার উনার কাছে যেকোনো সময় না থাকতে পারে। এভাবে তারা বিভিন্ন তর্ক করতে থাকে। তারপর খায়রুল স্যার ওখান থেকে চলে যাওয়ার পর ফারুক যখন হেড স্যারকে নোটিশের কথা জিজ্ঞেস করে, তখন হেড স্যার বলে দেয় পরে জানাবে। এরপর আমরা দেখি ছুটির পর সব বন্ধুরা বাড়ি ফিরছিল। তখন তারা আইসক্রিমের জন্য শান্তকে যখন পাঠাচ্ছিল, তখনই শান্ত এক্সিডেন্ট করে। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বটা ও সবগুলো পর্বের মত অনেক সুন্দর হয়েছিল। আর আমার কাছে দেখতে খুব ভালো লেগেছিল। এখন শুরু হয়েছে স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচনের বিষয়টা নিয়ে গন্ডগোল। খাইরুল স্যার চাচ্ছে আরোহীকে স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করতে। কিন্তু হেড স্যার আর আদর স্যার স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচনের বিষয়টাতে সম্মতি জানাচ্ছে না। অন্যদিকে আরোহী সবার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। কিন্তু সবকিছুই সাজানো প্ল্যান। তবে শেষে একটা খারাপ দৃশ্য আমরা দেখতে পাই, তা হচ্ছে শান্তর এক্সিডেন্ট। ছুটির পর যখন সবার জন্য সে আইসক্রিম আনতে যাচ্ছিল, তখনই তার এক্সিডেন্ট হয়। এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হতে চলেছে। আশা করি শান্ত বেঁচে থাকবে। আমি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ আপনাদের মাঝে খুব শীঘ্রই শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনারা সবাই পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
https://x.com/NARocky4/status/1878131372826689564?t=K1qjvh_zPQeo2urfCWyLGA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। এই নাটকের প্রতিটা পর্ব দেখেছি আর সবগুলো পর্বই খুব সুন্দর। এই পর্বে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন করা হয় আর শান্তর এক্সিডেন্ট হয়। তাছাড়া আরোহী সবার সাথে দেখানো বন্ধুত্ব করে। ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচনটা দেখলে একদম স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে। আমি একবার এক সপ্তাহের জন্য হয়েছিলাম আর এত পরিমাণ দায়িত্ব সত্যিই সামলানো যায় না। আপনি সম্পূর্ণ রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই নাটকের আপনি প্রতিটা পর্ব দেখেছিলেন শুনে ভালো লাগলো। সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
যদিও এই নাটকের ছোট ছেলেমেয়েরা অভিনয় করেছে তারপরও তারা খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এই নাটকটা আমি পুরোটা দেখেছি খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। আপনিও অনেক সুন্দর ভাবে নাটকটা রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করতে সক্ষম হয়েছেন।
এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ সুন্দর করে তুলে ধরতে পেরে ভালো লেগেছে।
স্কুল গ্যাং নাটকের ১১ তম পর্ব অনেক সুন্দর ছিল। আমার কাছে তো এই পর্বের রিভিউটা ও খুব ভালো লেগেছে পড়ে। তবে নাটকের শেষে এরকম কিছু হয়েছে দেখে খারাপ লাগলো। শান্তর দেখছি এক্সিডেন্ট হয়েছে। অন্যদিকে আবার স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচনের জন্য খাইরুল স্যার অন্যরকম ব্যবহার করছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
শেষের দৃশ্য দেখে আমার নিজেরও অনেক খারাপ লেগেছিল। পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।