ভ্রমণ : মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
Abb 13 নভেম্বর 2024 ✅
আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ ও আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
হঠাৎ করেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে অনেকদিন পর আজ ভ্রমণ পোস্ট করতে বসেছি। আসলে ভ্রমণ পোস্ট অনেকগুলো জমে আছে কিন্তু বিভিন্ন পোস্ট এর কারণে শেয়ার করা হয় না। চিন্তা করলাম আজ মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আসলে নোয়াখালীর মধ্যে অনেক সুন্দর একটি জায়গার নাম হল মুছাপুর।
আমাদের জেলা হল ফেনী। ফেনী থেকে মুছাপুর যেতে অনেক দূর। কিন্তু কি করা ঘুরতে তো হয়। ঘুরতে না পারলে আমার মাথা ঠিক থাকে না। কিছুদিন যদি একতরফা কাজ করতে থাকি, তাহলে আমাকে ঘুরতেই হয়। আর ঘুরাঘুরি না করলে যেন অক্সিজেন পায় না কাজে। তাই একেকবার একেক জায়গায় ছুটে যাই। কিন্তু সব সময় ফেনী জেলা এবং নোয়াখালী জেলার মধ্যে বিভিন্ন জায়গাগুলো ঘোরার চেষ্টা করে। দূরে গেলে অনেক খরচ 😆।
তাইতো এক জায়গায় অনেক বার যাওয়া হয়। যেমন মুছাপুর মাঝে মাঝে সপ্তাহে কয়েকবার যাওয়া হয়। কারণ সেখানে নদীর পাশে, বসে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। যার কারণে মন খারাপ থাকলে এবং এমনিতেও আমি মুসাপুর নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকি। কিন্তু বর্তমানে মুছাপুর বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙ্গন এর কারণে পুরো জায়গাটা নদীর মাঝে চলে যাচ্ছে। একটা সময় অনেক বেশি গাছপালা ছিল এখানে। বিশেষ করে ঝাড়ু বাগান ছিল সেখানে।
কিন্তু ধীরে ধীরে নদীতে চলে গিয়েছে এই বাগানটি। বাগানের একপাশে অনেকগুলো দোকান বসতো সেগুলোও বর্তমানে অনেক বেশি কমে গিয়েছে। যাওয়ার পথ নদীতে বিলুপ্ত। এখন বর্তমানে মুছাপুর যেতে হলে অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। গুচ্ছগ্রাম নামে একটি গ্রাম রয়েছে সে গ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এখন মুছাপুর।
তাইতো এখনো ছুটে যাই সেখানে। দূরত্বর কারণে খুব কম যাওয়া হয় বর্তমানে। পরিবার নিয়ে যেতে অনেক বেশি কষ্ট হয় , তাই এবার পরিবার নিয়ে গেলাম না। আমি এবং আমার এক বড় ভাই সহ গিয়েছিলাম সেখানে। আসলে দূরে কোথাও যেতে হলে একা যেতে পারে না আমি। আমার সাথে সঙ্গী কাউকে না কাউকে প্রয়োজন হয়। যার কারণে ঘুরতে গেলে কাউকে না কাউকে নিয়ে যায়।
মাঝে মাঝে যদি একা কোথাও যায় তাহলে যাওয়ার সময় অনেক দূর চিন্তা মাথায় আসে। যার কারণে অনেকেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এজন্য আমি পাশে একজন নিয়ে গেলে তার সাথে বকবক করতে করতে চলে যেতে পারি। এবং তার সাথে কথা বলে সময়টা কাটাতে পারি। আমি দোয়া করি যেন সরকার এই সুন্দর জায়গাটাকে আবার আগের মত করে নিবে। এখানে পানি বন্ধ করার জন্য সুইজগেট আবার পুনরায় তৈরি করবে। সেখানে নদীর পাড়ে বসে ঝাল মুড়ি খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/NARocky4/status/1856563415571148975?t=owAeZicbHYG3OUgNifJImA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এর আগে এই বিষয়ে আপনারা কেউ পোস্ট করেছিলেন। মুসাপুরের সুন্দর দৃশ্য এর আগে উপলব্ধি করেছিলাম আপনাদের মাধ্যমে। আজকেও ঠিক আমাদের মাঝে সেই সুন্দর স্থানের চিত্র তুলে ধরেছেন। খুব ভালো লাগলো এত সুন্দরভাবে মুসাপুর এর বর্ণনা শেয়ার করেছেন দেখে।
মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিতে পেরেই তো ভালো লাগলো। খুব ভালো ভাবে ঘুরাঘুরি করেছি।
মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন। সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। এরকম জায়গা গুলোতে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে।
সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনার কাছে দেখে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
প্রথমেই বলি আপনার ভ্রমণের ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। এ কথা ঠিকই বলেছেন এক জায়গায় একটানা কাজ করতে থাকলে বড্ড বিরক্তিকর লাগে তাই সামান্য অবসরের প্রয়োজন। আর সেই অবসরের জন্যই কোথাও বেড়াতে যাওয়ার থেকে উপযুক্ত কোন অপশন থাকেনা। আমিও আপনার মত মাঝেমধ্যেই বেড়াতে বেরিয়ে পড়ি। নদীর পার ভেঙে বাগান নদীর বুকে চলে যাচ্ছে দেখে খারাপ লাগছে তবে এটাই তো প্রকৃতি একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে। ভালই লাগলো আপনার ভ্রমণের গল্প পড়ে।
মুসাপুরের সুন্দরী থাকা নষ্ট হয়ে গেছে জেনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে নদীর ভাঙ্গনে অনেক কিছুই বিলীন হয়ে যায়। আর এভাবেই নদীর পাড়ের অনেক জায়গা হারানোর জন্য অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।