শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর (পর্ব-০৪)
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
তারপর কি অবস্থা সবার? আশা করি এই রমজানে সকলেই ভালো আছেন এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি। যদিও রমজানের শেষের দিকে এসে রোদের তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়ে চলছে আর দিনের মধ্যে ভ্যাপসা একটা গরম শুরু হয়েছে। আর এখনি যে গরম আর রোদ শুরু হয়ে গেছে সামনে ইরী ধান কাটার সময় যে আরো কি অবস্থা হয় সেটাই ভাবছি।
যাইহোক শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর নিয়ে আমার একটা সিরিজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে এই সিরিজ এর তিনটি পর্ব পোস্ট করাও হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে চতুর্থ পর্ব পোস্ট করতে চলেছি। আজকের পর্বে নকশী কাঁথা,টেপা পুতুল সহ আরো কিছু প্রাচীন ঐতিহ্য তুলে ধরতে চলেছি। আশা করি আপনারা অনেক কিছু দেখতে ও জানতে পারবেন।
এইটা দেখে তো নিশ্চই চেনার কথা। এটা হচ্ছে সেই টেপা পুতুল যা টিপে টিপে বানানো হতো।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এটা হচ্ছে জসীমউদ্দীনের কবিতার সেই নকশী কাঁথা। তবে এই কথায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মানচিত্র।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এটিও একটি নকশী কাঁথা।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এগুলো হচ্ছে নকশী কাঁথার থলে বা ব্যাগ।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এখানে রয়েছে মাটির তৈরি ঘোড়া, হাতি,সিংহ ও হাতি।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এগুলা হচ্ছে পূজার সামগ্রী। এখানে রয়েছে মনসা পুজোর মূর্তি "মনসা ঘট ও পোড়া মাটির তৈরী পুতুল"।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
শামুকের তৈরি শাখ বা হাতের চুড়ি।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এই ছবিটির উপরের অংশে রয়েছে পাথরে খোদাই করা নকশা। এবং নিচে রয়েছে টেপাপুতুল,মাটির তৈরী পাত্র ইত্যাদি।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এটা হচ্ছে কলসি। আগে পানি রাখার পাত্র হিসেবে এই কলসি ব্যাবহার করা হতো।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
যতদূর দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি দেবতার মূর্তি। সম্ভবত মহাদেব এর মূর্তি। তবে এটিও একটি টেপা পুতুল।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
শামুকের তৈরি অলংকার,(গলার হার)।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এটি হচ্ছে পালকি। আগের বিয়েতে বিয়ের দিন নতুন বউ আনার জন্য বাহন হিসেবে এই পালকি ব্যাবহার করা হতো।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
সম্ভবত পিতলের তৈরি কিছু অলংকার।
এখানে কোমরবিছা,,গলার হার রয়েছে।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
সত্যিই আবহাওয়া এখন বেশ খারাপ। ঘরে ঘরে মানুষ এখন অসুস্থ হচ্ছে।
আপনার ছবিগুলো কোনটা ছেড়ে কোনটা ভালো বলবো বুঝতে পারছি না, সবগুলো ছবি বেশ মূল্যবান।
ধন্যবাদ ভাই এই অসাধারণ নিদর্শনগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দোয়া রইল।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।🖤
আবহাওয়ার প্রায়ই পরিবর্তন হচ্ছে আর তাই অসুস্থতাও বেড়ে যাচ্ছে। আপনি শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর এ ঘুরে বেশ ভাল কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। টেপা পুতুল এখন খুব একটা দেখা যায়না। নকশী কাঁথা দেখতে অনেক ভাল লাগছে। তবে এই কাথাও এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ছবির পিছনে অনেক কথা লুকিয়ে আছে। ছবিগুলো দেখে খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বি, ভাই এই নকশী কাথা এখন খুব একটা দেখা যায় না। তবে গ্রামে গেলে আবার বেশ চোখে পড়ে এখনো।
প্রত্যেকটা জিনিসই আকর্ষণীয় দেখা যাচ্ছে। পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য জাদুঘর একটা নির্দিষ্ট স্থান। টেপা পুতুলগুলো হয়তো বা এখন আর দেখা যায় না। তার পাশাপাশি নকশী কাঁথার ব্যাগ গুলো দেখাই যায় না। যদিও এখনো নকশী কাঁথার প্রচলন রয়েছে তবে সর্বোপরি পূর্বের তুলনায় বর্তমানে সময়ে কিছুটা কমে এসেছে। পূর্বের পর্বগুলোতে দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আজকের পর্ব টা দেখেও ভালো লাগলো ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা ভাই। বর্তমানে তো বিদেশি কম্বল এর যুগ এখন আর এই কাথা চলে কই।🤗
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রমজানের মাঝে এসে রোদের তাপমাত্রা অনেক বেড়েছে। আজকে সারাদিন প্রচন্ড গরম ছিল। রোজা রাখতে ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। যাইহোক এভাবেই হয়তো গরম পুরোপুরিভাবে এসে যাবে। জাদুঘরে ভ্রমণ করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। পুরনো জিনিস গুলো দেখে অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে।
পুরনো জিনিসগুলো দেখার মধ্যে একটা অন্যরকম ভালো লাগা আছে আপু। সম্ভব হলে কখনো এসব প্রাচীন নিদর্শন দেখতে যাওয়া উচিত সবার।
সবকটি ছবি ঐতিহ্যবাহী এই ছবিগুলো দেখলেই চোখ ফেরানো যায় না।আমি তো প্রথমে এই ছবিগুলো দেখে চোখ ফেরাতে পারিনি শুধু চেয়েইছিলাম । আজ থেকে প্রায় দুই তিন বছর আগে এই ছবিগুলো আমি দেখেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই সোনারগাঁও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর ঐতিহ্যবাহী ছবিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য। আর এর আগেই জেনেছিলাম আপনি সোনারগাঁও এ গেছিলেন।