পরিবর্তনই সমাজের নিয়ম।সময় এর সাথে পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েই চলতে হয় আর এটাই বাস্তবতা।তাইতো জীবনের এক পর্যায়ে এসে রান্না করা টাও শিখে গেলাম।আসলে শিখতাম না কিন্তু তারপরেও শিখে গেলাম। মূলত আমি পড়াশুনার জন্য বাইরে থাকি তাই আমাকে মেসে থাকতে হয় আসলে মেস বললে ভুল হবে কারণ আমরা সাত জন মিলে একটা ফ্লাটে থাকি কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ফ্লাটে বুয়া নেই নিজের রান্না নিজেই করতে হয়।তাই এই প্রেক্ষাপটে বাধ্য হয়ে রান্না টা শেখা।সেই দিন দুপুরে রাতের মিলের জন্য বয়লার মুরগি নিয়ে আসা হয় আর আমি সবাইকে বলি রান্না তো অনেক শিখলাম আজকে তোমাদের রান্না করে খাওয়াই তোমার শুধু একটু সাহায্য করিও আর শুরু করে দিলাম রান্না করা।আর স্পেশালি ধন্যবাদ জানাই "আমার বাংলা ব্লগকে"কারণ এই প্লাটফর্ম এর কারণে আজকের আমার এই সিক্রেট আকাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরেছি🤭😍
রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ: |
রান্নার বর্ণালী:
প্রথমে মাংসগুলো কেটে পরিমাণমতো সাইজ করে একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে। এমনভাবে ধুতে হবে যেন মাংসের মধ্যে কোন ময়লা বা রক্ত না থাকে। |
এ পর্যায়ে রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো যেমন মরিচ বাটা, পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা এগুলো কেটে ব্যানার মধ্যে থেতলে বা পিষে নিতে হবে। এবং যেহেতু আমি আমার রেসিপির মধ্যে আলু দিয়েছি সে ক্ষেত্রে আলুও ছিলে নিতে হবে। |
এবার প্রথমে কড়াই এরমধ্যে তেল নিয়ে একটু গরম করে নিয়েছিলাম। তেল টা একটু গরম হয়ে গেলে তারমধ্যে পেঁয়াজ ছেড়ে দিয়েছি। |
এ পর্যায়ে পেঁয়াজটা তেলের মধ্যে ভাজা হয়ে গেলে অর্থাৎ হালকা গাঢ় রং হয়ে গেলে। আমি তেলের মধ্যে মরিচ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে দেই। এবং সেগুলো তেলের মধ্যে হালকা নাড়তে থাকি। |
পেঁয়াজ-মরিচ গুলো যখন ভাজা হয়ে গিয়েছিল তখন তরকারির মধ্যে কালার নিয়ে আসার জন্য হলুদ দেই। এবং প্রয়োজনীয় মশলা জিরা গুঁড়া,অনুমান মত লবণ, ও অন্যান্য সব মশলা দিয়ে দেই। এবং দেওয়া হয়ে গেলে সেগুলো নাড়তে থাকি |
প্রয়োজনীয় সব উপাদান দিয়ে নাড়ানোর পর যখন মাংস দেওয়ার মতো উপযোগী হয়ে যায় তখন মাংসগুলো সেখানে ঢেলে দেই। এবং মাংসগুলো নাড়াতে থাকি যেন খুব ভালোভাবে মসলাগুলোর সাথে মিশে যায়।। |
মাংস গুলো যখন ভালোভাবে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর সাথে মিক্সিং হয়ে যায় তখন রেসিপিটি এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য ধনিয়া পাতা একটু দেই। |
এ পর্যায়ে মাংস যখন অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে যায় তখন তরকারির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আলু দিয়ে দেই। আলু গুলো নতুন ছিল তাই আগে দেই নি তাহলে আলু গুলোকে খুজে পাওয়া যেত না। এবং আলোগুলো তরকারির সাথে একটুও নাড়া দিয়ে দিয়ে উপরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই আর এভাবেই রেসিপিটি রান্না করা শেষ করি। |
এরপর সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া শুরু করলাম। আর সবাই বেশ ভালই আমার প্রশংসা করতে ছিল।কারণ এটি ছিল আমার প্রথম একক কোনো রান্না😍। |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আমার রেসিপি পোষ্ট। আশা করি আপনারা যদি কেউ আমার মত কোন রেসিপি তৈরি করতে চান(যারা পারেন না আরকি) তাহলে আমার রেসিপি দেখে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আমি @munna101 |
ধন্যবাদ
ভাই আপনি জীবনে প্রথমবার আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করেছেন দারুন হয়েছে দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন দারুন হয়েছে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর টি মন্তব্য করেছেন। 😍
টুইটার লিংক
সবাই মিলে বেশ আনন্দেই খেয়েছেন। রান্নার প্রক্রিয়াটা দারুন ছিল। আমার খুবই ভালো লেগেছে। বেশ মাখামাখা একটা ভাব। ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রথমবার হিসেবে খুব সুন্দর রান্না করেছেন আপনি ভাই। রান্নাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে ছবিগুলো দেখলেই তা বোঝা যাচ্ছে। এত সুন্দর করে গোছালো ভাবে রেসিপিটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আর আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনার জীবনের প্রথম রান্না আলু দিয়ে মুরগীর মাংস রান্না,সত্যিই প্রশংসনীয় ভাই।প্রথমবার হিসেবে দারুন রান্না করেছেন। ধাপে ধাপে উপস্থাপনাও দারুন ছিলো। শুভকামনা রইলো ভাই আপনার জন্য।
ধন্যবাদ জানাই ভাই আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসা করার জন্য। 😍
আপনার জীবনের প্রথম আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্নাটা অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। আসলে রান্না করতে অনেক মজাই লাগে তবে প্রতিনিয়ত নাহ। নিজের রান্না করা যে কোন কিছু খেতে অনেক টেষ্ট লাগে। মুরগির মাংস রান্না সম্পর্কে সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই প্রতিনিয়ত রান্না করতে গিয়ে মহা বিধি কিস্তির জন্ম হয়। সেগুলো না হয় অন্য দিন বলব। 🤪
আপনি খুব সুন্দর ভাবে আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রথমে রান্না করেছেন শুনে আরো ভালো লাগলো প্রথম রান্নাতেই বাজিমাত। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য। 🖤
আলু দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মুরগি আমার ভালো লাগে।আর এর সাথে আলু হইলেত কথা নাই।শুভ কামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আলু আর মুরগি হইল মেসের জাতীয় খাবার। যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। 🖤😍
জীবনে প্রথমবার হিসেবে তো অনেক ভালই রান্না করলেন ভাইয়া। রান্না দেখে মনে হচ্ছে খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রথমবার হিসেবে অনেক বেস্ট রান্না করলেন। যদি আমরা খেতে পারতাম তাহলে বুঝতে পারতাম প্রথম রান্না হিসেবে কতটা না সুস্বাদু হয়েছে।😋😋 আমার মনে হয় সব মিলিয়ে অসাধারণ রান্না করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যাইহোক এরপরের বার যদি রান্না করি তাহলে পোস্টটি আপনাদের খাওয়া দাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করব 🤪
প্রথমবারের রান্না হিসেবে তো মনে হচ্ছে অনেক ভালোই হয়েছে। চেষ্টা করলে আপনি পাকা রাঁধুনি হতে পারবেন হাহাহা। শুভকামনা আপনার জন্য।
অনেকদিন থেকেই শিখেছি কিন্তু রান্নাটা আজকে প্রথম বার ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। 🖤