অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকো || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
যার যত আছে তার তত লাগবে।মানুষের চাহিদা কখনো শেষ হয় না।আর মানুষের এই বেশি চাওয়ার আখাংকাকেই সম্ভবত বলা হয় লোভ।মানুষের এই বেশি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আর লোভ মানুষকে রূপান্তরিত করে পশুতে।মানুষের মধ্যে যখন অতিরিক্ত লোভ কাজ করে তখন সে আর দশজন মানুষের মতো সাভাবিক থাকে না,তখন সে নিজের চাহিদা পূরনের জন্য সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত যেতে পারে।যদি জঘন্য অপরাধ ও করতে হয় তবুও সে করতে দ্বিধাবোধ করে না।আর মানুষের এই অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়া আর লোভের কারণে আজকে পৃথিবীটা অনেকটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এই যে একটু চোখ মেলে দেখুন না।কেউ একজন রাষ্ট্র নায়ক কিন্তু তার এক রাষ্ট্র পরিচালনা করে মন ভরছে না।তার এখন পুরো পৃথিবীকে শাসন করা প্রয়োজন মনে করছে।আর তার জন্য কি করছে সে!নিজের ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে সবাইকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে,তাতেও যখন কাজ হচ্ছে না তখন অপেক্ষাকৃত দুর্বল দের উপরে চালাচ্ছে অমানবিক অত্যাচার।মেতে উঠছে রক্ত পিয়াসের দানবীয় খেলায়।আর দিনশেষে বলিতে পরিণত হচ্ছি আমরা সাধারন রা।আবার দেখুন যার একসময় কিছুই ছিল না সে একটা ভালো পর্যায়ে আসার পর ভাবে আরো সামনে কিভাবে যাওয়া যায়। অথচ সে তার অতীতটাকে ভুলেই গেছে, সে আগে কি ছিল।এরকম কত ঘটনা নিজের চোখের সামনে ঘটেছে শুরু করলে আর শেষে হবে না।কিন্তু বাস্তবতা হলো তারা এই অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়ার পরিবৃত্তে একটুও সন্তুষ্ট নয় আর কখনো হতেও পারবে না।কারণ ঐযে তাদের অতিরিক্ত লোভ অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়া।আর এটা কখনোই কমবে না,যদি না সে নিজের উপর নিজেই না সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।
আমি একটা সময় ভাবতাম আমার বাবার যদি অঢেল সম্পদ থাকতো তাহলে হয়তো আমার জীবনটা আরো বেশি সুন্দর হতো।আমি যখন স্কুলে যেতাম তখন আমার স্কুলের অনেকেই বাইক নিয়ে স্কুলে আসত কেউ আবার ওই সময়েই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যাবহার করত।তখন শুধু দেখতাম আর আফসোস করতাম আমার ও যদি এরকম থাকতো তাহলে মনে হয় ভালই হতো।একটা সময় মাধ্যমিক পাশ করার পর আব্বু নিজেই একটি ফোন কিনে দেয় আর ওটাই ছিলো আমার জীবনের প্রথম ফোন।আসলে স্কুল জীবনে আমার দুইটা জিনিস আমার জন্যে নিষিদ্ধ ছিল এক ফোন চালানো আর টেলিভিশন দেখা,আর এজন্যই ফোন কিনে দেয় নি।অল্প বয়সে হাতে ফোন থাকলে নাকি ছেলেমেয়ে নষ্ট হয়।তবে এখনকার জামানা ভিন্ন।তখন সদ্য ফোন নেওয়ার পর বেশ আগ্রহ থাকে কিন্তু ফোনের উপর।আর এমনিতেও ফ্রি সময় আছে ,সারাদিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যাবহার করতাম।আর সেইসময় এত তো বুঝতাম না আর সব সেলিব্রেটি দের ফলো করে রাখতাম।আর তাদের নিত্য নতুন ভেশ দেখে মনে হতো ইশ আমার জীবনটাও যদি এমন হতো।আর এভাবে ফোন টা ব্যাবহার করতে করতে একসময় কেনো যানি ফোনটাও আর ভালো লাগতো না।তখন মনে হতো একটা নতুন ফোন যদি হতো তাহলে মনে হয় আরো ভালো হতো।আর এভাবে করে আমার চাওয়া পাওয়ার মাত্রাটা দিন দিন বেড়ে যায়।কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও তো আর সাধ্য থাকে।শুধু মনের মধ্যে আক্ষেপটা পুষে রাখি।তবে দেরি হলেও কখনো কখনো সেই ইচ্ছে গুলও পূরণ হতো।কিন্তু বিশ্বাস করেন সেই জিনিসটা পাওয়ার পর সেটাও আর বেশিদিন ভালো লাগতো না।তখন তার চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার ইচ্ছে হতো।আসলে কথায় আছে না "যার যত আছে তার তত চাই" আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমন হয়ে গিয়েছিল।একসময় আমি ভাবতাম আমার কাছে যদি এক কোটি টাকা থাকতো এটা করতাম সেটা করতাম,তখন হিসেবে করে দেখা যায় সেই এক কোটি দিয়েও হচ্ছে না আরো লাগবে তখন নিয়ত পরিবর্তন করে বলতাম না তিন কোটি হলে ভালো হবে।কিন্তু মূলত এক টাকাও থাকে না পকেটে।তো এভাবে আমি অনেক দেখছি একটা চাহিদা পূরণ হলে আরেকটার চাহিদা তৈরি হয়।যেটা একটা মানুষের জন্য কখনোই ভালো কিছু বায় আনে না।তাই আমাদের সবার উচিত সবসময় নিজের সাধ্যের মধ্যে তুষ্ট থাকা,তাতেই জীবনের শান্তি।
আপনার যদি মনে হয় আপনি পারছেন না অল্পতে তুষ্ট থাকতে।কিংবা মনে করেন অন্যেরা তো সুখে ভালো অবস্থানে আছে আপনাকেও সেই অবস্থানে যেতে হবে।মনে রাখবেন এটা হলো পুঁজিবাদী সম্রাজ্যের একটা ট্র্যাপ,হতে মানুষ এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পড়ে জীবনের আসল মানে টাই ভুলে,যেনো সে ভুলে যায় তার স্রষ্টার উদ্দেশ্য।কেনো আপনারা একটু আপনাদের চারপাশে তাকান না আপনার চেয়ে কত খারাপ অবস্থানে থেকে দুর্দশায় জীবন পার করছে,আপনি তো নেহাতই তার থেকে ভালই আছেন।স্রষ্টা চাইলেই তো পারতো তার জায়গায় আপনাকে রাখতে।বরং স্রষ্টা আপনাকে এখনো অক্ষত রেখেছে। পরিশ্রম করুন জীবন পাল্টানোর চেষ্টা করুন । তবে নিজের সাধ্যের মধ্যে থেকে কখনো বেশি পাওয়ার আশায় নয়,জীবন আপনাকে যা দিয়েছে সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন দেখবেন অনেক শান্তিতে আছেন কারণ জীবন অনেক সুন্দর🙏।
আজকের মত এখানেই শেষে করছি।এবং কোনো ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার সর্বাঙ্গিক সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ🌿

আসলে ভাই আমি মনে করি যে অল্পতেই যদি আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি তবে প্রকৃতভাবে সুখী হতে পারি। আর লোভ মানুষকে সবসময় ধ্বংস করে দেয়। আপনার লেখাটা খুবই ভালো লাগলো
লোভের পরিণাম ও ধ্বংস। তবুও তো মানুষ থেমে নেই ছুটে চলেছে অদৃশ্য ছায়ার পিছনে। যেটা সে কখনোই ধরতে পারবে না।
লোভ-লালসা নিয়ে সুন্দর একটি দিক আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার এই ব্লগের মধ্যে। আসলে মানুষের মনটাই এমন যে যত পায় আরো বেশি চায়। মানুষের চাওয়ার কোনো কমতি নেই। কিন্তু বিবেক করে দেখেনা,কি হবে এত কিছু? যদি জীবন চলে যায়; তাহলে তো সব শেষ। যায় হোক কিছুটা আবেগময় মনোভাব চলে আসছে। খুব সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবাই জানে সবাই বোঝে কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয় না এই আর কি। এই ধরুন আপনি বিষয়টা বোঝেন কিংবা আমি বুঝি আমরা কি কেউ গুরুত্ব দেই। তবে আমি এখন এই মায়াজাল থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
আপনার লিখায় প্রথম আর দ্বিতীয় দুটো চরণই খুব ভালভাবে উঠে এসেছে। যার যত আছে সে তত চায়, আর যার ক্ষমতা বেশি সে তখন ক্ষমতার খেলা দেখিয়ে জোড় করে সব নিয়ে নেয়। আসলে পৃথিবীটাই এমন। মানুষের আদিম ধর্ম এই ভাবে পৃথিবী পরিচালনাতেই সমর্থন করে যাচ্ছে। তবু বলব আমরা যেন খারাপ ধর্মের উপরে উঠতে পারি।
আপনার মন্তব্যের মূলভাবটা অনেকটাই অস্পষ্ট থেকে গেছে। চেষ্টা করলাম বুঝে নেওয়ার কিন্তু ব্যর্থ হলাম ☺️। তবে আমার বিশ্বাস যা বোঝাতে চেয়েছেন সেটি ভালই ছিল।
নিজের জীবনে যা কিছু আছে তা নিয়ে যে খুশি থাকতে পারে তার মতো হ্যাপি পারসন আর কেউ হতে পারে না এই পৃথিবীতে। কিন্তু মানুষ তো এমন না। ক জনই বা এমন হতে পারে। যার যত বেশি আছে তার তত আরও চাই। এভাবে কখও শান্তি খুজে পাওয়া যায় না। যাইহোক অনেক ভাল লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ
মানুষ যখন তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য ভুলে যায় ঠিক তখন সেই রকম লোভ-লালসায় আচ্ছন্ন হয়। অবশ্য এইসব বিষয় নিয়ে আর বেশি কিছু বলার ইচ্ছে নেই, সৃষ্টি যখন তিনি করেছেন তখন তিনি না হয় আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দিবেন।
ভাই আমিও এক কাজ করতাম যখন প্রথম প্রথম ফেসবুকে একাউন্ট খুলি। আপনার এই লাইনটা পড়ে মনে পড়ে গেলো।
ভাই আমাদের চাহিদার শেষ নাই। আমিও আপনার মতো একটা ইচ্ছা পূরণ হলে আর একটা চাহিদা বের করতাম। এতে করে জীবনে অনেক না পাওয়ার দুঃখ জমতে থাকে। আসলেই আমাদের অল্প তেই সন্তষ্ট থাকা উচিত। তাতে না পাওয়ার কোনো কষ্ট থাকে না। ভালো ছিলো আপনার লেখা।
এগুলো হচ্ছে আমাদের দেখে শেখা, আমাদের পূর্ব জোড়া। এবং বস্তুবাদী এই দুনিয়া আমাদেরকে যেভাবে শেখাচ্ছে ঠিক আমরা সেরকমটাই হচ্ছি। তবে আমাদের উচিত নিজের বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে এই সব থেকে বেরিয়ে আসা।
নিজের অবস্থান ভুলে অন্যের সুখ দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমরা এক অশুভ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছি। যা আমাদের নিজেদের স্বস্তি ও সুখ ও শান্তি সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে। হাদীস শরীফে এসেছে তুমি যদি জীবনে সন্তুষ্ট সুখি হতে চাও তাহলে অল্পতে সন্তুষ্ট থাকো। আমরা যদি অন্যের উন্নতি দেখে ঈর্ষান্বিত না হয়ে নিজেদের অবস্থানে নিজেকে সন্তুষ্ট থাকতে পারতাম তাহলে আমাদের দিনগুলো অনেক আনন্দে কাটতো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
চরম সত্য কথা বলেছেন। আসলে মানুষ ধর্ম বা তার নিজের সৃষ্টির উদ্দেশ্য যদি ঠিকঠাক ভাবে মনে ধারণ করতে পারে, আমার বিশ্বাস প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ভরে উঠবে পূর্ণতায়।
ঠিক বলেছেন যখন মানুষের মধ্যে লাভ চলে আসে তখন সে দশটা মানুষের থেকে আলাদা হয়ে যায়। আমাদের সত্যিই অল্পতে সন্তুষ্ট হওয়া উচিত। লোভ যে মানুষকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করে তা তো মানুষ বুঝেনা। আর একটা কথা মানুষ যত বেশি পায় তত আরো বেশি পেতে চায়। এটা কিন্তু করা একদমই উচিত নয়। এটা আমাদের জীবনে অনেক বেশি ক্ষতি বয়ে আনে। সুন্দর একটা বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।
শুধু ক্ষতি না আমাদের বেঁচে থাকাটাকে করে তোলে দুর্বিষহ। সে নিজেও কখনো তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সুখী হতে পারে না আর আশেপাশের যে দশজন থাকে তাদের কেও সুখী হতে দেয় না।
আসলে যার যত আছে তার তত আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা তার চাহিদার অপূর্ণতা থেকে যায়। যাইহোক এই ধরনের লোভ লালসা থেকে মানুষের বিরত থাকা উচিত ।অনেক ভালো লিখেছেন ভাইয়া পড়ে ভালো লাগলো।
পাঠকের সন্তুষ্টি লেখকেরা তৃপ্তি। সত্যি আপনাদের থেকে যখন এরকম সুন্দর মন্তব্য পাই, নিজের কাজের প্রতি আন্তরিকতা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। ভালো থাকবেন ভাই সব সময় আর এভাবেই পাশে থাকবেন।
সত্যিই ভাইয়া কথা গুলো বাস্তব দিক মুখি আমার কছে কথা গুলো অসাধারণ ছিল। আসলে এটাই বাস্তবতা আমাদের একটা বাড়ি থাকলে আর একটা বাড়ি লাগবেই মানে চাহিদার আর শেষ নেই। আপনি আপনার উপস্থাপন টা নিজের জীবনের ফোনের কাহিনি দিয়ে সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
চেষ্টা করেছি ভাই যদি অত ভাল লিখতে পারিনা গুছিয়ে। কিন্তু এই পথে যখন এসেছি তখন তো আর কোনো পথ খোলা নেই আমার সামনে। তাই নিজের চিন্তা ভাবনা গুলোকে এখন জাহির করে আপনাদের সামনে। আর আপনাদের এই ভালোলাগা সত্যি আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। ভালো থাকবেন ভাই সব সময়। 🖤