সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশা করি আপনারা সকলেই সুস্থ আছেন সুন্দর আছেন নিরাপদে আছেন। ওপর আলার কৃপায় আমিও ভালো আছি। আশা করি আপনাদেরও এই সপ্তাহও অনেক ভালো কেটেছে আনন্দে কেটেছে। আমারও অনেক সুন্দর কেটেছে। এবং বিশেষ করে সপ্তাহের শেষ দিন ছুটির দিন তথা শুক্রবার আসলে তো কথাই নেই দিনটি আমার কাছে বরাবরই স্পেশাল। সব কাজকর্ম সেরে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয় একটু ঘুরাঘুরির সুযোগ হয় হয়তো এজন্যই। প্রত্যেক উইকেন্ডে এর ন্যায় আজকেও বন্ধুদের সাথে একটু ঘুরতে বের হই। আজকে আমরা ঘুরতে গেছিলাম দিনাজপুর শিশু পার্কে। এবং এটি ছিল আমার দিনাজপুর শিশুপার্কে প্রথমবার।আজকে দিনাজপুর শিশুপার্কে কাটানো মুহূর্তগুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।


device :realme narzo 30a
image source

আমি আমার দুই ফ্রেন্ড সজিব ও নিরব আমরা তিনজন মিলে আজকে নামাজের পর ঘুরতে বের হয়েছিলাম। আজকে আমাদের প্ল্যান ছিল দিনাজপুর শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়া। আসলে আমরা দিনাজপুরে শিশুপার্কে কখনো যাইনি আজকেই প্রথমবার ছিলো। তাই এক্সাইটমেন্ট টা একটু বেশি ছিল। তো আমাদের প্ল্যান ছিল যাওয়ার সময় আমরা হেঁটে যাবো। কারণ আমাদের মেস থেকে শিশু পার্কের দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। হেঁটে যাওয়ার প্লান ছিল এই কারণে যে আমরা রেল লাইন দিয়ে লাইনের স্লিপার এর উপর দিয়ে কে কত দূরে হেঁটে যেতে পারি এটা নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা চলছিল। যেই কথা সেই কাজ বেরিয়ে পড়লাম শিশুপার্কের উদ্দেশে।। |



device :realme narzo 30a
image source

প্রথমেই আমরা দিনাজপুর বড় মাঠে প্রবেশ করি। এবং বড় মাঠ ছিল মানুষের কোলাহলে পূর্ণ। কারণ আজকের দিনটা ছিল শুক্রবার অর্থাৎ উইকেন্ড। সবাই সবার ব্যস্ততা কাটিয়ে নিজের অবসাদ গুলোকে ভুলে যেতে একটু চাঙ্গা হতে চলে আসেন এই দিনাজপুর বড় মাঠে। এই শুক্রবারে দিনটিতে দিনাজপুর বড় মাঠ এ যেন একটা উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। ছোটখাটো একটা মেলা লেগে যায়। এবং বলে রাখা ভালো শিশু পার্কেও দিনাজপুর বড় মাঠের পাশেই অবস্থিত। |








device :realme narzo 30a
image source

এরপর আমরা তিনজন মিলে দিনাজপুর শিশু পার্কে প্রবেশ করি। সেখানে প্রবেশ ছিল সম্পূর্ণ ফ্রিতে সেখানে কোন প্রবেশ মূল্য ছিল না। এবং শিশু পার্কের আয়তন ছিল অনেক ছোট। এবং বলতে গেলে বেশ অনুন্নত। ভাঙাজোড়া একটি পার্ক কিন্তু তারপরেও মানুষের আগমন সেটা সত্যিই অবাক করার মত। কর্তৃপক্ষের উচিত পার্কটির উন্নতি ঘটিয়ে পর্যটন শিল্পে অবদান রাখা।পার্কটি যদি উন্নত করা যায় তাহলে পর্যটক এর হার বাড়বে এবং সবার পার্কের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। আমরা পার্কের মধ্যে ঢুকে প্রথমেই দেখতে পাই পার্কের মধ্যে একটি ব্যায়ামাগার এর ব্যানার বড়ো করে টাঙানো।এবং পাশেই চিল ব্যায়ামাগার টি সেখানে শিশু-কিশোরদের স্কেটিং প্র্যাকটিস করানো হচ্ছে। আমরা দেখলাম তাদের সবার মধ্যে একটি করে কম্পিটিসন হচ্ছে বয়সের লেভেল অনুযায়ী। এবং খেলাটা বেশ কিছুক্ষণ আমরা সবাই মিলে উপভোগ করলাম এবং অনেকেই দেখছি। যাদের সন্তান এরা ভালো খেলছে তারাও দূর থেকে উৎসাহ দিচ্ছে। পার্কের অন্যপ্রান্তে ছিল শিশুদের খেলার জন্য স্লাব টুল ও দোলনা। অনেকভাবেই তাদের সন্তানকে নিয়ে এসেছে। কারণ শহুরে জীবন বড্ড ঘরোয়া জীবন। বাইরে বের হওয়া খেলাধুলা করার জন্য যে একটা ফাঁকা স্পেস দরকার সেটি আসলে শহরের জীবনের পাওয়াটাই সোনার হরিণ। এরপর নজরে আসলো একটি ভাঙ্গাচুরা অকেজো কংক্রিট এর শাপলা ফুল। মনে হচ্ছে বহুৎ দিন থেকে এটি অচল হয়ে পড়ে আছে। তবে শাপলা চত্বর দিয়ে অনেকেই বসে আছেন আড্ডা দিচ্ছেন। এবং একজন ঘরওয়ালা আবার ভিতরে ঘোড়ার পিঠে বসিয়ে আনন্দ দিচ্ছে ছোট বাচ্চাদেরকে। এবং সেখানে একটি বৃত্ত করা আছে সেটার ভিতরেই ঘোড়া টিকে ঘুরাচ্ছে। এরপর পার্কের ভিতর অনেক খেলনার দোকান বসে ছিল। কেউ খেলনা বিক্রি করছে কেউ হাওয়াই পাঁপড় বিক্রি করছে কেউ আবার মানুষের ওজন মেপে দিচ্ছে। এবং পার্কের বাইরে নাগরদোলা ঘোড়ার গাড়ি সবকিছুই ছিল। আর এভাবেই কেটে যায় আমাদের একটি সুন্দর দিন। |

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন। |
আল্লহ হাফেজ
ভাইয়া খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার দিনাজপুরের শিশু পার্ক ভ্রমণ নিয়ে করা পোস্টটি। পোস্টটি আপনাদের তিন বন্ধু এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। পাশাপাশি দিনাজপুরের শিশুপার্কের বিভিন্ন ধরনের ছবিগুলো অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর কমেন্ট করেছেন ভাই ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাহ ভ্রমণ পোস্ট দেখে সত্যিই অনেক খুশি হলাম। ভ্রমণ আমার একটা অনেক পছন্দের একটা ব্যাপার। তবে সপ্তাহে সাথে যেদিন আপেলে মাসে দু'একবার ভ্রমণে যাই আমি। এতে মন শরীর দুটোই ভালো থাকে। তারপর আলোচ্য বিষয় পড়ে মনে হল আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
আসোলেই সবার একটু না একটু রিপ্লেসমেন্ট দরকার। এতে করে শরীর ও মন চাঙ্গা হয় কাজের প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।
শিশুপার্ক ভ্রমণ নিয়ে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার উপস্থাপন আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ প্রশংসা করার জন্য।আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।
আপনাদের সকলের বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো দেখলে আমারও পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়। অনেকদিন হল বন্ধুদের সঙ্গে এভাবে ঘুরে বেড়ানো হয় না। আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে খুবই সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন তা আপনার পোস্টটি পড়ে বোঝা যাচ্ছে। পার্কে সাধারণত প্রবেশ ফি দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু আপনি দেখি একদম বিনামূল্যে প্রবেশ করে ফেলেছেন। হয়তো পার্কটি অত ভালো না সেজন্য। যাই হোক শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
হ্যাঁ অবশ্যই পার্কটি ভালো না হওয়াও টিকেট না থাকার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। তবে সরকারি পারক তো এটি এ কারণে হতে পারে
দিনাজপুর অনেক সুন্দর জায়গা। অনেকদিন আগে একবার স্বপ্নপুরী এবং রামসাগরের ঘুরতে গিয়েছিলাম। শিশু পার্ক টা কখনো দেখা হয়নি। আপনাদের ঘোরাঘুরির গল্প শুনতে ভালই লাগলো
দিনাজপুর অনেক সুন্দর জায়গায় ঘুরার মত অনেক নিদর্শনিক ঐতিহাসিক জায়গা রয়েছে।
খুব চমৎকার কাটিয়েছেন ছুটির দিনটি ভাই ।আমিও দেখিনি এই পার্কটি ।আপনার মাধ্যমে দেখাও হয়ে গেলো।ফটোগ্রাফি গুলোও সুন্দর ছিলো ।ধন্যবাদ ভাই আপনার বিশেষ মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ।
খুবই ভালো লাগলো যে আমার ঘোরাঘুরি ছবি তোলা গুলো কারো না কারো কাজে এসেচে🙈
👍
আমার খুব পরিচিত এই পার্ক, অনেকদিন বাদে দেখলাম ভালো লাগছে। আপনি পোস্ট না করলে হয়তো বা মনেও পড়তো না দেখাও হতো না। খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই আসীয়েন একদিন একসাথে আবার যাবো পার্কে😍
আসবো ভাই একদিন ইনশাল্লাহ
আপনাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ।দিনাজপুর শিশুপার্কটি দেখে মনে হচ্ছে শিশুপার্কটি অতটা উন্নত নয়।প্রবেশ ফি না থাকায় এটি একটি কারণ হতে পারে । কিন্তু কাছের বন্ধুদের সঙ্গে গেলে যেকোনো জায়গাতেই ঘুরতে গেলে আসলে ভালোলাগে । বোঝা যাচ্ছে সময়টা অনেক উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ ছবি গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।