শ্যামা পূজা র কিছু আলোকচিত্র
মা দুর্গার আগমনের ১৫ দিন পরেই আমাদের শ্যামা মায়ের আগমন হয়। তখন চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ থেকে যায়। মা দুর্গা এক দিকে কৈলাসে গমন করে অন্য দিকে শ্যামা মা সেই পথ দিয়েই মর্তে আগমন করে। দুর্গা মায়ের বিদায়ে যে মন কেমন করা টা হয় সেটা শ্যামা মা এসে পূরণ করে দেয়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মিয় উৎসব হলো শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা বা কালি পূজা ও দীপাবলী।প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে শ্যামা বা কালি পূজা ও দীপাবলী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে আবির্ভাব ঘটে দেবী শ্যামা র। শ্যামা দেবী শান্তি , সংহতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামী প্রতীক।
হিন্দু পুরান মতে , কালী দেবী দুর্গার ই একটি শক্তি। সস্কৃত ভাষায় কাল শব্দের থেকেই কালী নামের উত্পত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তিকে জাগ্রত করতেই কালী পূজা করা হয়।
কালি দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা , আদ্যএ ,তারা মা, চা মুন্ডি , ভদ্র কালি , দেবী মহামায়া বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালি পুজোর দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা মাতা ও আত্তীয় স্বজনদের স্মরণ করে ।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মন্দিরে শ্যামা পূজা করা হয় রমনা কালি মন্দির, ঢাকেশ্বরী মন্দির , রামকৃষ্ণ মিশন গোপী বাগ, তাঁতী বাজার, শাখারি বাজার সহ অনেক মন্দিরেরই শ্যামা পূজা করা হয়ে থাকে।
প্রতিবছর আমি গ্রামে দুর্গা পুজো পালন করে থাকলেও শ্যামা পূজার সময় ঢাকায় ই থাকা হয় । যার কারণে শ্যামা পূজা ঢাকায় দেখা হয়। আমি চেষ্টা করি ওই দিন সন্ধ্যা বেলায় সবাইকে নিয়ে বের হওয়ার। খেয়াল আবার শ্যামা পূজার আলোক সজ্জা দেখতে খুব ই পছন্দ করে। শ্যামা পুজো র আলোক সজ্জা সত্যি দেখা র মতো । এবং মানুষের মনকে আলোকজ্জল করে তোলে।
করোনা মহামারীর জন্য গত দুই বছর যাবৎ শ্যামা পুজো র আনন্দ টা একদম ফিকে হয়ে গেছে।
কিন্তু করোনা র আগে বেশ কয়েক বছর খুব মজা করেই আমরা পূজা দেখেছি । বিশেষ করে পুজোর আলোকসজ্জা সকলের মন কেড়ে নেয়।
এখন আমি আমার দেখা কয়েক টি শ্যামা পূজার চিত্ৰ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
চিত্র:১
এই ছবিটি আমি রমনা কালী মন্দির থেকে তুলেছিলাম। এটি ২০১১ সালের কালী পুজার ছবি। মন্দিরে ঢোকার গেট টি এরকম সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল।
চিত্র:২
এই ছবিটি ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে তোলা। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মা দুর্গার নিত্য পূজা হলে ও পাশে ই আর একটি মন্দিরে মা কালী র পূজা হয়, জন্মাষ্টমী পালন করা হয়ে থাকে।
চিত্র:৩
এটি একটি আতশবাজি র বাজির ছবি । রমনা কালি বাড়ির পুকুর ঘাটে বাজি পোড়ানো হয়। সেখান থেকেই ছবি তুলেছিলাম।
চিত্র:৪
চিত্র:৫
এটি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে র শ্যামা পূজা র সময় তোলা। মায়ের মন্দিরের সামনে ভক্তদের সমারহ। শ্যামা পূজার সময় বহু ভক্তদের আগমন ঘটে মন্দিরে। সারা রাত পূজা হয় আর ভক্তরা ভক্তি ভরে পূজা করে তাদের মনের ইচ্ছা মায়ের কাছে নিবেদন করে।
চিত্র:৬
চিত্র:৭
চিত্র:৮
চিত্র:৯
চিত্র:৯
ছবি : শ্যামা পুজো
স্থান: ঢাকা
সময়: অক্টোবর, ২০১১
ভূমিকা টা দারুন ছিল দিদি। একদম সুন্দর করে গুছিয়ে পূজার উৎসবের বর্ণনা করেছেন। আর বিভিন্ন পূজা মন্ডপের ছবি গুলোও বেশ ভালো ছিল। আমরা তো আনন্দ প্রিয় জাতি। ছবি গুলো দেখার সময় তাই মনে হচ্ছিল, কবে আবার এমন পূজোর ধুম আসবে 😊😊😊
ঠিক তাই আমরা একদম উৎসব প্রিয় জাতি । বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বন লেগেই থাকে আর আমরাও মেতে থাকি উৎসবের আনন্দে।
পূজা মানে আনন্দ আর উৎসব। আর আমরা বাঙালি হিসেবে ধর্মীয় উৎসবে মহানন্দ করতে অনেক পছন্দ করি। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং শ্যামা পূজার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।
বাহ দারুণ হয়েছে। রাতের আধারে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। প্রথম ছবিতে প্যান্ডেলের গেটটা দারুণ লাগছে। এবং দ্বিতীয় ছবিতে আতসবাজিও অসাধারণ লাগছে। একেবারে মনমূগ্ধ কর।ধন্যবাদ সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য ভালো থাকবেন।