খেয়াল বাবুর আজকের অংকন( বিজয় দিবস )
ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। বাঙালি জাতির উজ্জলময় বীরত্বগাথা এই মাসকে ঘিরেই রচিত হয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক লাল তারিখ। 1১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এই দিনে আমাদের দেশ পাক বাহিনীর হাত থেকে বিজয় লাভ। আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে সক্ষম হই। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করি। কত শত মা বোনের ইজ্জত, ত্রিশ লক্ষ মানুষে র মৃত্যুর বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই লাল সবুজ পতাকা । কত মানুষ হারিয়েছে তাদের বাপ, মা, ভাইবোন আত্মীয়পরিজন। না খেতে পেয়ে কত লোক ধুকে ধূকে প্রাণ দিয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। এত কিছু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের মুক্তি র সাদ। আমাদের প্রানের স্বাধীনতা। এই দিনটিতে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে এক সম্মুখ বিজয়ের।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কত মানুষ তাদের ভিতে মাটি ত্যাগ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। ভারত ও অবশ্য তাদের সর্বশক্তি দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। আশ্রয় দিয়েছিল সওরণার্থীদেরকে । তাদের দায়িত্ব নিয়েছিল। ওষুধ, আশ্রয়, খাবার ,মাথা গোজার এক টুকরো ঠাঁই সব তারা পেয়েছিল।
টানা নয় মাস কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতি অর্জন করেছিল আজকের এই স্বাধীন সার্মভৌম রাষ্ট্রের। বাঙালি জাতির গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস এই স্বাধীন দেশের পতাকা ও সীমানা র মধ্যে নিহিত রয়েছে।
টানা নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা আমাদের স্বাধীনতা লাভ করি। সেই দিনটি আমাদের বাঙালি জাতির এক উজ্জ্বল তম চির স্মরণীয় দিন। প্রতি বছর সমগ্র বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে দিনটি স্মরণ করে। নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক, আলোচনা, গান, অনুষ্ঠিত হয়। শিশু কিশোরদের জন্য নানা রকম খেলা, অনুষ্ঠান , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা তো থাকেই। ছোট ছোট শিশুরা তাদের আকার মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তি যুদ্ধ কে তুলির আচড়ে ফুটিয়ে তোলে।
খেয়াল ও চেষ্টা করেছে তার ছোট্ট হাতে মুক্তি যুদ্ধ ,জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখাতে।
ও হয়তো খুব সুন্দর করে পারেনি তবে চেষ্টা করেছে এতেই আমি অনেক খুশি।
এখন আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি খেয়াল বাবুর আঁকা ছবিটি।
ছবি: বিজয় দিবস
ছবি তোলার মাধ্যম: Samsung S20 ultra
ছবি তোলার সময়কাল: ৬-১২-২০২১
হ্যাঁ আপনি অনেক সুন্দর করে খেয়াল বাবু চিত্রটি অঙ্কন করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময় আজকে এই স্বাধীনতার বাংলার সার্বভৌমত্ব অর্জন করতে পারছি। এবং অজস্র মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, সত্যিই আপনার লেখাগুলো পড়ে বুকটা কেমনজানি কেপে উউঠল।এগুলো যখন মনে হয় তখন সহ্য করা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও অনেক রাজাকার রয়ে গেছে। তাদেরকে চিরতরে শেষ করে দেওয়াটাই উচিত ছিল। তাহলে বাংলাদেশকে আরো সুন্দর হত। যাইহোক সব শেষে এইটাই বলব আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি।
আসুন সবাই মিলে স্বাধীনতা র চেতনাকে নিজের মাঝে ধারণ করি, আর আমাদের এই দেশকে একটা সুন্দর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলি।
বিজয় দিবসে চিত্র অংকনটি দেখে আমি মুগ্ধ। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই চিত্রটি অঙ্কন করেছেন। বিশেষ করে পতাকার রংটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ছবিটি এঁকেছে আমার কন্যা। যদিও খুব ভালো হয় নি তারপরও ছোট রা যেটাই করে সেটাই অনেক। ধন্যবাদ।