শীতের সকাল
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- শীতের সকাল
- ২৭,ডিসেম্বর ,২০২৪
- শুক্রবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। শীতকাল চলে এসেছে শীতকালে শীতের মাঝে উপভোগ করতে যেতে হয় গ্রামে। এখন অবশ্য শহরেও শীত শুরু হয়ে গিয়েছে। শীতের সময়ের সব থেকে বেশি মজা শীতের সকালে। অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করা যায় শীতের সকালে বাইরে বের হলে। তবে আমরা এতটাই অলস শীতের মধ্যে একান্তই কাজ ব্যতীত আমরা বাইরে বের হই না শীতের ভয়ে। তবে শীতের সকাল যে অপরূপ সৌন্দর্য বহন করে সেটা না বের হলে বোঝা অসম্ভব।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
এরকম একটি শীতে সকালের সাক্ষী হয়েছিলাম কিছুদিন আগে। সেদিন আমি ছিলাম ঢাকা মোহাম্মদ পুর যেহেতু সকাল 9 টায় অফিস। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বের হয়েছিলাম অফিসের উদ্দেশ্যে অফিসে উদ্দেশ্যে বললে ভুল হবে আমার বাসা চেঞ্জ করে আমি অফিসের কাছে চলে গিয়েছি। মোহাম্মদপুর এসেছিলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য। আমি যে এলাকাতে থাকি ওটা মোটামুটি গ্রাম্য পরিবেশ বলা যায়। এলাকার পাশ দিয়ে ফিরে চলেছে তুরাগ নদী। মোহাম্মদপুর থেকে দূরত্ব অনেক বেশি প্রায় 18 কিলোমিটার শীতের সকালে মোটরসাইকেল যেতে বেশ শীত লাগছিল। যখন বের হয়েছিলাম তখন কুয়াশার দেখা মেলেনি তবে যখন সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা বাজে হঠাৎ দেখি এই কুয়াশায় এই রাস্তা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
সূর্যি মামাটা উকিয়ে দিচ্ছে গাছের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলোটা তির্যকভাবে রাস্তার উপর পতিত হয়েছে। এমন অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ দেখে বাইকটা পাশে রেখে ছবি তোলার জন্য ফোন বের করে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ক্যামেরায় বন্ধি করি। সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠা হয় খুব কম ওটা হলেও অত সকালে বাইরে গিয়ে প্রকৃতি দেখা হয় না। সেদিন এমন একটি প্রকৃতি দেখা পেয়েছি চাই বছরে এর আগে কখনো দেখিনি এবং অসম্ভব ভালো লাগছিল। ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভূতি নিয়েই আবার বাইক রাইট করা শুরু করলাম আমার বাসায় যেতে ছোট একটি ব্রিজ পার হতে হয় ব্রিজ তুরাগ নদীর উপরে অবস্থিত।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
ব্রিজের উপর যেতেই দেখি অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবনে চলে এসেছি মনে হচ্ছে। চারিদিকে কুয়াশা এমনভাবে ঘিরে ধরেছে হঠাৎ করেই মনে হচ্ছিল আমি হয়তো বান্দরবানে কোন পাহাড়ের উপরে বসে আছি এবং নিচে মেঘগুলো খেলা করছে। শীতের সকালে এমন পরিবেশে রাখে কখনো দেখিনি। ব্রিজ থেকে নিচের জায়গাটিতে পুরা কুয়াশা ভরে গিয়েছে। ব্রিজ থেকে দেখা যাচ্ছে সূর্যমামা তার আলো দ্বারা আলোকিত করেছে সারা এলাকা। আর ব্রিজের নিচে যে নতুন নদী নদীর উপরে কুয়াশায় পরিপূর্ণ। অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে এখানকার সুন্দর সব দেখছিলাম আমার মত অনেকেই দেখি এখানে এ সৌন্দর্য দেখে তাড়িয়ে পড়েছে। শীতের সকালে এমন পরিবেশ উপভোগ করতে পেরে অসম্ভব ভালো লাগছিল। এই ছিল শীতের অসম্ভব সৌন্দর্য আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
এটা ঠিক বলেছেন, শীতের সকালে খুব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ব্রিজের আশেপাশে কুয়াশা অনেক এবং সেইসাথে সূর্যমামা আস্তে আস্তে উঁকি দিচ্ছে। কুয়াশাগুলো দেখে আসলেই মনে হচ্ছে পাহাড়ের উপরের কোন দৃশ্য। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে। মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই সত্যি অসাধারণ। ব্রীজের উপর থেকে অভূতপূর্ব লাগছে দৃশ্য টা। শীতের সকাল এমনভাবে অনূভব করা হয় না অনেকদিন। আপনার পোস্ট টা দেখে বেশ চমৎকার লাগল। ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।