রেসিপিঃ মাছ দিয়ে লোভনীয় পদ্ধতিতে আমড়া রান্না
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। রান্না করা যদিও ছেলেদের কাজ নয় তারপরও রান্না করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আসলে ঢাকাতে অনেক দিন মেসে থেকেছি তার কারণে এই রান্না গুলো শিখতে পেরেছি। যদিও নানা ব্যস্ততার কারণে রান্না করার মত কোন সময় হয়ে ওঠে না তারপরও চেষ্টা করি ছুটির দিনে পছন্দের কোন জিনিস রান্না করতে। আমড়া খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর যখন এটা মাছ দিয়ে রান্না করা হয় তখন যেন এটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়। এটাই এমনই একটা রেসিপি যা দেখলে খুব সহজেই মানুষের জিভে জল চলে আসে। আপনাদের মাঝে আমি জিভে জল চলে আসার মতই একটা রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি।
মাছ দিয়ে আমড়া রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
---|---|
১ | আমড়া |
২ | পেঁয়াজ |
৩ | সয়াবিন তেল |
৪ | লবণ |
৫ | মরিচের গুঁড়া |
৬ | হলুদের গুঁড়া |
৭ | রসুন বাটা |
৮ | ধনিয়া গুঁড়া |
প্রথমেই আমি একটা শুকনো কড়াই নিয়ে নিয়েছি। করায় গরম হয়ে যাবার পরে তার মধ্যে আমি পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিয়েছি। সয়াবিন তেল গরম হয়ে যাবার পরে আমি তার মধ্যে কিছু পেঁয়াজ দিয়েছি ভেজে নেবার জন্য।
পেঁয়াজ ভেজে নেওয়া শেষ হয়ে যাবার পরে পড়বে কেটে নেওয়া আমড়া গুলোকে আমি কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
এরপরে আমি পরিমাণ মতো রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি। এই ধরনের রেসিপি তৈরি করার ক্ষেত্রে যদি উপকরণ গুলো বেটে দেওয়া যায় তাহলে এটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে যায়।
এরপরে আমি পরিমাণ মতো হলুদের গুড়া দিয়ে দিয়েছি।
উপকরণগুলো দেয়া শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেটাকে কড়াই এর মধ্যে হালকা নেড়ে নিয়েছি।
এরপরে আমি মরিচের গুড়া দিয়েছি এবং আরো কিছুক্ষণ সময় সেগুলোকে কড়াইয়ের উপর ভাজার মত করে নিয়েছি।
এরপরে আমি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি। পানি দেবার পরে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো এটাকে ঢেকে দিতে হবে। ঢেকে দেবার ফলে একদিকে আমড়া গুলো সিদ্ধ হয়ে যাবে অন্যদিকে সকল উপকরণ গুলো আমড়ার মধ্যে প্রবেশ করে যাবে।
এরপরে আমি পূর্বে ভেজে নেওয়া মাছগুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। মাছ দেওয়া হয়ে যাবার পরে কড়াই এর উপর আরো পাঁচ মিনিটের মত জ্বাল দিতে হবে।
রেসিপিটা তৈরি করা শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলোকে আলাদা একটা পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
আমার তৈরি করা আমড়ার এই লোভনীয় রেসিপি টা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আপনি তো দেখছি বেশ ইউনিক এবং মজার রেসিপি তৈরি করতে পারেন। আসলে এরকম মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে ইচ্ছে করে খেয়ে নিতে। আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই আপনার তৈরি করা রেসিপিটা নিয়ে খেয়ে ফেলতে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপিটা তৈরি করার ধাপগুলো তুলে ধরেছেন, যা দেখে যে কেউ এটা তৈরি করতে পারবে।
আমাদের এলাকাতে এই রেসিপিটা প্রতিনিয়তই তৈরি হতে দেখতে পাওয়া যায়।
ভাইয়া আপনি দেখছি খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক স্বাদ হয়েছে। আসলে ভাইয়া আমড়া দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই ধরনের রেসিপিগুলো অনেকটাই লোভনীয় হয়ে থাকে।
আমড়ার আচার করা খেয়েছি আমড়া ছোট মাছ দিয়ে রান্না করলেও খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এভাবে শুধু আমড়া রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। এবং আপনার রেসিপিতে আমি মাছ দেখতে পাইনি। আপনার ভুল হয়েছে মনে হয়। নতুন একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু এটা ছোট মাছ দিয়ে রান্না করলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে খেতে।
এই রকম আমড়া মাখা আমরা ছোট বেলায় কিনে খেতাম রাস্তায় বিক্রি করতো ভালোই লাগতো আসলে এটা আমড়া ঘন্ট অনেকে আরো ভাল প্রসেস করে এটাকে আচার বানিয়ে ফেলে।দারুন হয়েছে রেসিপিটা ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে আপনি উপস্থাপন করেছেন ।
আমাদের এই দিকে এখনো রাস্তায় ওইটা বিক্রয় হয়।
এভাবে কখনো আমড়া রান্না করে খাওয়া হয়নি। আসলে এখন ছেলেরা অনেক রান্না পারে মেয়েদের থেকেও বেশি। বেশিরভাগ ছেলেকে দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন কারণেও তারা কোন না কোন ভাবে রান্নাটা শিখে ফেলে। আর আপনি একেবারে লোভনীয় পদ্ধতিতে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন যা দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। এই রেসিপিটা আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো তৈরি করার, কারণ এটি আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে।
একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু আশা করি অনেক মজা পাবেন।
আমি অনেক আগে আমার শ্বাশুড়ির হাতের তৈরি আমড়ার রেসিপি খেয়েছিলাম। আমাদের দিকে আমড়ার রেসিপি কখনো রান্না করতে দেখিনি। একটু টক হলেও খেতে ভালোই লাগে। আপনার উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এইখানে একটা গাছ রয়েছে সেখান থেকেই পেড়ে রান্না করতে শুরু করে দিয়েছিলাম।
আসলে ভাইয়া রান্না করা ছেলেদের কাজ না হলেও আমাদের কমিউনিটিতে অনেক ছেলেকে কিন্তু দেখছি দারুন দারুন রান্না শেয়ার করে ।আপনিও বেশ ভালো রান্না করতে পারেন মনে হচ্ছে। তবে মাছ দিয়ে কখনো আমড়া রান্না খাওয়া হয়নি ।আপনার কাছ থেকে ইউনিক একটি রেসিপি শিখে নিলাম। যদিও কি মাছ দিয়েছেন দেখতে পেলাম না ।যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে দীর্ঘ আট বছর ঢাকাতে মেসে থেকেছি যার কারণে সবই শেখা হয়ে গিয়েছে।
বাহ ভাইয়া আপনি দেখছি ইউনিক একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন। মাছ দিয়ে আমড়া রান্নার রেসিপি এই প্রথম দেখলাম। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
মাছ দিয়ে এটা রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখুন।
আপনার মতো আমিও মেসে থাকতে রান্না করতাম আর সেখানেই শিখেছি। এখন করা হয় না তেমন। যাক, রেসিপিতে ঝুল হলে মনে হশ আরও ভালো লাগতো। তবে স্বাদটা ভিন্ন রকমের হয়েছে নিশ্চয় ভাইয়া
আসলে এটাই স্বাভাবিক ভাইয়া ব্যাচেলর লাইফে অনেক কিছুই শিখে নিতে হয়।