প্রপোজ করে ফেঁসে গেলাম নাটক রিভিউ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, নভেম্বর ০৪/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে প্রাঙ্ক কিং এর কিছু নাটক অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে দিয়েছে। প্রথমে এরা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে নাটক তৈরি করত কিন্তু বর্তমান সময়ে সকলে আলাদা আলাদা ভাবে নাটক তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে। অনেক ছোট বয়সের অভিনেতা হওয়ার ফলে অনেকেই হয়তোবা এদের নাটক খুব একটা বেশি দেখেনা। কিন্তু সত্য কথা বলতে এদের নাটকগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যদি আপনারা কোন সময় এদের একটা নাটক দেখেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি যে আপনারা খুব সহজেই এদের নাটকের ভক্ত হয়ে যাবেন। এদের নাটকগুলো দর্শকেরা পছন্দ করার একটা বড় কারণ রয়েছে । কারণটি হচ্ছে এদের নাটকগুলো অনেক ছোট হয়ে থাকে এবং এই ছোট সময়ের মধ্যেই এরা সকল বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম। মূলত এই কারণেই দর্শকের কাছে এদের নাটক গুলো খুবই সুনাম পাচ্ছে বর্তমান সময়ে।
সিনেমার নাম | প্রপোজ করে ফেঁসে গেলাম |
---|---|
পরিচালক | মামুনুর রশিদ |
অভিনয় | শান্ত ,নাজিয়া বর্ষা ,ফারুক , জ্যোতি |
দৈর্ঘ্য | ১৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ২ নভেম্বর ২০২২ ইং। |
নাটকের শুরুতে আমরা দেখতে পাই নাটকের নায়ক এবং তার বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। হঠাৎ এমন সময় একটা মেয়ে একটা গোলাপ ফুল হাতে নায়কের সামনে চলে আসলো এবং নায়ক কে ভালোবাসার কথা বলে প্রপোজ করল। মেয়েটির প্রপোজ করা দেখে প্রথমে নায়ক একটু ঘাবড়ে গেল এবং মেয়েটির অনেক কাকুতি মিনতির পরে নায়ক ও রাজি হয়ে গেল।
নায়কের রাজি হবার সাথে সাথেই নায়িকার বান্ধবী দূর থেকে একটি ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে আসলো এবং বলল দারুন অভিনয় করেছে তারা। আসলে নাটকের এই নায়িকা ছোট্ট একটা ভিডিও ধারণ করার জন্য মূলত নায়কের সাথে এই অভিনয়টি করেছে। বিষয়টি শুনেই তো নায়ক রেগে গেল এবং নায়িকাকে বলল সে কোনভাবেই নায়িকার কিছু ছাড়বে না।
এরপরের দৃশ্যগুলোতে আমরা দেখতে পেলাম নায়িকা যেখানেই যাচ্ছে নায়ক তার পিছু পিছু চলে যাচ্ছে। আর নায়িকা এবং নায়িকার বান্ধবী নায়ক কে দেখে পালিয়ে যাচ্ছে।
এভাবে কিছুদিন চলার পরে আমরা দেখতে পাই নায়কের বন্ধু নায়িকার বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে ফেলেছে। আর তারা সেই ঠিকানা অনুযায়ী নায়িকার বাড়ির সামনে চলে এসেছে।
এরপরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই নায়কের বন্ধু এবং নায়ক ওয়াইফাই সারানোর নাম করে নায়িকার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে ফেলেছে। বিষয়টি দেখে তো নায়িকা রেগে গেল এবং তাদেরকে তাড়াতাড়ি করে বাড়ির মধ্য থেকে বের করে দিল।
এরপরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পেলাম নায়িকার বান্ধবী এবং নায়িকা নায়ককে একটা জায়গায় ডাকল। নায়িকার বান্ধবী আগে থেকেই পাড়ার বখাটে ছেলেদের কে বলে রেখেছিল নায়ক আসলেই মারধর করতে। নায়ক আসার সাথে সাথেই পাড়ার বখাটে ছেলেগুলো নায়ক কে প্রচুর পরিমাণে মারধর করল।
এরপরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পেলাম নায়িকা এবং তার বান্ধবী রিকশায় করে যাচ্ছে ।আর নায়ক মার খেয়ে তার ভাঙ্গা হাত নিয়ে নায়িকাদের সামনে এসে দাঁড়ালো।
এরপরে দৃশ্যে আমরা দেখতে পেলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বড় ভাই এসে বলল তাদের ধারণ করা ভিডিও গুলো সকলে পছন্দ করেছে। আর নায়কের অভিনয়ের কারণে সে অনেক সুনাম অর্জন করে ফেলেছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিষয়টি শোনার পরে নায়িকার একটু মন খারাপ হয়ে গেল। সে তার বান্ধবীর সাথে কথা বলতে লাগলো , তাকে বলল আমরা হয়তোবা নায়কের সাথে খুব খারাপ কাজ করে ফেলেছি। আমাদের উচিত নায়কের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।
এরপরে দৃশ্যে আমরা দেখতে পেলাম নায়িকা নায়ককে একটা জায়গায় ডাকলো। নায়ক সেখানে আসার পরে নায়িকা তার পূর্বের কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিল। নায়িকার ক্ষমা চেয়েও দেখে নায়ক তাকে ক্ষমা করে দিল। আর এরপরেই নায়িকা পুনরায় নায়কে ভালোবাসার কথা বলল এবং নায়ক ও তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল।
ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এই নাটকটি অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা চাইলে এই নাটকটি দেখে নিতে পারেন। আমি মনে করি এই নাটকটি যদি আপনারা দেখেন তাহলে আপনাদের সময় অপচয় হয়েছে বলে মনে হবে না।
নাটকটির আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিবো ১০ এর মধ্যে ৯.১
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই নাটকটি আমি দেখেছিলাম ভাইয়া। আসলে ঈদের নাটক গুলো দেখতে ভালই লাগে। কোন নাটক নতুন বের হলে আমি দেখার চেষ্টা করি। আপনি নাটকটির রিভিউ করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। তাছাড়া শান্ত আর নাজিয়াকেও ভীষণ কিউট লাগে। এরা বয়সে ছোট হলেও কিন্তু নাটক গুলো বেশ ফুটিয়ে তোলে।
ঠিক বলেছেন অল্প বয়স হলে ও এরা চমৎকার ভাবে নাটকটি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে